ads

ষষ্ঠ শ্রেণি, বাংলা: কবিতা- ‘জন্মভূমি’ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)






জন্মভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 


কবি পরিচিতি:
নাম প্রকৃত নাম : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছদ্মনাম : ভানুসিংহ ঠাকুর।

জন্ম পরিচয় জন্ম : 
৭ই মে, ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ.; জন্মস্থান : জোড়াসাঁকো, কলকাতা।

পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতার নাম : 
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; মাতার নাম : সারদা দেবী।

শিক্ষাজীবন: 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলায় ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত নর্মাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমি, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। ১৭ বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান। সে পড়াও শেষ না হতেই দেশে ফিসে আসেন তিনি। কিন্তু স্বশিক্ষা ও স্বীয় সাধনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এনে দিয়েছেন অতুলনীয় সমৃদ্ধি।

পেশা/কর্মজীবন: 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃ আদেশে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিষয়কর্ম পরিদর্শনে নিযুক্ত হন। তিনি ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি দেখাশোনা করেন।

সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : 
বনফুল, মানসী, কড়ি ও কোমল, সোনার তরী, চিত্রা, ক্ষণিকা, বলাকা, পূরবী, পুনশ্চ, গীতাঞ্জলি, শেষ লেখা বিশেষ উল্লেখযোগ্য; উপন্যাস : গোরা, ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, চোখের বালি, যোগাযোগ, নৌকাডুবি, শেষের কবিতা, দুইবোন, মালঞ্চ ইত্যাদি। কাব্যনাট্য : কাহিনী, চিত্রাঙ্গদা, বসন্ত, বিদায় অভিশাপ, মালিনী, রাজা ও রানি ইত্যাদি। নাটক : অচলায়তন, চিরকুমার সভা, মুক্তধারা, ডাকঘর, রক্তকরবী, রাজা, বিসর্জন ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থ : গল্পগুচ্ছ, গল্পস্বল্প, তিনসঙ্গী, লিপিকা, সে ইত্যাদি। ভ্রমণকাহিনি : জাপান যাত্রী, পথের সঞ্চয়, পারস্য, রাশিয়ার চিঠি, য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরি, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ইত্যাদি। শিশুসাহিত্য : শিশু ভোলানাথ, খাপছাড়া ইত্যাদি।

পুরস্কার ও সম্মাননা: 
নোবেল পুরস্কার (১৯১৩), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯১৩., অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৪০., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট (১৯৩৬. অর্জন।

জীবনাবসান: 
৭ই আগস্ট, ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ.।


বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 

১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৬১
খ ১৮৬২
গ ১৮৬৩
ঘ ১৮৬৪

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন?
ক ১২৬৪ 
খ ১২৬১ 
 গ. ১২৬৮ 
ঘ ১২৬৩

৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কোন কাব্যের জন্য?
ক সোনার তরী খ বলাকা
গীতাঞ্জলি ঘ রক্তকরবী

৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন?
ক সেন 
খ ঘোষ 
গ. ঠাকুর 
ঘ পাল
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক কলকাতার সুভাস পল্লিতে
খ. কলকাতার জোড়াসাঁকোতে
গ পশ্চিম দিনাজপুরে
ঘ কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে

৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বছর বয়সে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত যান?
ক. ১৭ খ ১৮ গ ১৯ ঘ ২৯

৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্যের নাম কী?
ক গীতাঞ্জলি                 খ সোনার তরী
গ চিত্রা                         ঘ. বনফুল
৮. ‘বিশ্বভারতী’ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ক কাজী নজরুল ইসলাম 
খ রঙ্গলাল সেন
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
ঘ শ্রী ঠাকুর

৯. বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের জনক বলা হয় কাকে?

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
খ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় 
ঘ কালিদাস রায়

১০. বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে? 
ক কাজী নজরুল ইসলাম 
খ.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ ডি. এল রায় 
ঘ প্রমথ চৌধুরী

১১. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির প্রথম কত লাইন জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পায়?

ক ৮ 
 খ ১০ 
গ ১৫ 
ঘ ২০

১২. ‘রক্তকরবী’ কোন জাতীয় রচনা?

ক. নাটক 
খ উপন্যাস
গ ছোটগল্প 
ঘ প্রবন্ধ

১৩. ‘শেষের কবিতা’ কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?

ক কবিতা 
খ ছোটগল্প
গ. উপন্যাস 
ঘ নাটক

১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটদের জন্য কোন গ্রন্থটি রচনা করেছেন?

ক গোরা খাপছাড়া

গ বলাকা ঘ ডাকঘর

১৫. ছোটদের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গ্রন্থ কোনটি?

শিশু ভোলানাথ খ সোনার তরী

গ শেষের কবিতা ঘ রাজা

১৬. রবীন্দ্রনাথ কোন সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

ক ১৯১১ খ ১৯১২ ১৯১৩ ঘ ১৯১৪

১৭. ‘সোনার তরী’ একটি?

ক গল্প খ কাব্য গ উপন্যাস ঘ নাটক

১৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?

১৯৪১ খ ১৯৪২ গ ১৯৪৩ ঘ ১৯৪৪

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারেÑ

i. সাহিত্যিক ii. শিক্ষাবিদ iii. গীতিকার

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর

খ র ও ররর

গ রর ও ররর

র, রর ও ররর

২০. বাংলা সাহিত্যের যে শাখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানে ঐশ্বর্যমণ্ডিত

i. কবিতা, ছোটগল্প ii. নাটক, উপন্যাস

iii. প্রবন্ধ, গান

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর

খ র ও ররর

গ রর ও ররর

র, রর ও ররর

২১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কাব্যগ্রন্থ

i. সোনার তরী ii. নৌকাডুবি iii. বলাকা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক

i. ডাকঘর ii. বিসর্জন iii. রাজা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

২৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস হচ্ছে-

i. গোরা ii. ঘরে বাইরে

iii. যোগাযোগ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র খ রর গ র ও ররর র, রর ও ররর

ন্ধ মূলপাঠ

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

২৪. কোন কবিতায় মাতৃভ‚মির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে?

ক সুখ জন্মভূমি গ সভা ঘ মানুষজাতি

২৫. স্নেহচ্ছায়ার দিক থেকে মা এবং জন্মভূমি দুই-

সমান খ অসমান

গ সামান্য পার্থক্য ঘ অনেক ব্যবধান

২৬. কবি দেশের ধন-রতনকে কীসের মতো মনে করেন?

ক স্বপ্নের মতন খ রাজার মতন

রানির মতন ঘ খনির মতন

২৭. ‘জানিনে তোর ধন-রতন’ দ্বারা এখানে কী বোঝানো হয়েছে?

প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্য

খ বিপুল টাকাকড়ি

গ সোনা রুপা

ঘ হিরে-হজরত

২৮. কবি নিজের জন্মকে সার্থক মনে করেছেন কেন?

ক ধনসম্পদের মালিক হয়ে

খ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পেরে

এই দেশে জন্মগ্রহণ করে

ঘ বড় কবি হতে পেরে

২৯. ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবি জন্মভূমিকে মনে করেছেন-

ক মায়ের মতো খ বোনের মতো

রানির মতো ঘ পরমাত্মীয়ের মতো

৩০. কবির অঙ্গ কোথায় জুড়ায়?

ক ফুলের বিছানায় দেশের ছায়ায়

গ শীতল মাটিতে ঘ ফসলের মাঠে

৩১. কবির জন্মভূমির চাঁদ কীভাবে ওঠে?

ক লাল আভা ছড়িয়ে খ আলো দিয়ে

হাসি হেসে ঘ জ্বলজ্বল করে

৩২. গগনে হাসি হেসে কী ওঠে?

ক সূর্য খ ধূমকেতু

গ তারা চাঁদ

৩৩. কবি আঁখি মেলে কী দেখেন?

ক জন্মভূমির মানুষ জন্মভূমির আলো

গ জন্মভূমির ফসল ঘ জন্মভূমির প্রকৃতি

৩৪. কীসে কবির চোখ জুড়ায়?

ক জন্মভূমির বাতাসে খ জন্মভূমির পানিতে

জন্মভূমির আলোতে ঘ জন্মভূমির অন্ধকারে

৩৫. কোন আলোতে নয়ন রেখে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন?

ক গোধূলির আলো খ চাঁদের আলো

সূর্যের আলো ঘ বিদ্যুতের আলো

৩৬. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে জন্মকে সার্থক মনে করেছেন কেন?

ক এদেশের মানুষ ভালো বলে

খ এদেশ ধনরত্নে পূর্ণ বলে

গ এদেশ তাকে খ্যাতি দিয়েছে

এদেশের সৌন্দর্যপূর্ণ প্রকৃতি তার প্রিয় বলে

৩৭. কবি এদেশের আলোয় নয়ন মুদতে চেয়েছেন কেন?

ক এদেশের আলো সুন্দর বলে

জন্মভূমির প্রতি মমত্ববোধের কারণে

গ এদেশে শান্তিতে ঘুমানো যাবে বলে

ঘ এদেশে তার আত্মীয়-স্বজন আছে বলে

৩৮. কবির জীবন সার্থক হয়েছে কীভাবে?

ক জন্মভূমিকে মুক্ত করে

খ জন্মভূমির প্রকৃতি দেখে

জন্মভূমিকে ভালোবেসে

ঘ জন্মভূমির স্বাধীনতা পেয়ে

৩৯. ‘জানি নে তোর ধনরতন’ ‘আছে কি না রানির মতন’ এ চরণটি জন্মভূমি কবিতার কবির কোন ধরনের মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে?

ক দেশপ্রেম খ পরোপকারী

লোভহীন ঘ ন্যায়পরায়ণ

৪০. জন্মভূমির বনের ফুল, গগনের চাঁদ কবির কাছে কীভাবে ধরা দিয়েছে?

সৌন্দর্যের আকর হিসেবে

খ চিরন্তন ভালো লাগা হিসেবে

গ কল্পনার বস্তু হিসেবে

ঘ স্নেহ-মমতার উৎস হয়ে

৪১. ‘অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’এখানে ছায়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

ক গাছের ছায়া জন্মভূমির আশ্রয়

গ মাতৃকোল ঘ জন্মভূমির প্রকৃতি

৪২. ‘দেশের আলো কবির চোখ জুড়ায়’এ ‘চোখ জুড়ানো’ বলতে বোঝানো হয়েছে

ক প্রশান্তি লাভ মুগ্ধতা

গ ব্যাকুলতা ঘ সৌন্দর্যের আকুলতা

৪৩. ‘জন্মভূমিকে ভালোবেসে কবি অন্য কোনো দেশের ফুল, গগনের রূপের খবর জানেন না’উক্ত চরণের মধ্যে ফুটে ওঠা কোন ভাবটি সমর্থনযোগ্য?

ক পরোপকারিতা খ মাতৃভক্তি

গ ধৈর্যশীলতা দেশপ্রেম

৪৪. জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ লক্ষ করা যায় তোমার পঠিত কোন কবিতায়?

জন্মভূমি খ সভা

গ ঝিঙে ফুল ঘ মুজিব

৪৫. জন্মভূমির আলোতে কবির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছার মধ্যে কী ফুটে উঠেছে?

ক সহানুভ‚তি দেশপ্রেম

গ মমতা ঘ স্নেহ

৪৬. চাঁদের হাসি, ফুলের গন্ধ ইত্যাদি অনুষঙ্গের মাধ্যমে কবি ‘জন্মভূমি’ কবিতায় নির্দেশ করেছেন জন্মভূমির-

ক মানুষের বন্ধন সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎসকে

গ প্রকৃতিকে ঘ আবহাওয়াকে

৪৭. ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবি হৃদয়ের কোন রূপটি ফুটে উঠেছে?

কোমল খ দৃঢ় গ বলিষ্ঠ ঘ প্রতিবাদী

৪৮. “নমঃ নমঃ সুন্দরী মম জননী জন্মভূমি”-চরণটির সাথে জন্মভূমি কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ কোনটি?

ক কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে

সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে

গ ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে

ঘ কোন বনেতে জানি নে ফুলে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৪৯. কবি নিজ জন্মকে সার্থক মনে করেন

i. এদেশে জন্মগ্রহণ করে ii. জন্মভূমিকে ভালোবাসতে পেরে

iii. এদেশের ধনরত্নের ঐশ্বর্য দেখে

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫০. জন্মভূমির বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছেÑ

i. ফুলের বাগান ii. চাঁদের জ্যোৎস্না

iii. সূর্যের কিরণ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

৫১. জন্মভূমি কবিতায় কবি দেশকে কল্পনা করেছেন-

i. নারীরূপ ii. মাতৃরূপে

iii. রানিরূপে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫২. দেশের ছায়ায় অঙ্গ জুড়ানোর অভিব্যক্তিতে যে বিষয়ের প্রকাশ ঘটেছে


i. দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ ii. মাতৃভ‚মির প্রতি কৃতজ্ঞতা

iii. দীর্ঘ পরিশ্রমের পর অনাবিল শান্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫৩. ‘জন্মভূমি’ কবিতায় প্রধানত ব্যক্ত হয়েছে

i. কবির নিসর্গপ্রীতি ii. কবির দেশপ্রেম

iii. কবির আধ্যাত্মিক প্রেম

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫৪. ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি মুগ্ধ হয়েছেন

i. জন্মভূমির বিপুল ঐশ্বর্যে ii. জন্মভূমির অপরূপ সৌন্দর্যে

iii. জন্মভূমির চিরায়ত সৌন্দর্যে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৫ ও ৫৬নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

‘ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি,

আমার এই দেশেতে জন্ম-যেন এই দেশেতে মরি’

৫৫. উদ্ধৃত চরণের সাথে মিল আছে-

i. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে

ii. সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালোবেসে

iii. ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর

৫৬. অনুচ্ছেদ ও ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির ইচ্ছায় ব্যক্ত হয়েছে-

i. গভীর দেশপ্রেম ii. গভীর আবেগ

iii. গভীর আকুলতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৭ ও ৫৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘এই বাংলার আকাশ বাতাস এই বাংলার ভাষা

এই বাংলার নদী-গিরি বনে বাঁচিয়া মরিতে আশা’

৫৭. অনুচ্ছেদটির সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার সাদৃশ্য কোথায়?

স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসায়

খ স্বদেশকে সম্মান জানানো

গ স্বদেশের জন্য যুদ্ধ করা

ঘ স্বদেশের মাটিকে ভালোবাসা

৫৮. অনুচ্ছেদের আবেগ ‘জন্মভূমি’ কবিতায় যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে-

i. দেশের রূপ বর্ণনায় ii. দেশের মাটিতে মৃত্যুর ইচ্ছায়

iii. দেশকে সবার উপরে স্থান দেয়ায়

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, ররর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫৯ ও ৬০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো

এমন করে আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাক

বুকে তোমার ঘুমিয়ে গেলে

জাগিয়ে দিও নাকো মাগো’

৫৯. প্রতিফলিত দিকটি নিচের কোন চরণে প্রকাশিত হয়েছে?

ক আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো

ওই আলোকে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে

গ সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে

ঘ কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে

৬০. অনুচ্ছেদে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে?

ক জন্মভূমিকে ভালোবাসা

জন্মভূমিতে মৃত্যুবরণ করা

গ চিরদিন বেঁচে থাকা

ঘ দেশকে সম্মান দেখানো

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬১ ও ৬২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ-তারা, কোথায় এমন উজল ধারা

কোথায় এমন খেলে তড়িৎ এমন কালো মেঘের’

৬১. অনুচ্ছেদের প্রথম চরণের সাথে জন্মভূমি কবিতার কোন চরণের সাদৃশ্য রয়েছে?

কোন গগনে ওঠেরে চাঁদ এমন হাসি হেসে

খ ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে

গ শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে

ঘ সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে

৬২. অনুচ্ছেদের ‘জন্মভূমি’ কবিতার যে বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়েছে-

i. স্বদেশের প্রতি মুগ্ধতায় ii. দেশের প্রতি গভীর আবেগে

iii. সৌন্দর্যবোধে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৬৩ ও ৬৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

‘অবারিত মাঠ গগন ললাট

চুমে তব পদধূলি

ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়

ছোট ছোট গ্রামগুলি’

৬৩. অনুচ্ছেদে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

ক দেশের প্রতি মমতা খ প্রকৃতিপ্রেম

নিসর্গচেতনা ঘ জীবনকে সার্থক ভাবা

৬৪. অনুচ্ছেদের শেষ দুই চরণের মর্মার্থের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার যে চরণের মিল পাওয়া যায়

ক জানিনে তোর রতন আছে কি না

খ আঁখি মেলে তোমার আলো প্রথম আমার চোখ জুড়ালো

গ ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে

ঘ কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে

৬৫. ‘মুদব’ শব্দের অর্থ কী?

বন্ধ করব খ অদৃশ্য করব

গ হারিয়ে ফেলব ঘ বিলুপ্ত হব

৬৬. ‘জনম’ শব্দের অর্থ কী?

ক যতœ খ জীবন

জন্ম ঘ কর্ম

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৭. ‘মুদব’ শব্দটি যে অর্থ বহন করে

i. বুজব ii. বন্ধ করব

iii. জুড়াবো

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৮. জন্মভূমি কোন উপাদান কবিকে আকুল করে তোলে?

ক স্নেহের ছায়া বনের ফুল

গ গগনের চাঁদ ঘ চাঁদের হাসি

৬৯. কবির একান্ত ইচ্ছা কী?

ক বিদেশে যাওয়া

খ ব্যবসা-বাণিজ্য করা

গ সন্ন্যাসী জীবন গ্রহণ

এদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়া

৭০. জন্মভূমির আকাশের চাঁদ কবির কাছে বেশি সুন্দর মনে হয় কেন?

ক এদেশের চাঁদের আলো বেশি উজ্জ্বল বলে

দেশপ্রেমের গভীর আবেগের কারণে

গ কবি মনের ভাবুকতার কারণে

ঘ এদেশের সবুজ প্রকৃতিতে চাঁদের আলো বেশি সুন্দর মনে হয় বলে

৭১. জন্মভূমির ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়ায় বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

জন্মভূমির ছায়ায় সুখ ও শান্তি লাভ

খ জন্মভূমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়া

গ জন্মভূমির দ্বারা উপকৃত হওয়া

ঘ জন্মভূমির ধনরতন লাভ করা

৭২. কবি কাকে উদ্দেশ্য করে ‘জন্মভূমি’ কবিতাটি রচনা করেছেন?

ক মাকে জন্মভূমিকে

গ প্রকৃতিকে ঘ নদীকে

৭৩. ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূল বক্তব্য কী?

জন্মভূমির প্রতি মমত্ব খ জন্মভূমির সৌন্দর্য

গ জন্মভূমির প্রকৃতি ঘ জন্মভূমির ভালোবাসা

৭৪. ‘জন্মভূমি’ কবিতাটি কত চরণ বিশিষ্ট?

৮ খ ১০ গ ১২ ঘ ১৪

৭৫. ‘জন্মভূমি’ কবিতাটি কোন ধরনের কবিতা?

ক আত্মজীবনীমূলক দেশপ্রেমমূলক

গ বিদ্রোহীমূলক ঘ জাগরণমূলক

৭৬. জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা কবি ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন প্রেক্ষাপটে ফুটিয়ে তুলেছেন?

ক ভালোবাসার সৌন্দর্যের গ ধনরতনের ঘ প্রকৃতির

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৭৭. ‘জন্মভূমি’ কবিতায় যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে

i. জন্মভূমির প্রতি মমত্ব ii. দেশপ্রেমের গভীর আবেগ

iii. প্রকৃতিপ্রেম

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

৭৮. ‘জন্মভূমি’ কবিতায় জন্মভূমি যেসব সৌন্দর্য কবির মনকে আকুল করে

i. বাগানের ফুল ii. চাঁদের জ্যোৎস্না iii. সূর্যের আলো

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

৭৯. জন্মভূমির অফুরন্ত সৌন্দর্যের উৎস হিসেবে কবি তুলে ধরেছেন-

i. কাননের ফুলকে ii. চাঁদের হাসিকে

iii. সূর্যের তাপকে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর


সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১ . জন্মভূমির অপরূপ রূপ

আজাদ দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরল। বিদেশের উঁচু উঁচু দালান আর বদ্ধ পরিবেশে তার মন বিষিয়ে উঠেছিল। বিকালবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে গ্রাম দেখতে বের হলো আজাদ। গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নদী তীরের দৃশ্য দেখে তার মন আনন্দে নেচে উঠল। বিকালের মৃদুমন্দ বাতাসে তার ক্লান্ত শরীর জুড়িয়ে গেল। বিদেশের বহুতল ভবন আর সম্পদের প্রাচুর্য তার মনকে ভোলাতে পারেনি। মাতৃভ‚মির মেঠোপথ আর প্রাকৃতিক শোভা তার মনকে শীতল করেছে। রাতের বেলায় শিশিরভেজা ঘাসের ওপর চাঁদের রুপালি আলোর ঝিলিক দেখে তার চোখ জুড়িয়ে গেল। এমন একটি সুন্দর দেশে সে চিরদিন বেঁচে থাকতে চায়।

ক. কবি তার মাতৃভ‚মির কী খোঁজেননি? ১

খ. কী দেখে প্রথমেই কবির চোখ জুড়ালো? ২

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার বৈসাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.“উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও তা একই উৎসমূল থেকে উৎসারিত।”Ñ উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর। ৪

ক কবি তার মাতৃভ‚মির ধনরতœ খোঁজেননি।

খ এদেশের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে কবি মুগ্ধ। তাই এদেশের সূর্যের উজ্জ্বল আলো প্রথম দেখায় তার চোখ জুড়িয়ে গেল।

কবি জন্মগ্রহণ করে যখন প্রথম চোখ খুলে দেখেছেন জন্মভূমির সূর্য আলোর পসরা সাজিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। কবির কাছে জন্মভূমি মায়ের মতো, মায়ের পানে তাকালে সন্তানের হৃদয় যেমন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়, চোখ জুড়িয়ে যায়। ঠিক তেমনি জন্মের পর চোখ মেলে যখন দেশমাতার আলো দেখেছেন তখন কবির চোখও একইভাবে জুড়িয়ে গেছে।

গ ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবি এবং উদ্দীপকের আজাদের ইচ্ছার দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি মাতৃভ‚মিকে ভালোবেসে তার সৌন্দর্য বর্ণনায় মুখরিত হয়েছেন। এই দেশকে তিনি এতই ভালোবাসেন যে এমন সুন্দর দেশে জন্মগ্রহণ করে তিনি গর্ববোধ করেন। তাই কবি এদেশের সুন্দর প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে চোখ রেখে শেষবারের মতো চোখ বন্ধ করতে চান। অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করতে চান।

উদ্দীপকের আজাদ দেশকে ভালোবেসে এ দেশে বেঁচে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আর আলোচ্য কবিতায় দেশকে ভালোবাসে এ দেশে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের কথা বলা হয়েছে। মূলত আজাদের জনম জনম বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা ও কবির মৃত্যু কামনার মধ্যে বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি হয়েছে।

ঘ “উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার বৈসাদৃশ্য থাকলেও তা একই উৎস মূল থেকে উৎসারিত” উক্তিটি যথার্থ।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি তার জন্মভূমিকে মা বলে সম্বোধন করেছেন। কবি এদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ। কবি তার দেশকে এতই ভালোবাসেন যে তিনি তার প্রিয় জন্মভূমির উজ্জ্বল আলোতে শেষবারের মতো নয়ন রেখে নয়ন মুদতে চান। এতে কবির মাতৃভ‚মির প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকের আজাদও ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির মতো দেশকে ভালোবেসেছে। বহুদিন পর বিদেশ থেকে এসে আজাদ গাঁয়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়। গাঁয়ের মেঠো পথ আজাদের মনকে শীতল করে। রাতের শিশির চাঁদের আলোয় হেসে উঠলে তার চোখ জুড়িয়ে যায়। তাই আজাদ এমন একটি সুন্দর দেশে চিরদিন বেঁচে থাকতে চায়।

উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতার মাঝে কিছুটা দ্বন্দ্ব দেখা যায়। কবি যেখানে জন্মভূমির মাটিতে মৃত্যুবরণ করার সাধ ব্যক্ত করেছেন সেখানে আজাদ তার প্রিয় মাতৃভ‚মিতে চিরদিন বেঁচে থাকার আশা ব্যক্ত করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে উভয়ের ইচ্ছার মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা গেলেও ভাবগত ও উদ্দেশ্যগত দিক থেকে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কারণ উভয়ই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। তাই আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি কবিতার সাদৃশ্য থাকলেও তা একই মূল উৎসমূল থেকে উৎসারিত।” এ উক্তিটি যথার্থ।

আপনার প্রিয়জনের জন্য সেরা উপহার


২. আমার দেশের মাঠের মাটিতে কৃষাণ দুপুর বেলা,

ক্লান্তি নাশিতে কণ্ঠে যে তার সুর লয়ে করে খেলা,

মুক্ত আকাশ মুক্তমনে সেই গান চলে ভেসে

জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।

ক. ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি জন্মভূমিকে কী বলে সম্বোধন করেছেন? ১

খ. কবির জনম সার্থক মনে করেন কেন? ২

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণ ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটিকে প্রকাশ করেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.‘উদ্দীপকের শেষ চরণ যেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মনোভাবকেই ধারণ করেছে।’ উক্তিটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪

ক ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি জন্মভূমিকে ‘মা গো’ বলে সম্বোধন করেছেন।

খ এদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে কবি নিজেকে সার্থক মনে করেন।

এদেশের শীতল হাওয়া কবির শরীর শীতল করে। জন্মভূমির বনের ফুল, সূর্যের আলো, চাঁদের হাসি সব কিছুই কবিকে আবেগাপ্লুত করে। যা মূলত দেশের প্রতি তার ভালোবাসারই প্রকাশ। তাই এমন একটি সুন্দর দেশে জন্মগ্রহণ করে কবি নিজেকে সার্থক মনে করেন।

গ উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণ ‘জন্মভূমি’ কবিতায় প্রকাশিত জন্মভূমির অকৃত্রিম সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি জন্মভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন। উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণেও কবি জন্মভূমির অপরূপ সৌন্দর্যের কথাই বলেছেন। কবি এমন একটি সুন্দর দেশে জন্মগ্রহণ করে নিজেকে সার্থক মনে করেন। এদেশের শীতল ছায়া কবির অঙ্গকে শীতল করে। এদেশের বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছে বাগানের ফুল, চাঁদের জ্যোৎস্না, সূর্যের আলো- এসব কবিকে মুগ্ধ করে। কবি বাংলার আকাশে উজ্জ্বল চাঁদের আলো দেখে মুগ্ধ। বাংলার রূপ কবিকে বিমোহিত করেছে।

উদ্দীপকে বলা হয়েছে, এদেশে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে কৃষকরা সারাদিন কাজ করে। তারা পরিশ্রম করে মাঠের মাটিতে সোনার ফসল ফলায়। সঙ্গে সঙ্গে পরিশ্রম লাঘব করার জন্য তারা গান গায়। এটা ফসলের মাঠের সৌন্দর্যের একটা অংশ। উদ্দীপকের এ অংশের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতায় বর্ণিত সৌন্দর্যের মিল রয়েছে।

ঘ ‘উদ্দীপকের শেষ চরণ যেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মনোভাবকেই ধারণ করেছে’ উক্তিটি যথার্থ।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি তার দেশকে মায়ের মতো ভালোবেসেছেন। কবি এদেশের রূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। এ বাংলার স্নিগ্ধ বাতাস কবির অঙ্গ শীতল করেছে। বাংলার প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে কবির চক্ষু শীতল হয়। জন্মের পরে প্রথম চোখ মেলেই কবি তার দেশের সৌন্দর্য দেখেছেন। দেশকে কবি এতই ভালোবাসেন যে, মৃত্যুর মুহূর্তেও তিনি দেশের রূপসুধা পান করতে করতে মরতে চান।

উদ্দীপকের শেষ দুই চরণে কবি এভাবে দেশকে ভালোবাসার কথাই বলেছেন। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের ঐকান্তিক মনের আকুতি ফুটে উঠেছে এ দুই চরণে। কবি স্বদেশের রূপে মুগ্ধ ও বিমোহিত। এদেশের মাঠে সোনালি ফসল কাটার সময় কৃষকের কণ্ঠ বেয়ে যে সুর বেরিয়ে আসে তা কবিকে আকুল করে। এদেশের মুক্ত আকাশ কবিকে উতলা করে। তাই কবির শেষ ইচ্ছাÑ এমন একটা সুন্দর দেশে যেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন।

একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দেশের মাটিতেই মরতে চান। ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবি এবং উদ্দীপকের শেষ চরণেও কবি সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মতো দেশের মাটিতে মরার আশা ব্যক্ত করেছেন। তাই বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।

৩ . স্বদেশের প্রকৃতি

সবুজের ঢেউ খেলানো বাংলার এই প্রকৃতি। যেদিকেই তাকাই, শুধু সবুজের মেলা। বৈচিত্র্যময় এ সবুজ প্রকৃতি সৌন্দর্যপিপাসুর চোখে নেশা ধরিয়ে দেয়। মধুমাখা গ্রামগুলো সবুজে ঢাকা। বড় বড় সবুজ গাছেরা বুক উজাড় করে ছায়া দেয় গ্রামের মানুষগুলোকে। গ্রামের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে যে নদীটি দিগন্তে হারিয়ে গেছে, তার কোল ঘেঁষেও রয়েছে আদরমাখা সবুজ গুল্ম। খালবিলের বুকজুড়ে সবুজ পদ্মপাতা। এক কথায়, বাংলার প্রকৃতি মানেই বৈচিত্র্যময় সবুজের সমারোহ।

ক. জন্মভূমির ছায়ায় এসে কার অঙ্গ জুড়ায়? ১

খ. ‘জানি নে তোর ধন রতন/আছে কি না রানির মতন।’ ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩

ঘ.“উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।” মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪


ক জন্মভূমির ছায়ায় এসে কবির অঙ্গ জুড়ায়।

খ ‘জানি নে তোর ধনরতন/আছে কি না রানির মতন।’ পঙ্ক্তি দুটি দ্বারা কবি মাতৃভ‚মির সম্পদের প্রতি তার অবহেলা এবং প্রকৃতি ও জন্মভূমির প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।

মাতৃভ‚মিতে অনেক ধনসম্পদ লুকানো আছে কি না, এটা নিয়ে কবির মনে আগ্রহ নেই। মাতৃভ‚মিতে সম্পদ থাক বা না থাক, এর প্রতি কবির কোনো প্রশ্ন নেই। মাতৃভ‚মিই কবির কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। আলোচ্য পঙ্ক্তি দুটি দ্বারা মাতৃভ‚মির প্রতি কবির প্রবল বিশ্বস্ততা আর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।

গ উদ্দীপকে বাংলার সবুজ প্রকৃতির মনোরম বর্ণনা দেয়া হয়েছে, যা ‘জন্মভূমি’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্য প্রকাশ করে।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি স্বদেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। মাতৃভ‚মির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই কবির কাছে মাতৃভ‚মিকে মহিমান্বিত করেছে। কবির মতে, সারা পৃথিবীতেই ফুল ফোটে। কিন্তু কবির দেশে যেমন আকুল করা গন্ধের বুনোফুল ফোটে, তেমন ফুল পৃথিবীর আর কোথাও ফোটে কি না-এ ব্যাপারে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। এদেশের ছায়ায় কবির অঙ্গ শীতল হয়ে যায়।

সবুজের ঢেউ খেলানো প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটেছে উদ্দীপকে। বড় বড় গাছের ছায়া গ্রামগুলোকে পরম মমতায় ঢেকে রেখেছে। নদীর দু’ক‚ল ভরে রয়েছে সবুজের সৌন্দর্য। নদীর বুকেও সবুজ দেখা যায়। বাংলার সবুজময় এই প্রকৃতি সৌন্দর্যপিপাসুদের মনে নেশা ধরিয়ে দেয়। এভাবে ‘জন্মভূমি’ কবিতার মতো উদ্দীপকেও দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটেছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ “উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।”এ উক্তিটি যথার্থ।

বাংলার সবুজময় প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কথা উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে। বাংলার প্রকৃতি সবুজ দিয়ে ঢাকা। যেদিকেই দৃষ্টি যায়, সেদিকেই শুধু সবুজের সমারোহ। ছোট ছোট গ্রামগুলো যেন জমাটবাঁধা সবুজের প্রতিকৃতি। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীর দু’ক‚লে রয়েছে সবুজের ছড়াছড়ি। মূলত স্বদেশের প্রকৃতির এই অনাবিল সৌন্দর্য উদ্দীপকেও চিত্রিত হয়েছে।

অপরদিকে, ‘জন্মভূমি’ কবিতায় স্বদেশের এ সৌন্দর্যের দিক ছাড়াও আরো নানা বিষয় বর্ণিত হয়েছে। ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি অত্যন্ত আবেগী ভাষায় স্বদেশের প্রতি বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। কবি স্বদেশকে ভালোবেসে নিজের জন্মকে সার্থক মনে করেন। স্বদেশের বুকে রানির মতো কোনো সম্পদ লুকিয়ে আছে কি না, সে প্রশ্ন কবির মনে জাগে না। স্বদেশই কবির কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। স্বদেশের ছায়ায় কবির দেহ স্নিগ্ধতায় শীতল হয়ে যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্য কবির মনে প্রশান্তি জাগায়। এদেশেই কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন, এটা কবির কাছে বিরাট প্রশান্তির ব্যাপার। অর্থাৎ ‘জন্মভূমি’ কবিতায় আলোচিত এসব বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।

৪ . গভীর দেশপ্রেম


‘এই বাংলার আকাশ বাতাস

এই বাংলার ভাষা

এই বাংলার নদী, গিরি, বনে

বাঁচিয়া মরিতে আশা।’

ক. কবির মন আকুল হয় কীসে? ১

খ. ‘শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’ ব্যাখ্যা কর। ২

গ. উদ্দীপকে যে আশার কথা বলা হয়েছে তার সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কোন দিকটির মিল পাওয়া যায়? ৩

ঘ.উদ্দীপকে মাতৃভ‚মির প্রতি যে ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে তা ‘জন্মভূমি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪


ক ফুলের গন্ধে কবির মন আকুল হয়।

খ জন্মভূমির শীতল ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আলোচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।

এদেশের অপরূপ রূপে কবি মুগ্ধ ও অভিভ‚ত। এমন একটি সুন্দর দেশে জন্মগ্রহণ করে কবি নিজেকে সার্থক মনে করেন। বাংলার আকাশ, বাতাস, মাঠ, পাহাড়, পর্বত, ফুলের গন্ধ, চাঁদের আলো সবই কবিকে আকৃষ্ট করে। কবির দৃষ্টিতে জন্মভূমি মাতৃসম, তাই মা এবং দেশ উভয়ের প্রতি তিনি একই ভালোবাসা পোষণ করেন। জন্মভূমিতে কবির অঙ্গ জুড়ায় কারণ দেশ তথা দেশের সব কিছুই কবির কাছে আদরণীয়, জন্মভূমির শীতল ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়িয়ে যায়।

গ উদ্দীপকে কবির মাতৃভ‚মিতে মৃত্যুবরণ করার আশার সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির জন্মভূমিতে মৃত্যুবরণ করার আশার দিকটির মিল পাওয়া যায়।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবি তার মাতৃরূপ জন্মভূমির কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা উদ্দীপকের কবিরও আশা। তারা উভয়েই শেষ বারের মতো দেশের অপরূপ রূপ দেখে তবেই মৃত্যুকে কামনা করেন। এ বৈশিষ্ট্যটি উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য বলে বিবেচিত।

‘জন্মভূমি’ কবিতায় বারংবার এদেশের মমতাময়ী স্পর্শে কবি পরম আনন্দ অনুভব করেন। কবির জীবন সার্থক এদেশে জন্মেছেন বলে। কবির শেষ ইচ্ছা তিনি যেন এ দেশের মাটিতে মাথা রেখে, এদেশের প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে নয়ন রেখে শেষবারের মতো নয়ন মুদতে পারেন। উদ্দীপকের কবিও এদেশের নদী-গিরি-বনে বেঁচে থেকে এদেশেই মরার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাংলা মায়ের আকাশ, বাতাস, ভাষা সকল কিছু মিলে বেঁচে থাকতে চান। অর্থাৎ কবির জন্ম এদেশে এবং তিনি এদেশের মাটিতেই মরতে চান। ‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এদেশের বুকে মৃত্যুবরণ করার আশা ব্যক্ত করেছেন। এদিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জন্মভূমি’ কবিতার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ঘ উদ্দীপকে মাতৃভ‚মির প্রতি যে ভালোবাসা ও প্রাণের টান প্রকাশ পেয়েছে তা ‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও প্রতিফলিত হয়েছে।

উদ্দীপকের কবি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ ও বিমোহিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে কবি তার প্রিয় দেশকে সব দেশের সেরা বলে মনে করেন। বাংলাদেশের আকাশ, বাতাস, ভাষা, সবকিছুই কবির মনকে আকৃষ্ট করেছে। তাই কবির ইচ্ছা, তিনি যেন এদেশের প্রকৃতিতে বেঁচে থেকে এদেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে পারেন।

‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাতৃভ‚মির প্রতি উদ্দীপকের অনুরূপ ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি এদেশকে মায়ের মতো ভালোবেসেছেন। প্রকৃতির রূপ ঐশ্বর্যে ভরপুর এদেশে জন্মগ্রহণ করে কবি নিজেকে সার্থক বলে মনে করেন। মাতৃভ‚মির সব কিছুই কবির প্রিয়। বনের ফুল, সূর্যের আলো, চাঁদের হাসি সবকিছুর মাঝেই আমরা কবির মুগ্ধ দৃষ্টির উপস্থিতি দেখতে পাই। এদেশের প্রকৃতির উজ্জ্বল আলোতে নয়ন রেখে তিনি শেষবারের মতো চোখ মুদতে চান অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করতে চান। এখানে কবির মাতৃভ‚মির প্রতি গভীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসার আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের কবির মধ্যেও তা প্রকাশ পেয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে মাতৃভ‚মির প্রতি যে ভালোবাসা ও টান প্রকাশ পেয়েছে ‘জন্মভূমি’ কবিতায়ও একই ভাবের সামগ্রিক প্রতিফলন দেখা যায়।

৫ . বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য




ভোরে সূর্যের সোনালি আলোয় জেগে ওঠে দেশ। পাখি ডাকে, দোয়েল শিস দেয়। কৃষাণি দুয়ার খোলে, কৃষক মাঠে যায়, মাঝি নোঙর তোলে। বাতাসে দোলে ফসলের মাঠ। যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি সবুজের সমারোহ, চিরসবুজের এই দেশের নাম বাংলাদেশ। এ দেশ আমার প্রিয় জন্মভূমি।

ক. ‘শিশু ভোলানাথ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ধরনের রচনা? ১

খ. ‘ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২

গ. উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ.‘উদ্দীপক এবং ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।’ মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর। ৪


ক ‘শিশু ভোলানাথ’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ রচনা।

খ ‘ওই আলোতে নয়ন রেখে মুদব নয়ন শেষে’ বলতে কবির মৃত্যুর পূর্ব মুহ‚র্ত পর্যন্ত স্বদেশের আলো-বাতাসে নিজের শরীর জড়িয়ে রাখার ইচ্ছাকে বোঝানো হয়েছে।

জন্মভূমির বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছে বাগানের ফুল, চাঁদের জ্যোৎস্না, সূর্যের আলো। এসব কবির মনকে আকুল করে। এদেশের মাটিতে কবির জন্ম। এর সূর্যালোকে কবির চোখ জুড়িয়েছে। তাই তিনি এই আলোতেই, এই দেশের মাটিতেই চিরনিদ্রায় শায়িত হতে চান। কবির মৃত্যুপূর্ব ইচ্ছা ব্যক্ত হয়েছে আলোচ্য উক্তিটিতে।

গ উদ্দীপকটি ‘জন্মভূমি’ কবিতায় বর্ণিত বাংলার রূপবৈচিত্র্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

একটি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ওই দেশের মানুষের মনের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, দেশকে আত্মার সাথে বেঁধে ফেলে। দেশের ফুল-পাখি, নদী-পাহাড়, সবুজ ফসলের মাঠ তাদের একান্ত নিজের হয়ে ওঠে। প্রিয় স্বদেশ ছেড়ে তারা কোথাও যেতে চায় না। উদ্দীপকেও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিদিন সূর্য ওঠার সাথে সাথে জনজীবনে যে সাড়া জাগে সে সম্পর্কে ইঙ্গিত করা হয়েছে। বাংলার কৃষকের দৈনন্দিন কাজ, মাঝির নোঙর ফেলা, মুক্ত মাঠে বাতাসের দোলা সবই চিরসস্মরণীয়।

উদ্দীপকের এই বর্ণনার সাথে ‘জন্মভূমি’ কবিতায় বর্ণিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনাটি সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিতাটিতে জন্মভূমির বিচিত্র সৌন্দর্যের অফুরন্ত উৎস হচ্ছে বাগানের ফুল, চাঁদের স্নিগ্ধ আলো, সূর্যের উত্তাপ প্রভৃতি। কবিতায় এসবের বর্ণনা দেওয়ার পাশাপাশি আমৃত্যু দেশেই কাটাবার প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে। সুতরাং উক্তিটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ “উদ্দীপক এবং ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূলভাব পুরোপুরি এক নয়।” মন্তব্যটি যথার্থ।

স্বদেশপ্রেম মানবচরিত্রের এক স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। স্বদেশের মানুষ স্বদেশের রূপ-প্রকৃতি, পশুপাখি, প্রতিটি ধূলিকণা তার সন্তানের কাছে পরম প্রিয় বস্তু। ফুলে ও ফসলে, কাঁদা মাটি-জলে এ দেশ তার সন্তানদের কাছে গর্বের অহংকারের। যা ‘জন্মভূমি’ কবিতায় প্রকাশিত হলেও উদ্দীপকে অনুপস্থিত।

উদ্দীপকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা স্থান পেয়েছে। সেখানে গ্রামবাংলার প্রাত্যহিক জীবনপ্রবাহের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ভোরে সূর্যালোকিত হওয়ার সাথে সাথে চারপাশে যে প্রাণের সাড়া পড়ে যায় তার নিখুঁত চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এই সৌন্দর্য বর্ণনাটি ‘জন্মভূমি’ কবিতার একটি অংশকে নির্দেশ করে। সে অংশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অংশ। কিন্তু ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কবির যে শেষ ইচ্ছাটি রয়েছে সে বিষয়ে উদ্দীপকে কোনো ইঙ্গিত নেই। এখানেই উদ্দীপকের অপূর্ণতা।

উদ্দীপকে কেবল বাংলাদেশের রূপসৌন্দর্যের বর্ণনা স্থান পেয়েছে। আর ‘জন্মভূমি’ কবিতায় জন্মভূমির বৈচিত্র্যময়তার সাথে কবির জীবনবোধ, ভালোবাসা এবং তা থেকে জন্মভূমির প্রতি অকৃত্রিম দরদ ফুটে উঠেছে। কবি জন্মভূমির মায়া কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারেন না। তাই তিনি এই দেশেতেই মরতে চেয়েছেন। উদ্দীপকে এ ধরনের কোনো প্রত্যাশা নেই। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে ‘জন্মভূমি’ কবিতার আংশিক বিষয়ই উঠে এসেছে, পুরোপুরি নয়।

অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ.

৬ . কবি হৃদয়ের ব্যাকুলতা


i. ‘গোধূলি লগনে জগদীশ স্মরে

বিদায় লইব জনমের তরে-

লুকাইব আমি সন্ধ্যার আঁধারে

বাংলা মায়ের ক্রোড়ে।’

ii. ‘ও আমার বাংলা মা তোর

আকুল করা রূপের সুধায়

পরাণ আমার যায় হারিয়ে

যায় হারিয়ে।’

ক. ‘শেষের কবিতা’- কোন ধরনের গ্রন্থ? ১

খ. ‘সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে।’- এখানে ‘মা গো’ দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন? ২

গ. উদ্দীপক-1. এ ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির মানসিকতার কোন বিশেষ দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপক (ii) ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূলভাবের সমগ্রতাকে ধারণ করেছে’- উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪


ক ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস।

খ ‘সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে’ এখানে ‘মা গো’ দ্বারা কবি মাতৃভ‚মিকে বুঝিয়েছেন।

কবি তার জন্মভiমিকে ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধাও করেন। মায়ের প্রতি কবির যেরূপ শ্রদ্ধা রয়েছে, জন্মভূমির প্রতিও সেরূপ শ্রদ্ধা রয়েছে কবির মনে। তাই তিনি দেশকে মায়ের সাদৃশ্য কল্পনা করে ‘মা গো’ বলে সম্বোধন করেছেন।

প্রয়োগ (গ. ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ. প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

গ ‘জন্মভূমি’ কবিতার কবির জন্মভূমিতে মৃত্যুবরণের দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।

৭ . জন্মভূমির শ্রেষ্ঠত্ব


i. ‘ কোন বনেতে জানি নে ফুল

গন্ধে এমন করে আকুল’

কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে।’


ii. ‘সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে

আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে।’

ক. ‘মুদব’ শব্দের অর্থ কী? ১

খ. জন্মভূমির ছায়ায় এসে কবির অঙ্গ জুড়ায় কেন? ২

গ. উদ্দীপকের সাথে জন্মভূমি কবিতার বৈসাদৃশ্য চি‎িহ্নত কর। ৩

ঘ. কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপক ও জন্মভূমি কবিতার ভাব একই ধারায় উৎসারিত বিশ্লেষণ কর। ৪


ক ‘মুদব’ শব্দের অর্থ বন্ধ করব।

খ জন্মভূমির ছায়ায় এসে কবি অপরূপ শান্তি অনুভব করেন বলে এর ছায়ায় এসে কবির অঙ্গ জুড়ায়।

মাতৃভ‚মির স্নেহ ছায়ায় কবির অতুলনীয় সুখ ও শান্তি লাভ করেন, মাতৃভ‚মির ধন রত্নে কবির কোনো আগ্রহ নেই। তাই এর স্নেহ ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়ায়।

প্রয়োগ (গ. ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ. প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

গ মৃত্যু পর্যন্ত দেশের আলো বাতাসে বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা এবং বাংলাদেশের মাটিতেই শেষ শয্যা গ্রহণ। এই বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।

ঘ উদ্দীপক (র.-এ ‘জন্মভূমি’ কবিতার মতো দেশের সৌন্দর্য প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপক (i. ‘জন্মভূমি’ কবিতার মতোই বাংলার মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের বিষয়টি প্রকাশিত -এ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করতে হবে।

৮ . জন্মভূমির রূপ মাধুরি


এই দেশে জন্ম-যেন এই দেশেতে মরি

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,

সকল দেশের রানি সে যে, আমার জন্মভূমি।

ক. রবীন্দনাথের ছদ্মনাম কী? ১

খ. জন্মভূমির ধনসম্পদ কবিকে আকর্ষণ করে না কেন? ২

গ. উদ্দীপকে ‘জন্মভূমি’ কবিতার যে ভাবের প্রতিফলন লক্ষণীয় তা তুলে ধর। ৩

ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘জন্মভূমি’ কবিতার মূলভাবকে পুরোপুরি ধারণ করেছে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪


ক রবীন্দনাথের ছদ্মনাম ভানুসিংহ।

খ জন্মভূমিকে ভালোবেসে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিপূর্ণ হয়েছেন। তাই এর ধনসম্পদ কবিকে আর আকর্ষণ করে না।

এদেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন কবি। এ দেশকে ভালোবেসেছেন। তাঁর এ ভালোবাসার কোনো স্বার্থ নেই। এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কবির আত্মা তৃপ্ত হয়েছে। এ কারণেই এদেশের ধন সম্পদের প্রতি কবির আকর্ষণ নেই।

প্রয়োগ (গ. ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ. প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-

গ এদেশের মাটিতে জন্মে এবং শেষ পর্যন্ত এদেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি বর্ণনা করতে হবে।

ঘ দেশের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা ও দেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করার ভাবটি উদ্দীপকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়েছে।-এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে হবে।


জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১ . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

২ . বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন কে?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন।

৩ . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর : ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন।

৪ . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

৫ . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৬ . ‘জন্মভূমি’ কবিতাটির কবি কে?

উত্তর : ‘জন্মভূমি’ কবিতাটির কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৭ . কোনটি কবিকে আকুল করে?

উত্তর : ফুলের গন্ধ কবিকে আকুল করে।

৮ . কবির কাছে মাতৃভ‚মি কীসের মতো?

উত্তর : কবির কাছে মাতৃভ‚মি মায়ের মতো।

৯ . কার জনম সার্থক?

উত্তর : কবির জনম সার্থক।

১০ . কবি দেশকে কী বলে সম্বোধন করেছেন?

উত্তর : কবি দেশকে মা বলে সম্বোধন করেছেন।

১১ . দেশের ছায়ায় কার অঙ্গ জুড়ায়?

উত্তর : দেশের ছায়ায় কবির অঙ্গ জুড়ায়।

১২ . বনের ফুলের ঘ্রাণ কী রকমের?

উত্তর : বনের ফুলের ঘ্রাণ আকুল করা।

১৩ . চাঁদ কোথায় ওঠে?

উত্তর : চাঁদ গগনে (আকাশে. ওঠে।

১৪ . আঁখি মেলে কবি প্রথম কী দেখেছেন?

উত্তর : আঁখি মেলে কবি প্রথম দেশের আলো দেখেছেন।

১৫ . কবির চোখ কী দেখে জুড়াল?

উত্তর : কবির চোখ দেশের আলো দেখে জুড়াল।

১৬ . ‘জন্মভূমি’ কবিতা কোন দেশকে উদ্দেশ্য করে লেখা?

উত্তর : ‘জন্মভূমি’ কবিতা বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে লেখা।

১৭ . দেশের আলোতে নয়ন রেখে কবি কী করবেন?

উত্তর : দেশের আলোতে নয়ন রেখে কবি নয়ন মুদবেন।

১৮ . ‘মুদব নয়ন’ দ্বারা কবি কী ইঙ্গিত করেছেন?

উত্তর : ‘মুদব নয়ন’ দ্বারা কবি মৃত্যুকে ইঙ্গিত করেছেন।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১ . ‘জন্মভূমি’ কবিতায় কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ‘জন্মভূমি’ কবিতায় জন্মভূমির প্রতি কবির মমত্ব ও দেশপ্রেমের গভীর আবেগ ফুটে উঠেছে।

কবি তার জন্মভূমিকে মায়ের মতো ভালোবাসেন। এদেশের প্রাকৃতিক শোভা কবিকে মুগ্ধ করে। এদেশের প্রকৃতির উজ্জ্বল আলো আর মিষ্টি বাতাসে কবির দেহ ও মন জুড়িয়ে যায়। এদেশের সুন্দর প্রকৃতি কবির মনে যে শিহরণ জাগায় তাতে কবি আনন্দিত। কবির জন্মভূমি অজস্র ধনরত্নের আকর কি না তাতে তার কিছু আসে যায় না। কারণ তিনি তার মাতৃভ‚মির স্নেহছায়ায় যে সুখ পেয়েছেন তা তার অঙ্গ জুড়িয়েছে। কবিতাটির প্রতিটি ছত্রে কবির দেশপ্রেমের গভীর আবেগ ফুটে উঠেছে।

২ . ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ পঙ্ক্তিটি বুঝিয়ে দাও।

উত্তর : ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কবি নিজের জন্মকে সার্থক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

কবি তার জন্মভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। হৃদয়ের মাঝে তিনি জন্মভূমির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। এজন্যই জন্মভূমিতে কবি পেয়েছেন জীবনের স্বাদ। এজন্যই কবি নিজের জন্মকে সার্থক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

৩ . “কোন বনেতে জানি নে ফুল/গন্ধে এমন করে আকুল।” পঙ্ক্তিদ্বয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : “কোন বনেতে জানি নে ফুল/গন্ধে এমন করে আকুল” পঙ্ক্তিদ্বয় দ্বারা কবি তার দেশের ফুলের প্রাচুর্যকে প্রকাশ করেছেন।

কবির দেশে অনেক প্রকারের ফুল আছে। সব বনেই নানা রঙের নানা গন্ধের ফুল ফোটে। কোন বনে কোন ফুল ফোটে, কবি সেটা ঠিক মনে করতে পারেন না, কিন্তু ফুলের ঘ্রাণে কবি আকুল হয়ে যান।

৪ . ‘কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে’ পঙ্ক্তিটি দ্বারা কবি কী বুঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর : ‘কোন গগনে ওঠে রে চাঁদ এমন হাসি হেসে’ এ পঙ্ক্তিটিতে কবি জন্মভূমির প্রতি সৌন্দর্যের অভিভ‚ত হয়ে একথা ব্যক্ত করেছেন। এভাবে আর কোথাও উদয় হয় না।

দেশের প্রতি কবির মনে অনেক বেশি আবেগ, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রয়েছে। যার কারণে দেশের প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুই কবিকে বিমোহিত করে। কবি দেশের আকাশে চাঁদ দেখে ভেবেছেন, এত সুন্দরভাবে চাঁদ পৃথিবীর আর কোনো দেশেই উদয় হয় না।

৫ . কবি দেশের আলোতে নয়ন রেখে মৃত্যুবরণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন কেন?

উত্তর : দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থাকার কারণে কবি দেশের আলোতে চোখ রেখে মৃত্যুবরণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

জন্মের পর চোখ মেলে প্রথমে কবি দেশের আলো দেখেছেন, যা কবির চোখ জুড়িয়ে দিয়েছে। দেশকে কবি ভালোবেসেছেন সমস্ত সত্তা দিয়ে এবং দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা থাকার কারণে দেশের আলোতে চোখ রেখে মৃত্যুবরণ করার ইচ্ছা করেছেন।

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.