সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলার নিন্দা
কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক বিকাল ৫টার সময় সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙ্গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষী নাজমুল হক ও সুমন গমেজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল রোববার বিকাল ৫টার সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালিয়েছে বহিরাগত শতাধিক যুবক। এ সময় তারা নিরাপত্তাকর্মী নাজমুল হক ও সুমন গমেজকে ব্যাপক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ডক্টর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সুযোগে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক বিকাল ৫টার সময় সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙ্গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষী নাজমুল হক ও সুমন গমেজকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্ট করে। দুপুর ২টার মধ্যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসময় প্রতিষ্ঠানের স্বল্প সংখ্যক কর্মচারি, অফিস স্টাফ ও ব্রাদাররা অবস্থান করছিলেন। এ হামলায় তারা সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এসময় হামলাকারীরা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থান ত্যাগ করে। তারা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙ্গে ফেলে। কাগজপত্রে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে।
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার প্লাসিড পিটার রিবেরু বলেন, ১৪২ বছর ধরে সেন্ট গ্রেগরী স্কুল ঐতিহ্যগতভাবেই প্রীতি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে আসছে। সেই সাথে সেই শুরু থেকেই এ বিদ্যালয়ের আশেপাশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক বজায় রেখে সহাবস্থান করছে। বরাবরের ন্যায় গ্রেগরী পার্শ্ববর্তী কোনো প্রতিষ্ঠানকে তাদের পক্ষ-প্রতিপক্ষ মনে করে না। ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন হিসেবে গণ্য করে আমরা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছি। উভয়পক্ষ বসে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে একটা সুষ্ঠ সমাধানের পথে এগিয়ে যাব বলে আশা করছি।
No comments
Thank you, best of luck