ads

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্শন)



Curriculum (শিক্ষাক্রম) Syllabus (পাঠ্যসূচি) এবং Textbook (পাঠ্যপুস্তক) তিনটা পৃথক জিনিস। আমরা যেহেতু সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারিনি, অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষকই বিষয়গুলো গুলিয়ে ফেলেন। সেখানে সাধারণ মানুষের ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। এই সব বিষয় হল শিক্ষার ভিত্তি। এর পরে যে বিষয়গুলো আসে তা হল Pedagogy (বাংলায় শিক্ষাবিজ্ঞান বা শিক্ষাবিদ্যা বলা হলেও তা সঠিক অর্থ প্রকাশ করে বলে আমার মনে হয় না), Teaching Methodology (শিক্ষাদান পদ্ধতি)। শিক্ষার মাধ্যম ভাষা। তাই Methodology-তে ভাষাশিক্ষাটা বিশেষ গুরুত্ব রাখে। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ELT (English Language Teaching) এবং CLT ( Communicative language teaching) বিষয়ে সকল শিক্ষকেরই কিছু সাধারণ ধারনা থাকা দরকার। এইসব মৌলিক বিষয়গুলোতেই আমাদের ঘাটতি আছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ঠিক নেই, বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকদেরকে পেশাগতভাবে তৈরি করার কাজটা সেভাবে করা হয়নি। এইরকম একটা অবস্থায় লেখাপড়া বা শিক্ষাদান বিষয়ে মানুষ কেবল ধারনা থেকেই মতামত দেবে, এটা স্বাভাবিক। নতুন কিছু চালু করতে গেলে মানুষ পরিবর্তনকে ভয় পাবে, সেটাও স্বাভাবিক। অভিভাবকদের উদ্বেগকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে। কিন্তু যুক্তিহীন বা উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার কিছু নেই।



এতদিন হয়নি বলে এখন হবে না, এটা কোনো যুক্তি নয়। শিক্ষাক্রম একটা জাতীয় ডকুমেন্ট। জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)’ এ বিষয়ে একক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাক্রম তৈরি এবং এর পরিমার্জন, পরিবর্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সর্বশেষ শিক্ষাক্রম গৃহীত হয় ২০১২ সালে। এনসিটিবি তার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে সেই শিক্ষাক্রমের কার্যকারিতার উপর অসংখ্য জরিপ ও গবেষণা পরিচালনা করেছে। শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিখন চাহিদা নিরূপনের জন্য ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি বড় গবেষণা পরিচালনা করা হয়। নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অবশেষে ২০২১ সালে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা, ২০২১’ নামে একটি চূড়ান্ত ডকুমেন্ট প্রস্তুত করা হয়। অংশীজন ও জনসাধারণের মতামত প্রদানের জন্য এটি বছরাধিককাল ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত ছিল। এটির ভিত্তিতেই বর্তমান শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাঁচটি ভিত্তিকে বিবেচনা করা হয়েছে। সেগুলো হলো :
• দার্শনিক ভিত্তি (Philosophical foundation)
• মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি (Psychological foundation)
• ঐতিহাসিক ভিত্তি (Historic foundation)
• জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকার (Global and national priorities) এবং
• প্রমাণনির্ভর ভিত্তি (Evidence based Foundation)

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.