ads

সাদেকা হালিম উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ভূমিকা: 
সাদেকা হালিম একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। পূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় আগামী বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেন। 



জন্ম ও পরিবার: 
সাদেকা হালিমের পিতা ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে।

শিক্ষা: 
সাদেকা হালিম ঢাকার উদয়ন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন: 
১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান সাদেকা হালিম। পরবর্তীতে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয়বার স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য কমিশনে প্রথম নারী তথ্য কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি তিন মেয়াদে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও তিনবার সিনেট সদস্য ছিলেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর ১৮ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের কমিটিতে সদস্য ছিলেন। পেশাগত জীবনে সাদেকা হালিম অতিথি অধ্যাপক হিসেবে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার বকু বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজ বিভাগ ও আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হায়ার এডুকেশন লিংক প্রোগ্রামের অধীনে কুইন্স-এর ভিজিটিং ফেলো ছিলেন সাদেকা হালিম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা প্রায় ৫০টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্গ-সমতা, বন ও ভূমি, উন্নয়ন, আদিবাসী ইস্যু, মানবাধিকার এবং তথ্য অধিকার প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়। ২০২২ সালের কাউন্সিলে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য করা হয়। 

সমালোচনা: 
তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণায় জালিয়াতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।  


প্রকাশিত বই: 
চেতনায়নেই উন্নয়ন : বাংলাদেশে নিজেরা করি’র অভিজ্ঞতা
Devolopment as Conscientization : The Case of Nijera Kori in Bangladesh
Life and Land of Adibashis : Land Dispossession and Alienation of Adibshis in the plain Districts of Bangladesh 


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া





No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.