ads

ডিসেম্বরে দুই ধাপে প্রশিক্ষণ পাবেন মাধ্যমিকের চার লাখ শিক্ষক


নতুন শিক্ষাক্রমে চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বরে দু’ধাপে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে দেশের মাধ্যমিক স্তরের চার লাখ ২৫ হাজার ২৫০ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে দু’ধাপে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের। এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ৪০৬ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন দেশের চার লাখ ২৫ হাজার ২৫০ জন শিক্ষক। প্রথম ধাপে বছরের শেষ মাসের প্রথম দিন থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে শেষ হবে ৭ তারিখের মধ্যে। এরপর ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে প্রশিক্ষণ পাবেন শিক্ষকরা।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রথম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হলে শিক্ষকদের এসব ক্লাসের পাঠ্য বইয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু আসছে বছর নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠের আওতায় আসবে দ্বিতীয়, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা; সেজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এসব শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের বিষয়গুলোর তদারকি করছে মাউশি।

এছাড়াও অধিদপ্তর চলতি অক্টোবরের ১৮ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে বিগত প্রশিক্ষণ থেকে বাদ পড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ থেকে বাদ পড়া এসব শিক্ষকদের শেখানোর কাজে অধিদপ্তরের ব্যয় হবে ১০৬ কোটি টাকা। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বাজেট প্রস্তাবে এ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩২ কোটি ১৯ হাজার ২০০ টাকা। বাদ পড়া শিক্ষকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যসূচির ওপর।

সরকার গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগে মাধ্যমিক স্তরের তিন লক্ষাধিক শিক্ষককে শুরুতে এক ঘণ্টা করে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়। এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষককে পাঁচ দিনের সশরীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পথরেখা ঠিক করে দিয়েছিল। এরপর শিক্ষকরা পাঁচদিন সশরীর প্রশিক্ষণ পান চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) স্কিম শাখার পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আলী জানিয়েছেন, আমরা বাদ পড়া সকল শিক্ষককে এবারের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, এবারের প্রশিক্ষণের ফলে আর কোনো শিক্ষক নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রশিক্ষণের বাইরে থাকবেন না। এছাড়াও যেহেতু আগামী বছর নতুন শিক্ষাবর্ষে আমাদের অষ্টম ও নবম শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আসছে। সেজন্য আমরা পরবর্তী ক্লাসগুলোর প্রশিক্ষণ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করব।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা মাউশির এ কর্মকর্তা বলছেন, আমরা এবার বাদ পড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করে সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছি। কোনো শিক্ষক প্রশিক্ষণের বাইরে থাকলে তিনি শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারবেন না। ফলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা; আমরা কোনো শিক্ষার্থীকে নতুন শিক্ষাক্রম থেকে বঞ্চিত করতে চাই না।


No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.