ads

স্কুল-কলেজের পরিচালনা কমিটি নিয়োগ ক্ষমতা হারাচ্ছে

স্কুল বা কলেজের শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগের অবসান হতে চলছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে কমিটি। এ জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করার কাজ চলমান রয়েছে। এতে শিক্ষক নিয়োগের আইনি ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন হবে। প্রথমত সংস্থাটিকে বাড়াতে হবে জনবল।


সূত্রগুলো বলছে, শিক্ষক নিয়োগের আইনি ক্ষমতা দিতে ইতোমধ্যে সংশোধিত খসড়া আইন মতামতের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে গেজেট প্রকাশ হলে নিয়োগ দিতে পারবে এনটিআরসিএ।

সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে। নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ২০০৫ সালে এনটিআরসিএ গঠন করা হয়। পরীক্ষা আয়োজন করে শিক্ষকদের সনদ দেওয়াই ছিল এনটিআরসি এর কাজ। এই কাজের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০০৫ করা হয়েছিল। নিবন্ধন সনদ দিলেও নিয়োগ হতো কমিটির মাধ্যমে। এতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

আইনের সব দিক যাচাই-বাছাই শেষে এটি মন্ত্রিপরিষদের সভায় উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভোটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভোটিং শেষে তা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। সংসদে বিল পাস হলে তা রাষ্ট্রপতির দফতরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম ঠেকাতে ২০১৫ সালে এনটিআরসিএকে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের দায়িত্ব দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ওই ক্ষমতাবলেই ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত চারটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। তবে এটির কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। আইনি ভিত্তি দিতেই এনটিআরসিএ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এনটিআরসিএর একটি সূত্র জানিয়েছে, সংশোধিত আইনের খসড়ায় এনটিআরসিএর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ২০০৫ সালের আইনে নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি থাকতেন। তবে সংশোধিত খসড়া আইনে কাজের সমন্বয় করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের দুইজন প্রতিনিধি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। খসড়া আইনের প্রস্তাবে এনটিআরসিএর সচিব পদের নাম পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আইনটি পাশ হলে এই পদের নাম হবে পরিচালক (প্রশাসন)। এ ছাড়া পিএসসির আদলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। খসড়া আইন পাশ হলে এনটিআরসিএর কাজের গতি আরো বাড়বে বলেই মনে করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন জানান, শিক্ষক নিয়োগের আইনি ক্ষমতাসহ নানা বিষয়ের পরিবর্তন করে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। আইনের সব দিক যাচাই-বাছাই শেষে এটি মন্ত্রিপরিষদের সভায় উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের ভোটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভোটিং শেষে তা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে। সংসদে বিল পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির দফতরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।


No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.