ads

বঙ্গভূমির প্রতি, মাইকেল মধুসূদন দত্ত , ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন

মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কয়েকটি গীতিকবিতার একটি “বঙ্গভূমির প্রতি’। এ কবিতায় স্বদেশের প্রতি কবির শ্রদ্ধা ও একাগ্রতা তীব্রভাবে প্রকাশ পেয়েছে। দেশকে কবি মা হিসেবে কল্পনা করে নিজেকে ভেবেছেন তার সন্তান। প্রবাসী মধুসূদন ভেবেছেন- মা যেমন সন্তানের কোনো দোষ মনে রাখেন না, দেশমাতৃকাও তার সব দোষ ক্ষমা করে দেবেন। অবশ্য তিনি বিনয়ের সঙ্গে এও বলেছেন যে, তার এমন কোনো মহৎ গুণ নেই, যে-কারণে তিনি স্মরণীয় হতে পারেন । বিনয়ী কবি তাই দেশমাতৃকার কাছে এই বলে প্রণতি জানাচ্ছেন, তিনি যেন দেশমাতৃকার স্মৃতিতে পদ্মফুলের মতো ফুটে থাকেন।
বঙ্গভূমির প্রতি, মাইকেল মধুসূদন দত্ত 


বঙ্গভূমির প্রতি, কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

১ : ল্যাপটপ কিনে দেয়নি বলে বাবা- মায়ের ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল রাসেদ। বন্ধুর বাড়িতে দুদিন কাটানোর পর সে বুঝতে পারে যে ঐ পরিবারের সকলে ওকে বোঝা ভাবছে। আরও কিছু হওয়ার আগেই সে নিজ বাড়িতে ফিরে মা- বাবার কাছে কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। মা বলেন, পর কখনো আপন হয় না রে পাগল, আপন হয় না।
ক. ‘মক্ষিকা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. কবি নিজেকে ‘দাস’ ভেবেছেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের রাসেদের মাঝে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতা রচায়িতার যে চেতনা প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উল্লিখিত চেতনাই কেবল ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে না- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো ।

২.  উদ্দীপক ১ :
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল-ছায়ায়;
উদ্দীপক ২
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই।
এই সূর্য করে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই!
ক. বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
খ. কবি বর প্রার্থনা করেন কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথম কবিতাংশের আলোকে ‘ফুটি যেন স্মৃতি-জলে’ চরণটির ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘‘দ্বিতীয় কবিতাংশ ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার মূল সুর একই”- তুমি কি একমত? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

৩. মিছা মণি মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয় প্রেম
তার চেয়ে রত্ন নাহি আর। 
সুধা করে কত সুধা, দূর করে তৃষ্ণা কাষুধা 
স্বদেশের শুভ সমাচার। 
কতরূপ হেরি করি, দেশের কুকুর ধরি 
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।
ক. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কী ধরনের কবিতা?
খ. জীবন নদের নীর স্থির নয় কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার যে দিকটি অনুপস্থিত তা ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার মূল চেতনা একই ধারায় প্রবাহিত। মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৪. “এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।”
ক. বাংলা ভাষার প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
খ. ‘সেই ধন্য নরকূলে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকে ফুটে ওঠা দিকটি ছাড়াও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় আরও নানা দিকের সমাবেশ ঘটেছে”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো।

৫. জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো 
এমন করে আকুল হয়ে, আমায় তুমি ডাকো
তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমায় কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে,
বুকে যদি রাখো মাগো।
ক. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কী জাতীয় কবিতা?
খ. ‘রেখো, মা, দাসেরে মনে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘‘উদ্দীপক ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতা রচনার পেছনে একই চেতনা কাজ করেছে”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

৬ . আনোয়ারা বেগমের ছেলেমেয়েরা সবাই আমেরিকায় থাকেন। দেখাশোনার কেউ না থাকায় তাকেও সেখানে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। ছেলেমেয়েদের তিনি বলে রেখেছেন, তার মৃতদেহ যেন অবশ্যই বাংলাদেশে দাফন করা হয়।

ক. ‘যাচিব’ অর্থ কী?
খ. কবি মধুসূদন দত্ত মাতৃভূমির কাছে কী বর প্রার্থনা করেছেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকে ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার বিষয়বস্তুর আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে।”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৭. সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।
সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে।।
জানি নে তোর ধনরতন আছে কিনা রাণির মতন,
শুধু জানি আমার অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে।।
ক. ‘কোকনদ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে’- এ কথার মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপক এবং ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার মধ্যে যে দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকে কবিতা এবং ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতা রচনার পেছনে একই চেতনা কাজ করেছে”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

৮. হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি- তব গৃহক্রোড়ে
চিরশিশু ক’রে আর রাখিও না ধরে।
দেশ দেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিও না ভালো ছেলে ক’রে।

ক. কোন নদের নীর চিরস্থির নয়?
খ. প্রবাশে কবির জীবনাবসান ঘটলেও খেদ নেই কেন?
গ. উদ্দীপক ও ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার মধ্যে যে দিকটির মিল পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের দেশাত্মবোধ ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতায় দেশাত্মবোধের যে পরিচয় করে তা মূল্যায়ন করো।



৯. আমি অকৃতি অধম
বলেওতো কিছু কম মোরে দাওনি;
যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েওতো কিছু নাওনি।
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত পত্রকাব্যের নাম লেখ।
খ. ‘‘সেই ধন্য নরকূলে, লোকে যারে নাহি ভুলে”- কবি একথা বলেছেন কেন?
গ. ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার কোন ভাবানুভূতি উদ্দীপকে খুঁজে পাওয়া যায়?- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘‘কবিতাংশটি ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সামগ্রিকভাবকে প্রকাশ করেনি।”- মন্ব্যটি যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করো। 
১০. বাঙালির সনে মিশে প্রাণে প্রাণে
বাঙালি আমার আপনার জন
বাঙালি আমার ভাই।
ক. ‘শমন’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘মক্ষিকাও গলে না গো পড়িলে অমৃত হ্রদে’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের প্রত্যাশা ও কবির প্রত্যশিার তুলনা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের কবিতাংশ ‘বঙ্গভূমির প্রতি’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে প্রকাশ করেনি।’- তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও







No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.