ads

ট্রেইনার / প্রশিক্ষক নয় শুধু সম্মানিত সহযোগী যোদ্ধাদের ফ্যাসিলিটেটর (Facilitator) হিসাবে কাজ করতেই ভালোবাসি।



ট্রেইনার / প্রশিক্ষক নয় শুধু সম্মানিত সহযোগী যোদ্ধাদের ফ্যাসিলিটেটর (Facilitator) হিসাবে কাজ করতেই ভালোবাসি।
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণের “শিক্ষাক্রম বিস্তরণ” বিষয়ক থানা পর্যায়ের প্রশিক্ষণ
ভেন্যু: আহমেদ বাওয়ানী একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আয়োজনে: থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কোতোয়ালি, ঢাকা
⦿ প্রশিক্ষণ তারিখ: ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫ জানুয়ারি-২০২৩ খ্রি. (প্রথম ব্যাচ)
⦿ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য : জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারা।
⦿ উদ্দেশ্য:
⦿ শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এবং পূর্ববর্তী শিক্ষাক্রমের মধ্যে মূল পরিবর্তনসমূহ শনাক্ত করতে পারা।
⦿ পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকার সমন্বয়ে পাঠদানের জন্য অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন-শেখানো পদ্ধতি, মূল্যায়ন কৌশল জানা ও অনুশীলন করা।
⦿ বিভিন্ন অংশীজনের কাছে শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ - এর কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করতে পারা।
⦿ শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুসারে শিক্ষার্থীরা যেভাবে যোগ্যতা অর্জন করবে:
⦿ অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন
⦿ হাতে কলমে শিখন
⦿ প্রকল্প এবং সমস্যাভিত্তিক শিখন
⦿ সহযোগিতামূলক শিখন
⦿ অনুসন্ধানভিত্তিক শিখন
⦿ স্ব-প্রণোদিত শিখনের সংমিশ্রণ
⦿ অনলাইন ও মিশ্র শিখন



⦿ যোগ্যতা কী?
'জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে অর্জিত সক্ষমতা / অর্জিত অভিক্ষতা
⦿ যোগ্যতা নির্ধারণের প্রেরণা : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
⦿ মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করবে।
⦿ নতুন কারিকুলামে শিক্ষাকে প্রতিযোগিতামূলক নয়, সহযোগিতামূলক করা হয়েছে।
⦿ পরস্পরের মতের বিনিময় ঘটিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
এই ধারণায় এবার শিক্ষক বই পড়াবেন না; তিনি শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে বিভিন্ন শিখন-অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবেন। শিক্ষক পালন করবেন মেন্টর / ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা।
⦿ শিখন শেখানোর ধাপ:
নীরব পাঠ, সরব পাঠ, একক কাজ, দলগত কাজ, উপস্থাপন, প্রদর্শন ও প্রশ্নোত্তর।
⦿ শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যবই আর শিক্ষকের জন্য 'শিক্ষক সহায়িকা'। শিক্ষককে শিক্ষক সহায়িকার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই।
⦿ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনেও পাঠদান করা যাবে।
⦿ মূল্যায়ন:
শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মাত্রার জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনা বিকাশের ধারাকে মূল্যায়ন করা হবে। সকল ধরনের শিখন মূল্যায়নের ভিত্তি হবে যোগ্যতা।
⦿ মূল্যায়ন কোনো ডিজিটে (সংখ্যায়) হবে না। হবে পারদর্শিতার নিদের্শক / রুব্রিক্স অনুযায়ী।
⦿ দক্ষতার স্তর তিনটি:
⦿ প্রারম্ভিক
⦿ অন্তর্বর্তীকালীন
⦿ পারদর্শী
⦿ তিনভাবে মূল্যায়ন হবে।
⦿ শিখনকালীন মূল্যায়ন (প্রতিটি শিখন-অভিজ্ঞতা শেষে)
⦿ সামষ্টিক মূল্যায়ন ৬ মাস ও বছর শেষে মূল্যায়ন মেলা / উৎসবের মাধ্যমে হবে।
⦿ আচরণিক মূল্যায়ন
⦿ মূল্যায়নের জন্য অ্যাপ ব্যবহার করা হবে।
⦿ শিখনকালীন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আচরণিক বৈশিষ্ট্য, অংশগ্রহণ ও উপস্থাপনই হবে 'পারদর্শিতার নির্দেশক'।
⦿ শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলেই পিছিয়ে পড়বে, বাদ পড়বে কোনো একটি যোগ্যতা অর্জন থেকে।
⦿ শিক্ষার স্তর:
⦿ প্রাক-প্রাথমিক: প্রস্তুতি (Preparation)
⦿ প্রাথমিক: ভিত্তি (Foundation)
⦿ মাধ্যমিক : সামাজিকীকরণ (Socialization)
⦿ উচ্চ-মাধ্যমিক: বিশেষায়ণের জন্য প্রস্তুতি (Towards Specialization)
⦿ উচ্চশিক্ষা: বিশেষায়ণ (Specialization)
⦿ কাঙ্ক্ষিত মূল্যবোধসমূহ:




সংহতি : এক হয়ে থাকার মানসিকতা। ভিন্নতা, বৈচিত্র্য ও শ্রেণিভেদ সত্ত্বেও ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও অগ্রাধিকারকে পেছনে রেখে কতগুলো সামষ্টিক ইচ্ছা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং মানবিক মূল্যবোধের পরিপ্রক্ষিতে সকলে মিলে বড়ো কোনো লক্ষ্য অর্জনে কাজ করা।

দেশপ্রেম : ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজ দেশের সার্বিক কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই হচ্ছে দেশপ্রেম।

সম্প্রীতি: ভিন্নতা, বৈচিত্র্য ও শ্রেণিভেদের মধ্যেও বিদ্যমান দৃঢ়তাসমূহের সম্মিলনে সর্বোচ্চ ঐক্য প্রদর্শন এবং বজায় রাখাই হচ্ছে সম্প্রীতি।

পরমতসহিষ্ণুতা : ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তাধারাকে সূ² চিন্তন দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রহণ বা বর্জনের স্বাধীনতা এবং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহনশীলতা প্রর্দশন হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের অনুসারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা প্রদর্শন হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা।

শ্রদ্ধা : স্থায়িত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ সকল মানুষের বৈশিষ্ট্য, স্বাতন্ত্র্য ও গুণাবলির আলোকে পারস্পরিক ইতিবাচক অনুভূতির প্রকাশই শ্রদ্ধা বা সম্মান।

সহমর্মিতা: অন্যের মনের অবস্থা ও অনুভ‚তি আন্তরিকভাবে অনুধাবন করে তার সঙ্গে একাত্ম হওয়া

শুদ্ধাচার : শুদ্ধাচার মানে নিজের কাছে দায়বদ্ধ থেকে যেকোনো পরিস্থিতিতে নৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পরীবিক্ষণ ছাড়াই নিজ দায়বদ্ধতা থেকে নৈতিকভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়াই শুদ্ধাচার।

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.