ads

পাখির রাজা ঈগল থেকে শিক্ষা গ্রহণ




প্রকৃতি আমাদেরকে প্রকৃত বন্ধু ও শিক্ষক। প্রকৃতিতে যে জ্ঞান থাকে তার সাথে কোনো জ্ঞান এর তুলনা হয় না। এ রকম জ্ঞান ও শিক্ষা আমরা ঈগলের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। পাখির রাজা ঈগল। প্রকৃতি বলে তুমি যদি একটা ঈগল হতে চাও তাহলে তোমাকে জ্বলতে হবে,কষ্ট করতে হবে, কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।একটা ঈগলের গড় আয়ু সাধারণত ৭০ বছর হয়ে থাকে অর্থাৎ একটা ঈগল সাধারণত ৭০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। তবে কাহিনীটার রহস্যময় কথা হলো একটা ঈগল সাধারণত ৪০ বছর পর আর শিকার করতে পারে না। ঈগল সাধারণত শুধু শিকার করা প্রাণী নিজের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এখন মনে প্রশ্ন জাগছে তাই না ৪০ বছর পর এমন কি হয় যে ঈগল আর শিকার করতে পারে না আর শিকার যদি নাই করে তাহলে সে ৭০ বছর পর্যন্ত কিভাবে বেঁচে থাকে? এখন দেখা যাক ৪০ বছর হওয়ার পর এমন কি ঘটে থাকে। ৪০ বছর হওয়ার পর ঈগলের যে ঠোঁট থাকে, যেই ঠোঁট দিয়ে সে শিকার করে, ৩০ বছর ধরে শিকার করতে করতে সেই ঠোঁট বেঁকে যায়। ফলে সে তার ঠোঁট দিয়ে আর শিকার ধরতে পারে না। আবার যে পা দিয়ে সে শিকার ধরতো সেই পায়ের নখ গুলো পর্যন্ত বেঁকে যায়। ফলে সে পা দিয়েও আর শিকার ধরতে পারে না। শুধু তাই নয়, তার ডানার পালকগুলো পর্যন্ত জড়িয়ে যায়। ফলে সে ভালো করে উড়তেও পারে না।এমন দুঃসময় প্রতিটি ঈগলের জীবনেই আসে। এমতাবস্থায় ঈগলটির সামনে শুধু একটায় রাস্তা থাকে, না খেয়ে মরে যাওয়া।তবে সব ব্যর্থটার অবসান ঘটিয়ে ঈগল টি প্রমাণ করে দেয় পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। ৪০ বছর পর ঈগল সাধারণত তার এলাকার সবচেয়ে বড় পাহাড়ে চলে যায়। তারপর নিজের ঠোঁট দিয়ে বার বার পাহাড়ের পায়ে আঘাত করতে থাকে। আঘাত করতে করতে ঠোঁটের চারপাশ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে, প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তবুও ঈগলটি সকল ব্যথা সহ্য করে। এভাবে পাহাড়ের গায়ে আঘাত করতে করতে ঠোঁটটি ভেঙে যায়। একই ভাবে ঈগলটি পাহাড়ের গায়ের সাথে তার পায়ের নখ গুলো ঘষতে থাকে। এভাবে ঘষতে ঘষতে এক সময় সকল নখ গুলো ভেঙে যায়। প্রচণ্ড যন্ত্রণার পরেও সে কিন্তু হাল ছেড়ে দেয় না।কাহিনী কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ৬ মাস পর নতুন ঠোঁট গজানোর পর সে ঠোঁট দিয়ে নিজের পালক গুলো নিজেই টেনে ছিঁড়তে থাকে, কারণ এই পালক গুলো তার কোন কাজে আসে না। সমস্ত শরীর রক্তে লাল হয়ে যায় পালক ছিঁড়তে ছিঁড়তে। তবুও সে কষ্ট সহ্য করে দেহের সমস্ত পালক ছিঁড়ে ফেলে। তারপর ধীরে ধীরে নতুন পালক গজাতে থাকে। নতুন পালক আসার পর সে নতুন ঠোঁট, পায়ের নখ এবং নতুন পালক দিয়ে আবার ৩০ বছরের জন্য নতুন ঈগল হিসেবে জীবন ফিরে পায়। একটা ঈগল হয়ে যদি সে এতো কষ্ট করতে পারে, আমরা মানুষ হয়ে কেন সামান্য ব্যর্থটায় হাল ছেড়ে দি।একটা ঈগলের জীবন আবারও প্রমাণ করে পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের জীবনে যেই দুঃখ, কষ্ট, ব্যর্থটা আসে সেগুলো তো কিছুই না।তবুও কেন যেন আমরা সামান্য ব্যর্থটায় হতাশ হয়ে পরি।তাই জীবনে কখনো দুঃখ, কষ্ট, ব্যর্থটা আসলে হতাশ হবেন না। ঈগলের মতো দমে না গিয়ে লড়াই করবেন। সফলতা আসতে বাধ্য হবে।




No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.