ads

অষ্টম শ্রেণি, আইসিটি, পঞ্চম অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর:






১. তােমার বিজ্ঞান বইটি হারিয়ে গেলে সহজে তুমি বইটি কীভাবে পেতে পার বর্ণনা করো।


উত্তর: বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। এর একটি হলাে কাগজের বই-এর ই-বুক ভার্সন। এ ই-বুকগুলাে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত থাকে। আমরা আমাদের প্রয়ােজন মতাে তা নামাতে ও পড়তে পারি। বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ই-বুক ভার্সন ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বাের্ড ওয়েবসাইট (www.nctb.gov.bd) এমন একটি ওয়েবসাইট। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের পিডিএফ (PDF) ফাইলটি সংরক্ষিত আছে, যা সহজে ডাউনলোড করা যায়। বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি ওয়েবসাইট হলাে www.ebook.gov.bd । এখান থেকেও আমরা সহজে বিভিন্ন শ্রেণির ই-বুকগুলাে ডাউনলােড করে ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং আমার বিজ্ঞান বইটি হারিয়ে গেলে উক্ত দুটি ওয়েবসাইটের যে কোন একটি থেকে আমি বইটি ডাউনলােড করে নিতে পারি। প্রয়ােজনে ডাউনলােড করা বইটি প্রিন্ট করে বাধিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারি।


২. ‘দুটো গ্রহ নয় এ বিষয়টি জানতে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি তােমাকে কীভাবে সাহায্য করবে বর্ণনা করো।


উত্তর: ইন্টারনেটে প্রায় সকল বিষয় সম্পর্কেই তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এখন কেউ যদি প্লুটো সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে সে সহজেই ইন্টারনেটে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবে। ইন্টারনেট ঘেটে সে জানতে পারবে যে, গ্রহ হতে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যের প্রয়ােজন হয় তার সবগুলাে প্লুটোর নেই। তাই ২০০৬ সালে তাকে সৌর জগতের গ্রহ তালিকা থেকে বাদ দেবার সিদ্ধান্ত হয়। তবে প্লুটোকে বামন গ্রহন (Minor Plants)-এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং প্লুটো গ্রহ নয়’-এ বিষয়টি জানতে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি আমাদের সাহায্য করতে পারে।


৩. দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।


উত্তর: আমরা দৈনন্দিন জীবনে অধিকাংশ কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে যা নিচে আলােচনা করা হলাে-


i. ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা যেকোনাে অপরিচিত জায়গায় চলে যেতে পারি। জিপিএস কোন পথে কীভাবে যেতে হবে তার দিকনির্দেশনা দিতে পারে।

ii.ইন্টারনেটে সামাজিক যােগাযােগ সাইট ব্যবহার করে আমরা একে অপরের সাথে যােগাযােগ, ছবি-ভিডিও বিনিময় এবং বিভিন্ন বিনােদন মূলক কাজ করতে পারি।

iii.ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে পারি এবং অনলাইনে পণ্য বেচা-কেনা করতে পারি ।

iv.যেকোনাে তথ্য জানার জন্য আমরা ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে তা খুঁজে পেতে পারি।

উপরের আলােচনা থেকে বুঝা যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ইন্টারনেট অঙ্গভঙ্গি ভাবে জড়িত। তাই দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


৪. একটি ই-মেইল পাঠানাের প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।


উত্তর: ই-মেইল পাঠাতে হলে আমার ই-মেইল ঠিকানা যেই ওয়েব সাইটের সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যেমন- ইয়াহু মেইল ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠানাের প্রক্রিয়া নিচে আলােচনা করা হলাে-


i. প্রথমে ব্রাউজার চালু করে ইয়াহু সাইটে Mail লেখা জায়গায় ক্লিক করি।

ii.এখন Compose লেখা যায়গায় মাউস ক্লিক করে একটু অপেক্ষা

ii.আমরা ইয়াহু আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে Sign In-এ ক্লিক করি করি এবং প্রয়ােজনীয় লেখা টাইপ করি।

iv. এখন To-এর পাশে আমি যাকে মেইল পাঠাতে চাই তার ই-মেইল ঠিকানা টাইপ করি এবং Subject-বক্স এ কিছু লিখি।

v.এখন Send এর ক্লিক করে পাঠিয়ে দেই আমার ই-মেইল টি।


৫. সংজ্ঞা লেখো:
* ভার্চুয়াল জগৎ বলতে কী বুঝ?

* ই-বুক কী?
উত্তর:
ভার্চুয়াল জগৎ ও ই-বুকের সংজ্ঞা নিম্নে দেওয়া হলাে-
ভার্চুয়াল জগৎ: ভার্চুয়াল জগত হচ্ছে অনলাইন নির্ভর জগত। যে জগতে সবাই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে এমন একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে যেখানে সবাই সবার সাথে যােগাযােগ করতে পারে। শুধুমাত্র বােগাযােগ নয় একে অপরের সাথে মনের ভাব বিনিময় করে, ছবি শেয়ার করে, ভিডিও দেখে এবং শেয়ার করে, নিজেরা মিলে একটা গ্রুপ গঠন করতে পারে এমনকি সামাজিক আন্দোলন পর্যন্ত সংগঠিত করতে পারে। সকল প্রক্রিয়া কেবল মাত্র অনলাইনেই সংগঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার সাথে যােগাযােগ রক্ষা করে। মনে হয় যেন ভার্চুয়াল এই জগতে সবাই সবার পাশেই আছে।


ই-বুক: ই-বুক-এর পূর্ণনাম হলাে ইলেকট্রনিক বুক। অর্থাৎ কাগজে প্রিন্ট করা বই-এর ডিজিটাল ভার্সন হলাে ই-বুক। কম্পিউটার ও ই-বুক রিডারের মাধ্যমে ই-বুক ব্যবহার করা হয়। এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং ঝামেলামুক্ত। বাইরের দেশে এটি ব্যাপক আকারে প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশে এর ব্যবহার সর্ব সাধারণ পর্যায়ে পৌছায় নি। এর ব্যাপক প্রসারের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আমাদের দেশে সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারিভাবে একটি ই-বুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। (www.ebook.gov.bd) এতে ৩০০টি পাঠ্যপুস্তক ও ১০০টি সহায়ক পুস্তক রয়েছে।

৬. “ইন্টারনেট বর্তমান যুগে আশীর্বাদ স্বরূপ” —ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেট বলে। অর্থাৎ সারা পৃথিবীর সকল নেটওয়ার্ক হচ্ছে ইন্টারনেট। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টরনেট ছাড়া কখনই আইসিটি পূর্ণতা লাভ করে না। তাই তথ্য আদান-প্রদানের বাহক হলে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের কারণে আজ আমরা পৃথিবীর প্রতিটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিনােদনের কাছাকাছি পৌছে গেছি। মানুষ খুব সহজেই এক দেশে বসে ভিন্ন দেশের খোজ খবর, যােগাযােগ করতে পারছে। ফলে যােগাযােগ আরাে উন্নত ও সহজ হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা ও গবেষণায় ইন্টারনেট একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ। কেননা গবেষণা কাজে বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য অনুসন্ধানের কাজে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও ইন্টারনেটের কারণে অনলাইন ব্যাংকিং, মার্কেটিং, আউটসাের্সিংসহ অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযােগ তৈরি হয়েছে। তাই বলা যায় ইন্টারনেট বর্তমান যুগে আশীর্বাদ স্বরূপ।”


৭. মােবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে কেন সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: বর্তমানে মােবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে তার বেশ কিছু কারণ আছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মােবাইল ফোন দিয়ে এখন অনেক ধরনের কাজ করা হচ্ছে। একসময় মােবাইল দিয়ে শুধু কথা বলা যেত। এখন মােবাইল দিয়ে গান শােনা যাচ্ছে, ছবি তােলা যাচ্ছে, ভিডিও করা ও দেখা যাচ্ছে, রেডিও শােনাসহ এ রকম অসংখ্য কাজ করা যাচ্ছে। কম্পিৰ্ডারেরর মতাে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের খবরাখবর জান পারছে। স্মার্টফোন তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করেছে বলা যায়। ৩জি মােবাইল ফোনের সাহায্যে সরাসরি কথা বলাসহ উভয়ে উভয়ের ছবিও দেখতে পারছে। মােবাইল ফোন ধীরে ধীরে বুদ্ধিমান একটা যন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে একটি আধুনিক মােবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে।

৮. জিপিএস সম্পর্কে বর্ণনা করাে।

উত্তর: জিপিএস (GPS) হলাে Global Positioning System-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনাে অবস্থান সম্পর্কে নিখুঁতভাবে জানা যায়। এই জিপিএস সিস্টেমটি এখন সব স্মার্টফোনেই লাগানাে থাকে। তাই ইন্টারনেট সংযােগ থাকলে কখন কোন পথে যেতে হবে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানটি কোথায় কিংবা কোন দোকানপাট কোথায় সবকিছু স্মার্টফোনেই পাওয়া যায়। নতুন প্রায় সব গাড়িতে পথ দেখানাের জন্য জিপিএস লাগানাে থাকে। তাই জিপিএস যুক্ত গাড়ি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযােগ আছে এমন যেকোনাে স্থানে যাওয়া যায়।

৯. ইন্টারনেট বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য এক বা একাধিক কম্পিউটারকে যুক্ত করলে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। আর একটি নেটওয়ার্কের সাথে অন্য এক বা একাধিক নেওয়ার্কের সংযােগে গড়ে ওঠে ইন্টারনেট। নেটওয়ার্ক সাধারণত সীমিত পরিসরে হয়। কিন্তু ইন্টারনেটের পরিধি ব্যাপক। ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেটি ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে সারা পৃথিবীর সাথে যােগাযােগ করা যায়। তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির একটি অন্যতম উপাদান হলাে ইন্টারনেট। বলা যায় ইন্টারনেট ছাড়া তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি অর্থহীন। অর্থাৎ তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির মূল চালিকা শক্তি হলাে ইন্টারনেট।

১০. ব্যান্ডউইডথ কী? বর্তমান ডিজিটাল সময়ে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের গুরুত্ব বর্ণনা করো।

উত্তর: একক সময়ে পরিবাহিত ডেটার পরিমাণই হচ্ছে ব্যান্ডউইডথ । অর্থাৎ, একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে উৎস পয়েন্ট থেকে গন্তব্যের দিকে যে পরিমাণ ডেটা একক সময়ে পরিবাহিত হতে পারে তাকে বলা হয় ব্যান্ডউইডথ। ব্যান্ডউইডথ এর উপর নির্ভর করে ইন্টারনেটের গতি। ইন্টারনেটের গতি যত বাড়বে অফিস আদালত, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের গতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এতে করে অল্প সময়ে অধিক কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে। বিশেষ করে বর্তমান বাংলাদেশে অধিকাংশ সেবা সমূহ মােবাইল ফোনের মাধ্যমে করা হয়। তাই ব্যান্ডউইডথ যত বাড়বে কাজের গতি তত বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের মধ্যে গ্রহণযােগ্যতা দিন দিন বেড়ে যাবে। মিডিয়ার ব্যান্ডউইডথ যত বেশি হবে, ডেটা দুত একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবে। বিশেষ করে অনলাইন-নির্ভর কাজগুলাে ব্যাংকিং সিস্টেম লেনদেন এর গুরুত্ব অনেক। তাই ডিজিটাল সময়ে ব্যান্ডউইডথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

১১. একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সংক্ষেপে বর্ণনা করাে। অথবা, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ইন্টারনেট থেকে তুমি কী কী সুবিধা ভােগ কর তা বর্ণনা করাে। অথবা, শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: একজন ছাত্র ইন্টারনেট থেকে বিভিন্নভাবে সুযােগ-সুবিদা পেতে পারে। হঠাৎ যদি কোনাে ছাত্র/ছাত্রীর কোনাে টেক্সট বই হারিয়ে যায়, তাহলে সে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এনসিটিবিতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত বইটি ডাউনলােড করে নিতে পারে। জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি ইন্টারনেট থেকে জেনে নেওয়া যায়। পাঠ্য বিষয়ের কোনাে কিছু বুঝতে পারলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন রেফারেন্স বইয়ের সাহায্য নিয়ে সেটি জানা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরি থেকে বই পড়া যায়। সম্প্রতি আমাদের দেশে পিপীলিকা নামে বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে। এখানে বাংলাতে বিভিন্ন বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়। দিনে দিনে এটি আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

১২. শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রেই যেহেতু ইন্টারনেটের প্রভাব রয়েছে তাই শিক্ষাক্ষেত্রেও এর প্রভাব আছে। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে ব্যবহার উপযােগী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট অ্যাপস তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল পাঠ্যবই এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে সহজে ডাউনলােড করতে পারে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই ভর্তির আবেদন করতে পারে। তাছাড়া ছাত্র/ছাত্রীরা তার প্রয়ােজনীয় তথ্য বা বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটে সার্চ করে খুঁজে নিতে পারে। এ সকল ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী মহাকাশে স্পেস স্টেশনের একজন মহাকাশচারীকে পৃথিবী থেকে প্রশ্ন করে বিভিন্ন মহাকাশ তথ্য জেনে নিতে পারে। যা সবই ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্ভব। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার অপরিসীম।

১৩. ই-বুক রিডার সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: আমরা এখন কাগজে ছাপা বইয়ে অভ্যস্ত। ন্তুি খুব দ্রুত ই-বুক কাগজে ছাপা এ বইগুলাের জায়গা দখল করে নিতে যাচ্ছে। পৃথিবীর যাবতীয় বই ই-বুক আকারে সংরক্ষিত থাকবে এবং একজন সেই বইগুলাে তার ই-বুক রিডারে ডাউনলােড করে নিতে পারবে। এক সময় একজন মানুষকে শুধু যে কয়টা বই বহন করতে পারত সে কয়টা বই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এখন মানুষ যেকোনাে মুহূর্তে ইন্টারনেটের কারণে লক্ষ লক্ষ বইয়ের সাথে যােগাযােগ রাখতে পারে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ইচ্ছে করলে যে কেউ পকেটে একটি বই নয় আস্ত একটা লাইব্রেরি রেখে দিতে পারবে। একজনের পক্ষে একশ বই কেনা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু খুবই কম খরচে সে ই-বুক রিডারে বইগুলাে সংগ্রহ করে রাখতে পারে। একজন শিক্ষার্থী তার অসংখ্য রেফারেন্স বই এই ই-বুক রিডারে রেখে দিতে পারে এবং প্রয়ােজনীয় তথ্য নিতে পারে।

১৫. পিপীলিকা সম্পর্কে যা জানাে লেখো

উত্তর: পিপীলিকা হলাে একটি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন। এটির ঠিকানা হলাে www.pipilika.com । বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ সার্চ ইঞ্জিটি তৈরি করেছেন। এটি আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। পৃথিবী অনেক দেশেই তাদের নিজস্ব ভাষায় সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। সাধারণত মাতৃভাষার মাধ্যমে যেকোনাে তথ্য সহজে বােধগম্য হয়। সেই কারণে এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদগণ পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিটি তৈরি করেছেন। এটি দেশের শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার মাধ্যমে তাদের মেধাকে আরাে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেতে পিপীলিকা তাদের সাহায্য করছে।

১৬. দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের পাঁচটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর: তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ব্যতিত বর্তমানের আইসিটির বিভিন্ন ব্যবহার চিন্তা করা যায়। এরূপ দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের পাঁচটি ব্যবহার নিম্নে উল্লেখ করা হলাে-
  • একজন শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার যেকোনাে তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই খুঁজে নিতে পারে। এরূপ একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে- ওলামআলফা যেখানে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা যায়।
  • বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় একে অপরের সাথে সরাসরি যােগাযােগ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ইন্টারনেটে সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে যােগাযােগ করা যায়।
  • অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে এক দেশ থেকে অন্যদেশে তথ্য আদান-প্রদানের প্রয়ােজন হয়। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ই-মেইল ভিত্তিক সেবার মাধ্যমে তা যেকোনাে সময় প্রেরণ করা যায় ।
  • মােবাইল অপারেটর কোম্পানির গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ইন্টারনেট সার্পেট সেন্টারের মাধ্যমে সমাধান দিচ্ছে।
  • কোনাে অপরিচিত জায়গায় নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে বের করতে ইন্টারনেটে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের মাধ্যমে বের করা যায় ।

১৭. দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের ব্যবহার সংক্ষেপে লেখো। অথবা, দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে। / অথবা, ইন্টারনেট আমাদের জীবনে কোন কোন স্তরে প্রভাব ফেলেছে? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা সমাধানের প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে তথ্য। ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেটি ব্যবহার করে অনেক সমস্যাকে সমাধান করা যায়। এজন্য ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে হয়। বিশ্বের জনপ্রিয় তথ্য খোজার সাইট বা সার্চ ইঞ্জিনের অন্যতম হলাে গুগল (www.google.com)। এতে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে তথ্য খুঁজে বের করা যায়। বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি বিদগণও একটি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছেন, যার নাম পিপীলিকা (www.pipilika.com)। এর মাধ্যমে বাংলাতে তথ্য খোঁজা যায়। শিক্ষাসংক্রান্ত প্রায় সকল ধরনের সহায়ক তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট ওলামআলফা (http://www/wolframalpha.com/)। এ সাইটে বিভিন্ন গণনার কাজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যারও সমাধান এখানে পাওয়া যায় । ইন্টারনেটের বাহাদুরী হচ্ছে এটি কেবল তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে এমন নয় বরং কারো তথ্য প্রকাশেওসমানভাবে সহায়তা করে। ফলে অনেকেই তাদের সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতা নিজেদের ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সামাজিক যােগাযােগের সাইটে প্রকাশ করেন।

১৮. ইন্টারনেট গেমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কীভাবে সমস্যা সমাধানে দক্ষ হয়? বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: শিশু-কিশােরদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সহজাত প্রবৃত্তি তৈরি হয়। অনেক ইন্টারনেট গেম এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, সেগুলােতে হলে ব্যবহারকারীকে অনেক ছােট ছােট সমস্যার সমাধান করতে হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কোনাে বিষয় পর্যবেক্ষণে তাদের এক ধরনের চর্চা হয়। এ সকল গেম খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি হয়। শিশুরা যদি নিয়ম নীতি মেনে এবং কম্পিউটারে বেশি আসক্তি না হয়ে গেম খেলে। তাহলে সাধারণ শিশুদের থেকে এরা বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন এবং সমস্যা সমাধানে দক্ষ হয়ে ওঠে।

১৯. ই-মেইল কী?

উত্তর: ই-মেইলকে ইলেকট্রনিক মেইল বলা হয়। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক উপায়ে চিঠি পত্র ও ফাইল আদান-প্রদান করা যায়।

২০. পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখাে।

উত্তর: পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে ই-মেইল। ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ই-মেইল। এটি প্রচলিত ডাক ব্যবস্থার একটি আধুনিক সংস্করণ। এটি ব্যবহার করে, পৃথিবীর যেকোনাে প্রান্তে যেকোনাে সময় তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ই-মেইল কোনাে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল করতে হলে প্রথমে নিজস্ব ই-মেইল আইডি থাকতে হয়। যাকে মেইল করতে হবে তারও ই-মেইল আইডি লাগে। কারাে কাছ থেকে কোনাে ই-মেইল এলে তা মেইল বক্সে জমা হয়। এছাড়াও ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনাে ফাইল যুক্ত করে পাঠানাে যায়।

২১. ফাইল এটাচমেন্টের মাধ্যমে ই-মেইল পাঠানাের প্রক্রিয়া বর্ণনা করাে।

উত্তর: ই-মেইল পাঠাতে হলে আমার ই-মেইল ঠিকানা যেই ওয়েব সাইটের সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। যেমন- ইয়াহু মেইল ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠানাের প্রক্রিয়া নিচে আলােচনা করা হলােঃ

i প্রথমে ব্রাউজার চালু করে ইয়াহু সাইটে Mail লেখা জায়গায় ক্লিক করি।
ii.আমরা ইয়াহু আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে Sign In-এ ক্লিক করি।
iii.এখন Compose লেখা জায়গায় মাউস ক্লিক করে একটু অপেক্ষা করি এবং প্রয়ােজনীয় লেখা টাইপ করি।
iv.এখন To-এর পাশে আমি যাকে মেইল পাঠাতে চাই তার ই-মেইল ঠিকানা টাইপ করি এবং Subject-বক্স এ কিছু লিখি।
v.এখন এটাচমেন্ট যুক্ত করার জন্য Send বাটনের পাশে এটাচমেন্ট আইকনে ক্লিক করে ফাইলটি Location নির্বাচন করতে হবে।
vi.এরপর Open Button-এ Click করলে ফাইলটি ই-মেইলের সাথে যুক্ত (Attach) হয়ে যাবে।
vii.এখন Send এর ক্লিক করে পাঠিয়ে দেই আমার ই-মেইল টি।

২২. ওয়েব ব্রাউজ ও ইন্টারনেট ব্রাউজ সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো

উত্তর: ওয়েব ব্রাউজ: ওয়েব ব্রাউজার হলাে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) রিসাের্স থেকে তথ্য খুঁজে বের করা, উপস্থাপন করা এবং সংরক্ষণ করার একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। ওয়েব ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা হয়। ইন্টারনেট ব্রাউজ: ইন্টারনেট ব্রাউজ হলাে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজে পরিভ্রমণ অর্থাৎ ওয়েবসাইটের এক পেজ থেকে অন্য পেজে, এক সাইট থেকে অন্য সাইটে গমনকে ইন্টারনটে ব্রাউজ বলে।

২৩. পাসওয়ার্ডকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষণের জন্য কী করতে হবে লেখো।

উত্তর: পাসওয়ার্ডকে সুরক্ষিত ও সংরক্ষণের জন্য যা করতে হবে তা হলাে—

১.পাসওয়ার্ডে বর্ণ ও সংখ্যা ব্যবহার করতে হবে।

২.বিশেষ ক্যারেক্টার (যেমন @ ব্যবহার করতে হবে)

৩.পাসওয়ার্ডে ছােট হারে অক্ষর ও বড় হাতের অক্ষরের মিশ্রণ রাখা উচিত।

৪.পাসওয়ার্ড ৬ থেকে ৩২ অক্ষরের মধ্যে হতে হবে।

৫.কোনাে জায়গার নাম, ব্যক্তির নাস, ফোন নাম্বার ইত্যাদি পাসওয়ার্ডে ব্যবহার না করাই উত্তম।


২৪. ই-মেইলের সাহায্যে কী কী কাজ করা যায়?

উত্তর: বর্তমানে ডিজিটাল চিঠি আদান-প্রদানের জন্য ই-মেইল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল, ব্যক্তিগত কাজ যায়। নিম্নে উল্লেখ করা হলাে:
i.পৃথিবীর যেকোনাে জায়গা থেকে দ্রুত গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
ii.ই-মেইল ব্যবহার করে চাকরির আবেদন করা যায় ।
ii.রাষ্ট্রীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গােপনীয়তার সাথে দুত গতিতে এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে বার্তা পাঠানাে যায়।
iv.বিদেশে উচ্চ শিক্ষার আবেদনের সাথে প্রয়ােজনীয় সনদ ও গবেষণাপত্র প্রেরণ করা যায়।
v.এক দেশের রাষ্ট্র প্রধান অন্য দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে শুভেচ্ছা জানাতে ই-মেইল ব্যবহার করা যায়।
vi.ই-মেইল ব্যবসার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটির মাধ্যমে পণ্যের ছবি ক্রেতার কাছে দুত প্রেরণ করা যায়।

২৫. ই-মেইল ঠিকানা খােলার পদ্ধতি বর্ণনা করো।

উত্তর: ই-মেইল ঠিকানা খুলতে প্রথমেই আমাদেরকে ঠিক করতে হবে কোন ই-মেইল সেবাদাতার মাধ্যমে ই-মেইল ঠিকানা খুলব। ওয়েবে অনেকগুলাে ই-মেইল খােলার সাইট রয়েছে। যেমন- ইয়াহু-মেইল সার্ভিস, জি-মেইল সার্ভিস ইত্যাদি। এসব সাইটে ই-মেইল টিকানা খুলতে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হবে। কম্পিউটারের ব্রাউজারটি চালু করে পছন্দের সেবাদাতা সাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে। সব সাইটেই প্রবেশের পর আমাদের নতুন ই-মেইল ঠিকানা (Account) খুলতে সাইন আপ (Sign up) বা নিবন্ধন করতে হবে। এ সাইন আপের, নিয়ম সব সাইটেই কিছুটা ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় একই। সব সাইটেই একটা ফর্ম পূরণ করতে হয়। ফর্ম ফুরণের পর সাইটটির নির্দেশনা অনুসরণ করে শেষে ‘Create account’-এ ক্লিক করলেই হয়ে গেল ই-মেইল একাউন্ট বা ঠিকানা। আইডি (ID) এবং পাসওয়ার্ডটি (Password) গােপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যথায় যে কেউ একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে। ইমেইল ঠিকানা খুলতে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। তবে ইমেইলে বাংলাতেও চিঠি আদান প্রদান করা যায়।

২৬. ই-মেইল ঠিকানা খােলার পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে লেখো

উত্তর: ই-মেইল ঠিকানা খােলার পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে নিম্নে লেখা হলাে:

  • প্রথমেই পছন্দের ই-মেইল সেবাদাতার ই-মেইল ঠিকানা খুলতে হবে। যেমন: ইয়াহু-মেইল, জি-মেইল ও হট-মেইল ইত্যাদি সার্ভিস।
  • ন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের ব্রাউজারটি চালু করে পছন্দের সেবাদাতা সাইটটিতে (যেমন: http://www:yahoo.com) প্রবেশ করতে হবে।
  • ই-মেইল ঠিকানা খােলার জন্য সাইন আপ sign-up অপশন-এ ক্লিক করতে হবে।
  • sign-up কিকের পর একটি ফরম আসবে।
  • ফরমটিতে ব্যক্তিগত তথ্যসহ আইডি (ID) এবং পাসওয়ার্ড (Password) গােপনীয়ভাবে পূরণ করতে হবে।
  • সবশেষে Create Account-এ ক্লিক করলে একটি নতুন ই-মেইল ঠিকানা তৈরি হবে।
  • পরিশেষে userid ও password নিজ উদ্যোগে সংরক্ষণ করতে হবে।

২৭. ই-মেইল খুলতে আইডি এবং পাসওয়ার্ড লেখার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অনুসরণ করতে হয়?

উত্তর: ই-মেইল খুলতে আইডি এবং পাসওয়ার্ড লেখার নিয়ম গুলাে নিম্নে উল্লেখ করা হলাে:

ক.আইডি তৈরি করার নিয়ম:

i.আইডি লেখা বর্ণ দিয়ে শুরু করতে হয় এবং আইডি’র দৈর্ঘ্য ৪-৩২ Character -এর মধ্যে হওয়া বাঞ্চনীয়। আইডি-তে বর্ণ, সংখ্যা, আন্ডারস্কোর 0 এবং (.) ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে তুমি ইয়াহুর পরামর্শ দেখতে পাবে।
ii.আইডিটি সহজ-সরল ও বােধগম্য রাখার চেষ্টা করা।
ii.আইডি লেখার নমুনা; মনে করাে, একজন শিক্ষার্থীর নাম ‘Anika’। Anika র Yahoo ID হতে পারে: Anika_Dhaka। তাহলে Anika র Yahoo Mail Account এর ঠিকানা হবে: anika_dhaka@yahoo.com

পাসওয়ার্ড তৈরি করার নিয়ম:
i. ৬ থেকে ৩২ টি বর্ণ, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নের মধ্যে পাসওয়ার্ডের দৈর্ঘ্য সমীবদ্ধ রাখতে হয়। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে ইংরেজি Small Letter ও Capital Letter আলাদা বর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়। কোন জায়গার নাম, ব্যক্তির নাম বা ইয়াহু আইডি পাওয়ার্ড হিসাবে রাখাই ভালাে। 
Ii. তােমার পাসওয়ার্ডকে সুরক্ষিত করতে পাসওয়ার্ডে > বর্ণ ও সংখ্যা ব্যবহার
> বিশেষ ক্যারেকটার (যেমন, @) ‘Small Letter Capital Letter- এর মিশ্রণ।




No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.