ads

ঝিঙে ফুল ; কাজী নজরুল ইসলাম




কবি পরিচিতি: 

জন্ম পরিচয় জন্ম : ২৪শে মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ (১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম।

পিতৃ ও মাতৃপরিচয় পিতার নাম : কাজী ফকির আহমদ; মাতার নাম : জাহেদা খাতুন।

শিক্ষাজীবন প্রথমে গ্রামের মক্তব ও পরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দরিরামপুর স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত।

পেশা/কর্মজীবন বাল্যকালে মক্তবে শিক্ষকতা, লেটোর দলে গান রচনা ও রুটির দোকানে কাজ করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে যোগদান ব্রিটিশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে কারাবরণ করেছেন। অতঃপর পত্রিকা সম্পাদনা ও সাহিত্য সাধনাই ছিল তাঁর নেশা ও পেশা।

সাহিত্য সাধনা কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, দোলনচাঁপা, বিষের বাঁশী, ছায়ানট, সাম্যবাদী, সর্বহারা, চক্রবাক প্রভৃতি; ছোটদের কাব্যগ্রন্থ : ঝিঙেফুল, পিলে পটকা, ঘুমজাগানো পাখি, ঘুমপাড়ানী মাসিপিসি; প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, রাজবন্দীর জবানবন্দী, দুর্দিনের যাত্রী, রুদ্রমঙ্গল, ধূমকেতু; উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা; নাটক : ঝিলিমিলি, পুতুলের বিয়ে; গানের বই : বুলবুল, চোখের চাতক, গীতি শতদল; অনুবাদ গ্রন্থ : রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ, রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম।

পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নাগরিকত্ব প্রদান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট উপাধি প্রদান এবং একুশে পদক (১৯৭৬) প্রদান।

জীবনাবসান ২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ; সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।


বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবির নাম কী?

ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ সুকুমার রায়

কাজী নজরুল ইসলাম ঘ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

২. মানবতার কবি কে?

ক কালিদাস রায় খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কাজী নজরুল ইসলাম ঘ শামসুর রাহমান

৩. আমাদের জাতীয় কবি কে?

কাজী নজরুল ইসলাম খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ আল মাহমুদ ঘ আহ্সান হাবীব

৪. কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

ক ১৮৮০ খ ১৮৮৯ গ ১৮৯৭ ১৮৯৯

৫. কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

ক পশ্চিমবঙ্গের আসুলিয়া জেলায়

খ পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুঁড়ি জেলায়

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়

ঘ পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুঁড়ি জেলায়

৬. কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?

ক ১৯৭০ ১৯৭৬ গ ১৯৮০ ঘ ১৯৯৯

৭. কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

ঢাকায় খ ভারতে

গ রাজশাহীতে ঘ ময়মনসিংহে

৮. বিদ্রোহী কবি হিসেবে নন্দিত আসন পেয়েছেন কোন কবি?

ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলাম

গ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ঘ জসীমউদ্দীন

৯. কোন কবি হাবিলদার ছিলেন?

ক জসীমউদ্দীন কাজী নজরুল ইসলাম

গ সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ আল মাহমুদ

১০. ছোটদের জন্য লেখা কাজী নজরুল ইসলামের গ্রন্থ কোনটি?

ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি খ চোখের চাতক

গ ঝিলিমিলি ঘ ধূমকেতু

১১. নজরুলের শিশুতোষ গ্রন্থ কোনটি?

ক ঝিলিমিলি

খ ব্যথার দান

গ অগ্নিবীণা

ঘুমজাগানো পাখি

১২. কাজী নজরুল ইসলাম কারাবরণ করেন কেন?

ব্রিটিশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে

খ ভারতের মন্ত্রীকে হত্যার অপরাধে

গ বিদ্রোহী কবিতা রচনা ও প্রচারের অপরাধে

ঘ যুদ্ধে যোগদান করার অপরাধে

১৩. কাজী নজরুল ইসলাম ছোটবেলায় যোগদান কোথায় করেন?

ক আধুনিক গানের দলে খ পালা গানের দলে

লেটো গানের দলে ঘ লালনের দলে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৪. কাজী নজরুল ইসলামের ছিল প্রকৃতির প্রতি গভীর-

র. ভালোবাসা রর. ঈর্ষা ররর. মমত্ববোধ

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৫. কাজী নজরুল ইসলাম হলেন [রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

র. বিদ্রোহের কবি রর. প্রেমের কবি ররর. মানবতার কবি

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

১৬. কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে বিষয়ের বিরুদ্ধে উদ্দীপনামূলক কবিতা লিখেছেন-

র. অন্যায় রর. শোষণ ররর. প্রেম

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

১৭. কাজী নজরুল ইসলাম ছোটদের জন্য যে কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন-

র. পিলে পটকা রর. ঘুম জাগানো পাখি ররর. বিষের বাঁশি

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

মূলপাঠ

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১৮. শ্যামলী মায়ের কোলে খুকুর মুখ কেমন?

সোনামুখ খ চাঁদ মুখ

গ রুপালি মুখ ঘ সাদা মুখ

১৯. পাতার দেশের পাখি বাঁধা কোথায়?

ক লতার কানে হিয়ার বোঁটাতে

গ পাতার বোঁটাতে ঘ শিকড়ের সঙ্গে

২০. কী ঝলমল করে দুলতে থাকে?

ক পাতা খ পাখি

গ প্রজাপতি ঝিঙে ফুল

২১. কীসের দেশে ঝিঙে ফুল ফোটে?

ক সবুজ ঘাসের সবুজ পাতার

গ সবুজ বনের ঘ সবুজ চত্বরের

২২. কেমন দুপুরে সোনামুখ খুকু ঘুমায়?

রোদে গলা খ ঘুঘু ডাকা

গ ঝিঁ ঝিঁ ডাকা ঘ কাঠ ফাটা

২৩. ঝিঙে ফুল কোন মাসে ফোটে?

[ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর]

ক মাঘ মাসে পৌষ মাসে

গ ফাল্গুন মাসে ঘ শ্রাবণ মাসে

২৪. ঝিঙে ফুল যে গাছে ফোটে তা কোন জাতীয়?

[ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর]

ক লতা খ বৃক্ষ

গুল্ম ঘ বসন্ত

২৫. ‘ঝিঙে ফুল’ কখন ঘুম যায়? [খুলনা জিলা স্কুল]

ক রোদহীন সকালে রোদে গলা দুপুরে

গ বিকেলে ঘ রাতে

২৬. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটিতে কোন ঋতু প্রাধান্য পেয়েছে?

ক গ্রীষ্ম খ বর্ষা গ শরৎ শীত

২৭. কবি ঝিঙে ফুলকে কার সাথে তুলনা করেছেন?

ক শ্যামল মাটির

মায়ের কোলে সোনামুখ খুকুর

গ মায়ের ছোট ছেলের

ঘ প্রকৃতির বুকে আদুরে খুকুর

২৮. ঝিঙে ফুলকে প্রজাপতি কী ছিঁড়ে চলে আসতে বলে?

ক বাঁধন বোঁটা

গ মাচা ঘ পৃথিবী

২৯. আসমানের তারা ঝিঙে ফুলকে কোথায় যেতে বলে?

ক সাগরে খ পাহাড়ে

আকাশে ঘ পৃথিবী ছেড়ে

৩০. ‘ঝিঙে ফুল’ কী রঙে ফুটেছে?

ক হলুদ খ সবুজ

জাফরান ঘ শ্যামল

৩১. প্রজাপতির আহ্বান শুনে ঝিঙে ফুল কী করে?

ক সম্মতি দেয় খ উদাসীন হেয়

প্রত্যাখ্যান করে ঘ নির্লিপ্ত থাকে

৩২. ‘মরা মাচান’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক কাঠের তৈরি পাটাতন

শুকনো গাছ বা বাঁশের তৈরি সবজির মাচা

গ মরা গাছের তৈরি মাচা

ঘ মরা গাছের তৈরি পাটাতন

৩৩. ঝিঙে ফুলকে কবি ‘ঝলমল দোলো দুল’ বলেছেন কেন?

ক ঝিঙে ফুল দিয়ে দুল তৈরি হয় বলে

খ ঝিঙে ফুলের মতো দুল দেখে

গ ছোট খুকু দুল পরে বলে

লতাপাতার দুলের মতো দুলতে থাকে বলে

৩৪. ‘মরা মাচানের দেশ’ বলতে কবি প্রকৃতির কোন অবস্থাকে বুঝিয়েছেন?

শুষ্ক ও রিক্ত খ প্রাণ রসে পরিপূর্ণ

গ মুমূর্ষু অবস্থাকে ঘ রিক্ত অবস্থাকে

৩৫. ‘পউষের বেলাশেষ’- বলতে কবি কোন সময়কে বুঝিয়েছেন?

ক বসন্তের খ শরতের

গ হেমন্তের শীতের

৩৬. শ্যামলী মায়ের কোলে’- বলতে কবি প্রকৃতির কোন রূপকে চিহ্নিত করেছেন?

ক নীরব রূপ সবুজ-শ্যামল রূপ

গ শান্ত সুন্দর রূপ ঘ স্নিগ্ধ রূপ

৩৭. ‘গোধূলি লগ্নে পশ্চিমের আকাশ যেন লাল চাদর গায়ে পরে।’- উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন বিষয়টির মিল রয়েছে?

ঝিঙে ফুল জাফরানি পোশাক পরে

খ ঝিঙে ফুল পউষের শেষ বেলায় ফোটে

গ ঝিঙে ফুল প্রাণহীন শুকনো মাচায় প্রাণসঞ্চার করে

ঘ লতিকার কানে ঝিঙে ফুলের দুল

৩৮. ‘রহিমা বেগমের ছোট্ট শিশুটির আগমনে তাদের নিরানন্দময় সংসার ভরে উঠেছে হাসি আনন্দে’ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন উক্তিটির ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে?

ক পাতার দেশের পাখি বাঁধা হিয়া বোঁটাতে

খ গান তব শুনি সাঁঝে তব ফুটে ওঠাতে

গ শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকু রে

মরা মাচানের দেশ করে তোলে মশগুল

৩৯. ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন উক্তিটির মিল রয়েছে?

ক মরা মাচানের দেশ করে তোলে মশগুল

শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকুরে

গ গান তব শুনি সাঁঝে তব ফুটে ওঠাতে

ঘ আসমানে তারা চায়, ‘চলে আয় এ অক‚ল’।

৪০. ভালোবাসি মাটি-মা’য়- এই চরণটিতে কী ফুটে উঠেছে?

মাটির প্রতি ভালোবাসা খ মা’র প্রতি ভালোবাসা

গ ফুলের প্রতি ভালোবাসা ঘ প্রজাপতির প্রতি ভালোবাসা

৪১. ‘চাই না ও অলকায়’- চরণটির মূল বিষয় কী?

ক ঐ স্বর্ণ চায় না খ ঐ প্রকৃতি চায় না

গ ঐ রূপ চায় না ঐ স্বর্গ চায় না

৪২. ঝিঙে ফুলকে প্রজাপতি বোঁটা ছিঁড়ে তার কাছে আসার জন্য ডাকছে। এখানে ঝিঙে ফুলের প্রতি প্রজাপতির কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?

ভালোবাসা খ ঘৃণা

গ দূরে সরিয়ে দেয়া ঘ পাশাপাশি থাকা

৪৩. ‘পরি জাফরানি বেশ’ এখানে ‘পরি’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

[শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

পরিধান করি অর্থে খ পড়াশোনা করি অর্থে

গ গল্পের ‘পরি’ অর্থে ঘ একটি নাম হিসেবে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৪৪. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিসত্তার যে পরিচয় পাওয়া যায়

র. রোমান্টিক কবিসত্তা রর. প্রকৃতিপ্রেমি ররর. সজীব কবিসত্তা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৪৫. ‘ঝিঙে ফুল’ বেড়ে ওঠে যেভাবে

র. বাঁশের মাচায় ভর করে রর. মাটির মমতা বসে

ররর. চৈত্রের গরম পরিবেশে

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৪৬. ঝিঙে ফুলকে কাছে পাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে

[শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

র. প্রজাপতি রর. তারা ররর. ভ্রমর

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৪৭. কবির চোখে ঝিঙে ফুল [ল²ীপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

র. সোনার দুল রর. সোনামুখ খুকু ররর. আসমানের তারা

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪৮ ও ৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

রিয়া গ্রামের মেয়ে। মামা আদর করে তাকে শহরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু রিয়া তার গ্রামকে খুব ভালোবাসে। গ্রামের মাটি তার কাছে মায়ের মতো। তাই সে মামার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

৪৮. অনুচ্ছেদের রিয়ার মানসিকতা ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কার প্রতিনিধিত্ব করে?

ক তারা ঝিঙে ফুল

গ প্রজাপতি ঘ আকাশ

৪৯. অনুচ্ছেদের আবহে ঝিঙে ফুল কবিতার কোন ভাবটি প্রকাশিত হয়েছে?

ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মাটির প্রতি ভালোবাসা

গ প্রকৃতির আহ্বান ঘ ব্যক্তিগত বিলাসিতা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে এবং ৫০ ও ৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

রাসেল গ্রামের ছেলে। তার বাড়ির সামনে একটি ছোট ফুলের বাগান আছে। শীতের দিন সকালে রাসেল ঘুম থেকে উঠে দেখে হলুদ গাঁদা ফুলে বাগান ছেয়ে আছে। সবুজ পাতার উপর হলুদ গাঁদা ফুল দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ফুলের উপর ভ্রমর মধু পানে মশগুল।

৫০. হলুদ গাঁদা ফুলে বাগান ছেয়ে আছে- বাক্যটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার যে চরণের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ক পউষের বেলা শেষ পরি জাফরানি বেশ

সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে কুল-ঝিঙে ফুল

গ মরা মাচানের দেশ করে তোলো মশ্গুল

ঘ ভালোবাসি মাটি-মা’য়

৫১. অনুচ্ছেদটিতে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার যে ভাবটি ফুটে উঠেছে

র. প্রকৃতিপ্রেম রর. সৌন্দর্যপ্রেম

ররর. দেশপ্রেম

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫২ ও ৫৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

শীতকালে নানা ফুল ফোটে,

ভ্রমর মধু পানে মশগুল থাকে।

রংবেরঙের ফুল দেখে,

আনন্দে মন ভরে

৫২. অনুচ্ছেদটির সঙ্গে তোমার পাঠ্য বইয়ের সাদৃশ্য আছে কোন কবিতার?

ক জন্মভূমি ঝিঙে ফুল

গ সুখ ঘ মানুষ জাতি

৫৩. অনুচ্ছেদটিতে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন ভাবটি ফুটে উঠেছে?

র. প্রকৃতিপ্রেম রর. ফুলের বর্ণনা

ররর. আবহমান বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

শব্দার্থ ও টীকা

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৫৪. ‘লতিকার কর্ণে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

ক কানের লতি লতার কানে গ লতার সঙ্গে ঘ কানের দুল

৫৫. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ‘ফিরোজিয়া’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক ফিরোজা নামের কোনো ব্যক্তিকে ফিরোজা রঙকে

গ কোনো স্থানকে ঘ হলুদ রঙকে

৫৬. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ‘জাফরানি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

ক কমলা রঙের জাফরান রঙের

গ হলুদ রঙের ঘ সাদা রঙের

৫৭. ‘আলুথালু’ শব্দটির অর্থ কী?

এলোমেলো খ গোছালো গ অন্যরকম ঘ শৃঙ্খলা

৫৮. ‘অলকা’ কীসের নাম?

ক ফুলের নাম খ স্থানের নাম স্বর্গের নাম ঘ শহরের নাম

৫৯. ‘মাচান’ শব্দটির অর্থ কী?

মাচা খ গাছ গ লতা ঘ পাতা

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬০. যে শব্দটি ‘হিয়া’ শব্দের অর্থ বহন করে

র. হৃদয় রর. অন্তর ররর. মন

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর

৬১. যে শব্দটি ‘অলকা’ শব্দের অর্থ বহন করে

র. স্বর্গ রর. কুবেরের আবাসস্থল ররর. সুখের ঘর

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৬২. ‘অক‚ল’ শব্দটির অর্থ-

র. তীরবিহীন

রর. সীমাহীন

ররর. গহীন

নিচের কোনটি সঠিক?

র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ পরিচিতি

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৬৩. মাচার উপর কী ফুল ফুটে আছে?

ক কুমড়া ফুল খ শিমের ফুল

ঝিঙে ফুল ঘ লাউয়ের ফুল

৬৪. ঝিঙে ফুল জাফরানি বেশ পরে কোন বেলায়?

ক চৈত্রের বেলা শেষে খ মাঘের শেষ বেলায়

গ শ্রাবণের বেলা শেষে পউষের শেষ বেলায়

৬৫. ঝিঙে ফুলকে কে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসতে ডাকে?

ক পাখি প্রজাপতি

গ সবুজপাতা ঘ শ্যামলী মা

৬৬. আসমানের তারা ঝিঙে ফুলকে চলে আসতে বলে কোথায়?

অক‚লে খ আকাশে

গ বাতাসে ঘ শূন্যে

৬৭. কবির ভাষায় ঝিঙে ফুল কাকে ভালোবাসে?

ক সবুজ পাতাকে মাটি মাকে

গ শ্যামলী মাকে ঘ প্রজাপতিকে

৬৮. কবির ভাষায় ঝিঙে ফুল কাকে চায় না?

ক পাখিদের খ প্রজাপতিদের

অলকাকে ঘ মরা মাচানকে

৬৯. কবির ভাষায় ঝিঙে ফুল মাটি মাকে কী করে?

ক কাছে পেতে চায় ভালোবাসে

গ স্নেহ করে ঘ দেখতে চায়

৭০. ‘ঝিঙে ফুল’ অলকা চায় না কেন?

ক অলকাকে ভালোবাসা বলে

খ অলকা সুন্দর বলে

মাটিকে ভালোবাসে বলে

ঘ মাটিতে থাকতে চায় না বলে

৭১. ‘সবুজ পাতার দেশ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক যে দেশের সব পাতা সবুজ

খ সবুজ পাতায় ছাওয়া বন

সবুজ পাতাবেষ্টিত ঝিঙে লতা

ঘ সবুজ পাতায় ছাওয়া মাচা

৭২. কাজী নজরুল ইসলাম ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতা রচনা করেছেন কেন?

ক দেশকে ভালোবাসেন বলে

প্রকৃতিকে ভালোবাসেন বলে

গ মাটিকে ভালোবাসেন বলে

ঘ মানুষকে ভালোবাসেন বলে

৭৩. প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে কেন ডাকে?

প্রজাপতির কাছে আসতে

খ বোঁটা ছিঁড়তে

গ প্রজাপতি থেকে দূরে যেতে

ঘ দোল দিতে

৭৪. ‘ঝিঙে ফুল’ মাটির কাছে থাকতে চায় কেন?

মাটিকে মায়ের মতো ভালোবাসে বলে

খ মাটিতে শান্তি আছে বলে

গ মাটিতে বৃষ্টি পড়ে বলে

ঘ মাটিতে রস আছে বলে

বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

৭৫. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় মূলত প্রকাশ পেয়েছে- (উচ্চরত দক্ষতা)

র. প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

রর. মাটির প্রতি ভালোবাসা

ররর. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধতা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৭৬. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় প্রকৃতির প্রতি কবির

র. ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে

রর. ঈর্ষা প্রকাশিত হয়েছে

ররর. মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১ . জন্মস্থানের প্রতি গভীর ভালোবাসা

জাকির বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশেই সে বড় হয়েছে। তাদের আর্থিক অবস্থা বেশি ভালো নয়। তাই তার বাবা টাকা রোজগারের জন্য বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছে। কিন্তু জাকির তার বাবাকে বলেছে সে বিদেশে যাবে না। সে এই দেশকে, দেশের মাটিকে ভালোবাসে। জাকির বেশি টাকা পয়সা চায় না। সে এদেশের মাটিতে থাকতে চায়। সে মনে করে টাকা না থাকলেও বিদেশের চাইতে দেশে অনেক শান্তি আছে।

ক. ঝিঙে ফুলের রং কেমন? ১ 
খ. ‘চলে আয় এ অক‚ল!’ -এই চরণে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. জাকিরের বিদেশে না যেতে চাওয়ার সঙ্গে ঝিঙে ফুলের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূলভাবের আংশিক প্রতিফলন” মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর। ৪ 

উত্তর: 
ক ঝিঙে ফুলের রং জাফরানি।

খ ‘চলে আয় এ অক‚ল!’ এই চরণে কবি বুঝিয়েছেন যে, আকাশের তারা ঝিঙে ফুলকে তার অসীমতায় আসতে ডাকছে।

শ্যামলী মায়ের কোলে ঝিঙে ফুল ফুটেছে সোনামুখ খুকুর মতো। ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য দেখে প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে ডাকছে তার কাছে আসার জন্য। আকাশের তারা ঝিঙে ফুলকে ডাকছে তার অসীমতায় যাওয়ার জন্য।

গ নিজস্ব জন্মস্থানের প্রতি ভালোবাসার দিক দিয়ে জাকির ও ঝিঙে ফুল সাদৃশ্যপূর্ণ।

জাকির দেশের মাটিকে ভালোবাসে বলে বিদেশে যেতে চায় না, আর ঝিঙে ফুলও মাটিকে ভালোবাসে বলে আকাশের অসীমতায় যেতে চায় না। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসতে প্রজাপতি ডাকছে। আকাশ ডাকছে তার অসীমতায় মধ্যে চলে যেতে। কিন্তু ঝিঙে ফুল মাটি ও মাকে ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না।

উদ্দীপকেও দেখা যায়, জাকির ঝিঙে ফুলের মতো দেশের মাটি ছেড়ে বিদেশে যেতে চায় না। জাকিরের জন্ম বাংলাদেশে। এদেশেই সে বড় হয়েছে। তার বাবা তাকে টাকা রোজগারের জন্য বিদেশে পাঠাতে চাচ্ছে। কিন্তু জাকির এদেশ ছেড়ে বিদেশে যাবে না। সে এদেশকে ভালোবাসে, ভালোবাসে দেশের মাটিকে। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায়ও ঝিঙে ফুল মাটি ছেড়ে অসীমতায় যেতে চায় না।

ঘ “উদ্দীপকটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূলভাবের আংশিক প্রতিফলন।” উক্তিটি যথার্থ। 

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় দেখি, জাফরানি রঙের ঝিঙে ফুল মাচানের উপর ফুটে আছে। ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে তার কাছে আসতে ডাকছে। কিন্তু ঝিঙে ফুল তার ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।

উদ্দীপকের জাকির ও জন্মভূমি বাংলাদেশকে ভালোবাসে। তার বাবা তাকে বিদেশে টাকা রোজগার করার জন্য পাঠাতে চাচ্ছেন। কিন্তু দেশকে ভালোবাসে বলে এদেশ ছেড়ে জাকির বিদেশে যেতে চায় না। সে বেশি টাকা পয়সা চায় না। সে এদেশের মাটিতেই থাকতে চায়।

ঝিঙে ফুল মাটি মাকে ভালোবেসে যেমন স্বর্গে যেতে চায় না, তেমনি উদ্দীপকের জাকিরও বিদেশে যেতে চায় না। এখানেই উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সামঞ্জস্য লক্ষণীয়।

তবে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলের যে সৌন্দর্যের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে সেই সৌন্দর্য চেতনা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি।

তাই উল্লিখিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূল ভাবের আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে।

২ .  রিফাত শখ করে ফুলগাছ ফুলবিহীন নিষ্প্রাণ চৈত্র মাসের দুপুরে একটি ফুল গাছ লাগায়। প্রতিদিন গাছের গোড়াতে পানি দেয়াতে গাছটা একটু সতেজ হয়ে উঠছে। কিন্তু গাছের পাতাগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। গাছটা দেখলে মনে হয় যেন জীবনটা কোনো রকমে ধরে রাখছে। গাছ লাগানোর অনেক দিন পার হলেও গাছে কোনো ফুল ফুটছে না। গাছের ডালগুলো যেন মৃতপ্রায় দুলছে।

ক. ঝিঙে ফুলের রং কী? ১
খ. ‘শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকুরে’ এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের ফুলগাছের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুল গাছের বৈসাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকের মূল বক্তব্যটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূল বক্তব্যের প্রতিনিধিত্ব করে না বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর: 
ক ঝিঙে ফুলের রং ফিরোজিয়া।

খ ‘শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকু রে’ চরণটি দ্বারা সবুজ দেশের বুকে ঝিঙে ফুলের অবস্থান বুঝিয়েছেন।

সবুজের বুকে ঝিঙে ফুল ফুটে থাকে অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে। কবি এখানে সবুজ প্রকৃতিকে মা ও সুন্দর ঝিঙে ফুলকে সন্তান হিসেবে কল্পনা করেছেন।

গ উদ্দীপকের ফুলগাছের ফুলহীন নিষ্প্রাণ আর কবিতার ফুলগাছ ফুলে ফুলে প্রাণোচ্ছল এ দিক দিয়ে এদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় দেখি, শ্যামলী মায়ের কোলে খুকুর মতো ঝিঙে ফুল ফুটে আছে। সবুজের মধ্যে জাফরান রঙের ঝিঙে ফুল মাচার উপর ফুটে আছে। যেন লতার কানে ঝিঙে ফুল দুল হয়ে দুলছে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, রিফাত চৈত্র মাসের দুপুরে একটা ফুল গাছ লাগায়। অতি যতেœ গাছটা জীবিত হয়ে উঠলেও গাছের পাতাগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। মনে হয় যেন গাছটা কোনোরকমে জীবন ধরে রাখছে। গাছে কোনো ফুল ফোটে না। ডালগুলো যেন মৃতপ্রায় দুলছে। 

উদ্দীপকের ফুল গাছের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুলের বৈসাদৃশ্য এখানেই।

ঘ উদ্দীপকের মূল বক্তব্যটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূল বক্তব্যের প্রতিনিধিত্ব করে না।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় জাফরান রঙের ঝিঙে ফুল সবুজ পাতার উপরে ফুটে আছে। পাতায়, শিকড়ে, লতার কানে ঝিঙে ফুল যেন ঝলমল করছে। দেখে মনে হয় স্বর্ণ যেন ঢলঢল করে দুলছে আর ঝলমল করছে। কিন্তু উদ্দীপকে দেখি, ফুল গাছটিতে কোনো সবুজ পাতা নেই। গাছের পাতাগুলো হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। দেখে মনে হয়, গাছটা যেন কোনো রকমে জীবনধারণ করে আছে। গাছের কোনো সৌন্দর্য নেই। গাছের ডালগুলো যেন মৃতপ্রায়। গাছ লাগানোর অনেক দিন পার হয়ে গেলেও গাছে কোনো ফুল ফুটছে না। কিন্তু ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুল গাছটি সবুজ পাতায় ভরপুর। সবুজ পাতার মাঝে জাফরানি রঙের ঝিঙে ফুলে ভরে আছে। সুতরাং ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় উদ্দীপকের গাছটি মৃতপ্রায় হয়ে আছে। এখানেই উদ্দীপকের মূল বক্তব্য ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মূল বক্তব্যের প্রতিনিধিত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

৩ . আশরাফ সাহেব সরকারি চাকরিজীবী। গ্রীষ্মের ছুটিতে পুরো পরিবারসহ তিনি কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছেন। চারদিকে জলবেষ্টিত বালির স্তর। তার চারপাশে আবার সবুজের সমারোহ। নারকেল গাছ, ঝাউ গাছ ও কেওড়া গাছ যেন সবুজের ঢেউ খেলে যাচ্ছে। ছুটি কাটানোর পর এসব ছেড়ে তিনি আসতেই চাইছিলেন না।

ক. ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য কী? ১ 
খ. ‘গান তব শুনি সাঁঝে তব ফুটে ওঠাতে’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ঝিঙে ফুল কবিতার কবির কোন অনুভূতির প্রতিফলন ঘটেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.অনুভূতিগত দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সাদৃশ্য থাকলেও অন্যান্য দিক দিয়ে বৈসাদৃশ্যও বিদ্যমান মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ চেতনা অর্জন ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি।

খ আলোচ্য চরণে ঝিঙে ফুলের বিশেষ এক গুণের কথা ফুটে উঠেছে।

ঝিঙে ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। এ ফুলের সৌন্দর্যে প্রজাপতি ও আকাশের তারা মুগ্ধ হয়ে তাকে ডাকে। কবি বলেছেন, সন্ধ্যায় এ ফুল ফোটার মধ্যে কবি গানের শব্দ শুনতে পান। অর্থাৎ ঝিঙে ফুলই সন্ধ্যার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে।

গ উদ্দীপকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবির প্রকৃতিপ্রেমের প্রতিফলন ঘটেছে। 

উদ্দীপকের সরকারি চাকরিজীবী আশরাফ সাহেব কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিশাল জলরাশি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সবুজের সমারোহ, নারকেল গাছ, ঝাউগাছ ইত্যাদির সৌন্দর্যে তিনি অভিভূত ও মুগ্ধ। তিনি কিছুতেই সেখান থেকে ফিরে আসতে চাচ্ছেন না।

কাজী নজরুল ইসলামও প্রকৃতিকে ভালোবেসেছেন। তার নিদর্শন তিনি স্থাপন করেছেন ঝিঙে ফুলের মাধ্যমে। ‘ঝিঙে ফুল’ যেমন নিজ মা ও মাটি ছেড়ে স্বর্গেও যেতে চায় না, কবিও তেমনি নিজ প্রকৃতি ও জন্মভূমি ছেড়ে কোথাও যেতে চান না। তাই উদ্দীপকের আশরাফ সাহেবের মতো ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় কবিরও প্রকৃতি প্রেমের পরিচয় মেলে।

ঘ অনুভূতিগত দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সাদৃশ্য থাকলেও অন্যদিক দিয়ে বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান মন্তব্যটি সঠিক।

উদ্দীপকে আশরাফ সাহেব কুয়াকাটার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সেখানে রয়েছে বিশাল জলরাশি, বালুরাশি, সবুজে ঘেরা ঝাউ বাগান, নারকেল গাছ ইত্যাদি। সমুদ্রের ঢেউ সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়ে, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পরিচয় তুলে ধরে।

অপরপক্ষে ‘ঝিঙে ফুল’ নামক কবিতায়ও প্রকৃতির পরিচয় দেয়া হয়েছে। পৌষের বেলাশেষে জাফরান রং নিয়ে মরা মাচানের ওপর পরিবেশ মশগুল করে ফুটে আছে ঝিঙে ফুল। তাকে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসতে বলে প্রজাপতি। তারারা ডাকছে আকাশে। কিন্তু সে মাচাইকে ভালোবাসে বলে কোথাও যাবে না। এ যেন আশরাফ সাহেবের কুয়াকাটা ছেড়ে না আসার ঘোষণা। এরা দুজনেই প্রকৃতিপ্রেমে মুগ্ধ।

উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতায় প্রকৃতিপ্রেমে, মুগ্ধতার বিষয়ে সাদৃশ্য থাকলেও প্রকৃতির ধরন ও প্রেক্ষাপটে অমিল লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকে একটি স্থানের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উঠে এসেছে। অপরপক্ষে, আলোচ্য কবিতায় ফুলের সৌন্দর্য বর্ণিত হয়েছে।

৪ . বাংলা মায়ের রূপবৈচিত্র্য
‘ও আমার বাংলা মা তোর আকুল করা
রূপের সুধায় হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে
ও আমার বাংলা মাগো
ফাগুনে তোর কৃষ্ণচ‚ড়া পলাশ বনে কিসের হাসি’।
ক. ‘মশ্গুল’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘ঝলমল দোলো দুল’- চরণটি দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকে আকুল হওয়ার কারণটি ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার আলোকে তুলে ধর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সমগ্র বিষয়বস্তু প্রতিফলিত হয়েছে কি? তোমার যুক্তি দেখাও। ৪


ক ‘মশ্গুল’ শব্দের অর্থ বিভোর বা মগ্ন।

খ ‘ঝলমল দোলো দুল’- চরণটি দ্বারা কবি বোঝাতে চেয়েছেন লতার কানে যেন ঝিঙে ফুল দুলের মতো ঝলমল করে দুলছে।

সবুজ পাতার উপরে জাফরানি রঙের ঝিঙে ফুল ফুটেছে। গাছের শিকড়ে, লতায়, পাতায় ঝিঙে ফুল স্বর্ণের মতো ঝলমল করছে আর দোল খাচ্ছে। ঝিঙে ফুল ঢলঢল করতে করতে দুলছে। এই কথাটিই লেখক চরণটিতে বোঝাতে চেয়েছেন।

গ উদ্দীপকের কবিতাটিতে বাংলা মায়ের সৌন্দর্যে যেমন আকুল হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তেমনি ‘ঝিঙে ফুল কবিতায় ঝিঙে ফুলও মা মাটিকে ভালোবেসে আকুল হয়েছে।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলের প্রতীকে প্রকৃতির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে। ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রজাপতি তাকে ডাকছে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসার জন্য। তারারা ডাকছে আকাশে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ঝিঙে ফুল মাটিকে ভালোবেসে মাটি মায়ের কাছেই থাকবে। কবিতায় ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যের প্রতীকে যেমন বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা ব্যক্ত হয়েছে তেমনি উদ্দীপকেও বাংলার হৃদয় জুড়ানো সৌন্দর্যের কথা ব্যক্ত হয়েছে। বাংলা মায়ের সৌন্দর্য এতটাই মনোমুগ্ধকর যে কারো মনপ্রাণ আকুল হয়ে ওঠে। ফাগুন মাসে কৃষ্ণচ‚ড়ার লাল আভা আর পলাশের হাসিতে হৃদয় জুড়িয়ে যায়। তাই বলা যায়, বাংলা মায়ের অপরূপ রূপেই আকুল হয়েছে উভয় কবি।

ঘ উদ্দীপকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার আংশিক বিষয়বস্তু প্রতিফলিত হয়েছে।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলের প্রতীকে কবির প্রকৃতিপ্রেমের এক অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করা যায়। পৌষের বেলাশেষে সবুজ পাতার এদেশে জাফরান রং নিয়ে ‘ঝিঙে ফুল’ মাচার উপর ফুটে আছে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রজাপতি নানা প্রলোভন দেখিয়েছে স্বর্গে যাওয়ার জন্য তারা ডেকেছে আকাশে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ঝিঙে ফুল মা-মাটিকে ভালবাসে এ তার কোল ছেড়ে কোথাও যাবে না। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মতো উদ্দীপকেও বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য বর্ণিত হয়েছে। বাংলা মায়ের রূপে মুগ্ধ হয়ে উদ্দীপকের কবির মন আকুল হয়ে ওঠে। ফাগুন মাসে কৃষ্ণচ‚ড়া আর পলাশের হাসি দেখে মনপ্রাণ পাগল হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ অপরূপ রূপ উদ্দীপক ও কবিতায় বর্ণিত হলেও উদ্দীপকে ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য, প্রজাপতির প্রলোভন, তারার ডাক, শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকু প্রভৃতি বিষয় প্রতিফলিত হয়নি। অর্থাৎ উদ্দীপকের ভাবার্থের দিক থেকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার বিষয়বস্তু আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত।

৫ . টুম্পা বাড়িতে এবার কয়েকটি কুমড়ো গাছ লাগিয়েছে। এক সময় গাছে ফুল ধরে, হলুদ রঙের কুমড়ো ফুলগুলো মাচার উপর হাওয়ার দোল খায়। তখন টুম্পার মুখে আর আনন্দ ধরে না। তার সব বুর কাছে ফুলের গল্প করে সে।

ক. ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্য কে ডাকে? ১
খ. ‘ভালো এই পথ ভুল’ কথাটি বুঝিয়ে লেখ। ২

গ. উদ্দীপকের কুমড়ো ফুলের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় মিলগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের টুম্পা ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবি মনোভাবের অধিকারী বিশ্লেষণ কর। ৪

উত্তর: 
ক ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্য প্রজাপতি ডাকে।

খ ‘ভালো এই পথ ভুল’ বাক্যটিতে মাটি মায়ের কাছে থাকা আকাশের তারার চোখে ভুল পথ হলেও ঝিঙে ফুলের কাছে এ ভুলপথই ভালো।

সবুজ পাতার দেশে জাফরান রঙ নিয়ে মরা মাচানের উপর ঝিঙে ফুল ফুটে আছে। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আকাশে যেতে বলে তারা। তারা মনে করে তার প্রকৃত স্থান স্বর্গে, মাটি, মরা মাচান তার জন্য ভুল স্থান। কিন্তু ঝিঙে ফুল মাটি মাকে ভালোবেসে তার কোলেই থাকতে চায়। অন্য কোথাও যেতে রাজি নয়। তাই সে বলেছে এ ভুল পথই তার কাছে ভালো।

গ উদ্দীপকের কুমড়ো ফুলের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুলের মিল রয়েছে। অপরূপ রূপে সুধা বিলানোর দিক থেকে।

উদ্দীপকে টুম্পা কয়েকটি কুমড়ো গাছ লাগিয়েছে। একসময় গাছে ফুল ধরে, হলুদ ফুল মাচার উপর ফুটে আছে। বাতাসে দোল খায়। কুমড়ো ফুলের এ সৌন্দর্যে সে মুগ্ধ। কবিতাতেও ঝিঙে ফুলের এরূপ সৌন্দর্যের কথা ব্যক্ত হয়েছে। পৌষের বেলাশেষে সবুজ পাতার দেশে জাফরানি রঙে মরা মাচানের উপর ঝিঙে ফুল ফুটে আছে। লতিকার কর্ণে, ঢলঢল স্বর্ণে ঝলমল করে ওঠে ঝিঙে ফুল, দেখে প্রজাপতি ও তারারা মুগ্ধ। কুমড়ো ফুল ও ঝিঙে ফুল সৌন্দর্যের দিক দিয়ে একে অপরের পরিপূরক।

ঘ “উদ্দীপকের টুম্পা ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবি একই মনোভাবের অধিকারী” মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকের টুম্পা নিজে কয়েকটি কুমড়ো গাছ লাগিয়েছে। সে গাছে যখন হলুদ ফুল ফোটে। মাচার উপর বাতাসে দোল খায় তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না। তার সব বন্ধুদের কাছে তখন সে ফুলের গল্প

করে। টুম্পা প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবার বিষয়টিই দেখা যায় ঝিঙে ফুল কবিতার কবির মাঝে।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় ঝিঙে ফুলের প্রতীকে প্রকৃতির প্রতি কবির ভালোবাসা ব্যক্ত হয়েছে। ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যে প্রজাপতি ও তারার মুগ্ধ হবার বিষয়টিতে অপরূপ শোভাময় প্রকৃতির প্রতি কবির মুগ্ধতাই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতির অপর সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে উদ্দীপকের টুম্পা ও ঝিঙে ফুল কবিতার কবি।

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মহত্ব প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপকের টুম্পা ও ‘ঝিঙে ফুর কবিতার কবি একই মনোভাবের অধিকারী।

অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)

৬ . শাহেলার মা শাহেলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। বড় প্রতিষ্ঠানে শাহেলার চাকরির সুবাদে শাহেলা ঢাকার ধানমন্ডিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ি পান। কিন্তু গ্রামীণ জীবনে অভ্যস্ত শাহেলার মা আভিজাত্যময় পরিবেশের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না, ভোরবেলা পাখির মধুর কলতান, জঙ্গলে ফোটা বিভিন্ন ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য তার মনে বার বার ভেসে উঠতে থাকে। যন্ত্ররূপী এ স্বর্গ থেকে মাটির বুকে ফিরে যাওয়ার জন্য তার মন সর্বদা আকুল করতে থাকে।

ক. অলকা কী? ১ 
খ. ‘শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকুরে’- একথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের শাহেলার মায়ের মাধ্যমে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রকৃতির মাঝে মানুষের জীবনের অস্তিত্ব উদ্দীপক এবং ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

উত্তর: 
ক ‘অলকা’ স্বর্গের নাম।

খ ‘শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকুরে’- বলতে শ্যাম পৃথিবীর বুকে ঝিঙে ফুলের অবস্থানকে বোঝানো হয়েছে।

মৃত্তিকার সন্তানতুল্য ঝিঙে ফুল শ্যামলী মায়ের কোলে যেন ঘুমিয়ে আছে। তাইতো ঝিঙে ফুল এ মায়ের কোল ছেড়ে কোথাও যেতে যায় না। সোনামুখ খুকুর সাথে ফিরোজা ঝিঙে ফুলে বাস্তব তুলনা করা হয়েছে।
গ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রকৃতিপ্রেমের দিকটি বর্ণনা কর।
ঘ ঝিঙে ফুল কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।

৭ . শামীম স্যার বলেন, গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনো তুলনা চলে না। ছায়াঢাকা, পাখিডাকা চিরচেনা গ্রামবাংলার প্রকৃতি। এ প্রকৃতি সকল মানুষ ভালোবাসে। কারণ প্রকৃতি মানুষকে আনন্দ সাগরে নিমজ্জিত করে। মানুষের মনে অনন্তের দোলা সৃষ্টি করে। তাই গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে কেউ ভুলতে পারে না।

ক. ‘ফিরোজিয়া’ শব্দের অর্থ কী? ১ 
খ. ‘ভালোবাসি মাটি-মা’য়’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় যে প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন তাই উঠে এসেছে উদ্দীপকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

উত্তর: 

ক ফিরোজিয়া শব্দের অর্থ- ফিরোজা রঙের। 

খ ভালোবাসি মাটি-মা’য় চরণটিতে লেখক বোঝাতে চেয়েছেন মাটির প্রতি ঝিঙে ফুলের ভালোবাসা।

সবুজ পাতার দেশে ঝিঙে ফুল ফুটে আছে। প্রজাপতি ও আকাশের তারা ঝিঙে ফুলকে তাদের কাছে আসতে ডাকছে। কিন্তু ঝিঙে ফুল মাটি ছেড়ে প্রজাপতির কাছে যেতে চায় না। কারণ ঝিঙে ফুল মাটি-মাকে ভালোবাসে।
গ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার নিজর জন্মভূমির ভালোবাসার স্বরূপ- ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রকৃতি প্রেমের দিকটি বিশ্লেষণ কর।

৮ . আব্দুল হালিমের একমাত্র ছেলে জাহিন। লেখাপড়ায় বেশ ভালো। জাহিনের মামা তাকে ঢাকায় এনে লেখাপড়া করাতে চাচ্ছেন। কিন্তু জাহিন গ্রামের এ চমৎকার পরিবেশ ছেড়ে কোলাহলপূর্ণ ঢাকায় আসতে চাচ্ছে না। 
ক. কে মাটি মাকে ভালোবাসে? ১
খ. ‘মরা মাচানের দেশে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. জাহিনের মামার চাওয়া ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রজাপতির ডাকের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত ব্যাখ্যা কর।৩
ঘ. “জাহিন এবং ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা” উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
উত্তর: 
ক ‘ঝিঙে ফুল’ মাটি- মাকে ভালোবাসে। 
খ ‘মরা মাচানের দেশে’ বলতে বাঁশের মাচাকে বোঝানো হয়েছে। ঝিঙে গাছ সাধারণত বাঁশের মাচায় বড় হয়।
পৌষ মাসের শেষ দিকে ঝিঙে ফুল ফোটে। মরা বাঁশের মাচায় জাফরান রঙের ফুল সৌন্দর্য ছড়ায়। সে সৌন্দর্যে পরিবেশ আকুল হয়ে ওঠে। মূলত ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য মরা মাচানের সম্পূর্ণটা ভরিয়ে রাখে।

গ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মধ্যে প্রকৃতির অরণ্যে ফিরে যাওয়ায়- দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় নিজের প্রকৃতিতে আপন সত্তার অধিকার ধরে রাখার দিকটি মূল্যায়ন কর।


জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১. বিদ্রোহী কবি কে?
উত্তর : বিদ্রোহী কবি হলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
২.  ‘ঘুমজাগানো পাখি’ কী জাতীয় রচনা?
উত্তর : ‘ঘুমজাগানো পাখি’ ছোটদের জন্য লেখা কাব্যগ্রন্থ।
৩.  কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ছোটদের জন্য লেখা নাটকের নাম কী?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ছোটদের জন্য লেখা নাটকের নাম ‘পুতুলের বিয়ে’।

৪ ঝিঙে ফুল কবিতায় সবুজ পাতার দেশে কী রঙের ফিঙে-কুলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ঝিঙে ফুল কবিতায় সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া রঙের ফিঙে-কুলের কথা বলা হয়েছে।

৫ ঝিঙে ফুল কীভাবে দোলে?
উত্তর : ঝিঙে ফুল ঝলমল করে দোলে।

৬ গুল্মে পর্ণে কী ফোটে?
উত্তর : গুল্মে পর্ণে ঝিঙে ফুল ফোটে।

৭ কবি কখন গান শোনেন?
উত্তর : কবি সাঁঝে (সন্ধ্যায়) গান শোনেন।

৮ কে কবিকে মশ্গুল করে তোলে?
উত্তর : ঝিঙে ফুল কবিকে মশ্গুল করে তোলে।

৯ সোনামুখ খুকু কার কোলে?
উত্তর : সোনামুখ খুকু শ্যামলী মায়ের কোলে।

১০ প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে কীভাবে চলে আসতে বলে?
উত্তর : প্রজাপতি ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসতে বলে।

১১ আসমানের তারা কার দিকে চায়?
উত্তর : আসমানের তারা ঝিঙে ফুলের দিকে চায়।

১২ কে মাটি-মাকে ভালোবাসে?
উত্তর : ঝিঙে ফুল মাটি-মাকে ভালোবাসে।

১৩ কে অলকা চায় না?
উত্তর : ঝিঙে ফুল অলকা চায় না।


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১ “সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল।”এ লাইনে ‘সবুজ পাতার দেশে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : “সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুুল।”এ লাইনে ‘সবুজ পাতার দেশে’ বলতে ঝিঙে গাছকে বোঝানো হয়েছে।
ঝিঙে গাছ সবুজ। ঝিঙে পাতাও সবুজ। বাঁশের মাচা বড় বড় ঘন সবুজ পাতায় ভরে থাকে। তার মাঝে যখন ঝিঙে ফুল ফোটে, তখন মনে হয়, সবুজের রাজ্যে ফুল ফুটেছে। আলোচ্য লাইনে ‘সবুজ পাতার দেশে’ বলতে এটাই বোঝানো হয়েছে।

২ ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি কোন ধরনের তা বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতাটি প্রকৃতি বিষয়ক।

কবিতায় ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে। এটি গ্রামবাংলা সৌন্দর্যকে আরো বেশি সৌন্দর্যময় করে তোলে।

৩ আসমানের তারা ঝিঙে ফুলের কাছে কী চায় লেখ।
উত্তর : ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্যে আকাশের তারা মুগ্ধ। তাই তারা চায়, ঝিঙে ফুল যেন তার দেশে চলে আসে।

ঝিঙে ফুল ফোটে মরামাচানে আর তারা জাগে দূরের আকাশে। কিন্তু ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য প্রখরতা তারাদের নজর এড়ায় না। তাই ঝিঙে ফুল যেন তারার দেশে চলে আসে, এ জন্য তারারা হাতছানি দিয়ে ডাকে।

৪ ঝিঙে ফুলকে পাতার দেশের পাখি বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ঝিঙে গাছে উচ্ছল ও হাস্যময় রূপ নিয়ে ফুটে থাকা ঝিঙে ফুলকে কবির কাছে পাখির মতো মনে হয়েছে।

বাংলা প্রকৃতির অতি সাধারণ একফুল ঝিঙে ফুল। কবির হাতে অসাধারণ ব্যঞ্জনা লাভ করেছে। ঝিঙে গাছের সবুজ পাতায় ফুলের অবস্থানকে কবি সবুজ পাতার দেশে ঝিঙে ফুলকে কবি পাখির মতোই উচ্ছল মনে করেছেন। এ কারণে ঝিঙে ফুলতে পাতার দেশে পাখি বলেছেন।

৫ ‘বাঁধা হিয়া বোঁটাতে’ -বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : উক্ত বাক্যে বোঁটার সঙ্গে ঝিঙে ফুলের সম্পৃক্ত থাকাকে বোঝানো হয়েছে।

‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলামের প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। আমাদের অতি পরিচিত ঝিঙে ফুলকে নিয়ে এ কবিতাটি রচিত। ফিরোজা রঙের ঝিঙে ফুল পৌষের বেলা শেষে জাফরানি রঙে তার সৌন্দর্যের বিস্তার ঘটায়। এ কবিতায় বোঁটার সঙ্গে ঝিঙে ফুলের লেগে থাকাকে হিমা বা অন্তরের বোঁটার সঙ্গে সংযুক্ত থাকাকে বোঝানো হয়েছে।

৬ ঝিঙে ফুল স্বর্গে যেতে রাজি হয়নি কেন?
উত্তর : ঝিঙে ফুল তার ‘মাটি-মা’কে ভালোবাসে বলে তাদের ছেড়ে স্বর্গে যেতে রাজি হয়নি।

ঝিঙে ফুলের জন্মের উৎস মাটি। তাই মা-মাটিকে ছেড়ে কোথাও তার যেতে ইচ্ছে করে না। স্বর্গের অসীম সুখের হাতছানি তাকে ভুলতে পারে না। মা ও মাটিকে ভালোবাসে বলে তাদের ছেড়ে স্বর্গে যেতে রাজি হয় না সে।



1 comment:

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.