ads

৮টি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য

⦿ লােকশিল্প জাদুঘর
⦿ গণশিক্ষা
⦿ গ্রাম্য মেলা
⦿ অতিথি পাখি 
 ⦿ অভিধান 
⦿ পদ্মাসেতু 
⦿ অধ্যবসায় 
⦿ কর্তব্যনিষ্ঠা

লােকশিল্প জাদুঘর

বাংলাদেশের লােকশিল্প জাদুঘর বলতে আমরা মূলত সােনারগাঁও লােকশিল্প জাদুঘরকেই বুঝি। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে সােনারগাঁও যখন তার নিজস্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিটুকু হারাচ্ছিল, তখন সেখানে আগমন ঘটে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের। তিনি স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারি সাহায্য-সহযােগিতায় সােনারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লােকজ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সােনারগাঁও জাদুঘর)। পরবর্তী সময়ে এটি সরকারি প্রতিষ্ঠানরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ লােকজ ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে দর্শনার্থীদের জন্য মােট ১১টি গ্যালারি রয়েছে। প্রতিটি গ্যালারিতে দুর্লভ সব ঐতিহ্যের নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। পরবর্তীকালে আরও দুটি গ্যালারি এখানে যােগ করা হয়। এ গ্যালারিগুলাে হলাে নিপুণ কাঠ খােদাই গ্যালারি, গ্রামীণ জীবন গ্যালারি, নৌকার মডেল গ্যালরি, উপজাতি গ্যালারি, পটচিত্র গ্যালারি, মুখােশ গ্যালারি, লােকজ বাদ্যযন্ত্র ও পােড়ামাটির নিদর্শন গ্যালারি, তামা, কাঁসা, পিতলের তৈজসপত্র গ্যালারি, লােকজ অলংকার গ্যালারি, বাঁশ, বেত, শীতলপাটি গ্যালারি, জামদানি ও নকশিকাঁথা গ্যালারি, কাঠের প্রাচীন ও আধুনিক দ্রব্যাদি গ্যালারি এবং বিশেষ প্রদর্শনী গ্যালারি। তাছাড়া ফাউন্ডেশন চত্বরে কারুপল্লি গ্রাম ও কারুশিল্প গ্রাম উন্নয়ন নামে দুটি প্রকল্প, লাইব্রেরি এবং ডকুমেন্টশন সেন্টার রয়েছে। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফাউন্ডেশন চত্বরে বছরে দুই মাসব্যাপী লােকজ উৎসবসহ বিভিন্ন দিবসগুলােতে মেলা ও উৎসবের আয়ােজন করা হয়।

গণশিক্ষা

গণশিক্ষা বলতে নিম্নশ্রেণির সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষার সম্প্রসারণ বােঝায়। শিক্ষা মানবজীবনের মৌলিক অধিকার। এই । মৌলিক অধিকার যাতে মানুষের জীবনে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য ধর্মগ্রন্থে পর্যন্ত জ্ঞানার্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অগণিত মহাপুরুষ মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে শিক্ষা সম্প্রসারণের কথা বলেছেন। শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে কোনাে প্রশ্নই ওঠে না। এ ব্যাপারে উদ্যোগ সম্পর্কেও কোনাে সন্দেহ নেই। তবু শিক্ষা সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠেনি। এটাই দেশের। অনগ্রসরতার প্রধান কারণ। বর্তমানে শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা। হয়েছে। তবু সবার জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণের বাধাও দূর হচ্ছে না। আমাদের দেশের অনগ্রসরতার পেছনে অশিক্ষা অন্যতম কারণ। হিসেবে বর্তমান। নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে ইতােমধ্যেই অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে হলে গণশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বয়স্কদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের ব্যবস্থা করা হলে এ উদ্যোগ সফল হতে পারে। আমাদের দেশের অগণিত বয়স্ক মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তাদের শিক্ষিত করা হলে দেশ থেকে, অশিক্ষা ও নিরক্ষরতা দূর করা সম্ভব। তাই গণশিক্ষার প্রয়ােজন। এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর দরিদ্র জনগণের অধিকার খুব কম। এ জন্য ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন না করে গ্রামে গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল-শ্রেণি পেশার মানুষের শিক্ষার্জনের সুযােগ করে দিতে হবে। একটি বিশেষ পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলে গণশিক্ষা প্রসারের সুযােগ হতে পারে। শিক্ষাকে সর্বজনীন করে সবার দ্বারে শিক্ষার আলাে পৌঁছাতে পারলেই দেশের জনগণের যথার্থ কল্যাণ সাধিত হবে। কেননা, শিক্ষাই পারে একটি আদর্শ, কল্যাণমূলক দেশ ও জাতি গড়ে তুলতে।

গ্রাম্য মেলা

গ্রাম্য মেলা গ্রামবাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য। এটি আবহমান বাংলার লােকসংস্কৃতির অংশ। গ্রামীণ মানুষের জীবনে মেলা এক। অফুরন্ত আনন্দের উৎস। প্রায় সারা বছরই দেশে কোথাও না কোথাও মেলা বসে। চৈত্রসংক্রান্তি মেলা, বৈশাখী মেলা, পৌষ মেলা, মহররমের মেলা, বইমেলা, বৃক্ষমেলা ইত্যাদি নানা উপলক্ষে এদেশে মেলা বসে। হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রা, দোলযাত্রা, পুণ্যস্নান, দুর্গাপূজা ইত্যাদি উপলক্ষেও মেলা বসে। গ্রাম্য মেলা সাধারণত গ্রামের কোনাে উন্মুক্ত স্থানে, নদীর তীরে কিংবা বড় । কোনাে বটগাছের ছায়ায় বসে। মেলার স্থায়িত্ব বিভিন্ন রকম হতে পারে। এর বর্ণাঢ্য সাজ, কোলাহল, বিচিত্র আওয়াজ সব। মিলিয়ে জনজীবনে একটা উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। গ্রাম্য মেলায় হরেক রকম বৈচিত্র্যময় পণ্যের পসার দেখা যায়। ঘরগেরস্থালির নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী, সাজসজ্জার উপকরণ, শিশু-কিশােরদের খেলনা, বিভিন্ন রকম মুখরােচক খাবারের সমারােহ দেখা যায় গ্রাম্য মেলায়। মেলা যেন মানুষের মিলনক্ষেত্র, সেখানে ধর্ম-বর্ণ-ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের আগমন ঘটে। মেলায় দর্শকদের মনােরঞ্জনার্থে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, কুস্তি, লাঠিখেলা, যাত্রা, বায়ােস্কোপ, সার্কাস ইত্যাদি আয়ােজন থাকে। গ্রামীণ মেলায় হস্ত ও কুটির শিল্পজাত দ্রব্যের সমাহার ঘটে স্বল্প পুঁজির পেশাজীবীরা এখানে তাদের তৈরি পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারে। এটা গ্রামীণ মেলার তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দিক গ্রাম্য মেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা।

অতিথি পাখি

বিভিন্ন দেশ থেকে শীতকালে বহু পাখি আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে বেড়াতে আসে, তাদেরকে বলা হয় অতিথি পাখি। উত্তরের সাইবেরিয়া অঞল শীতকালে পাখিদের বসবাসের অযােগ্য হয়ে পড়ে। এ কারণে সেখানকার পাখিগুলাে প্রচণ্ড শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, সিলেটের হাওর-বিল এলাকা ও সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আস্তানা গড়ে। যেসব অতিথি পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে, তারা হলাে বলাকা, রেড ফ্রাইক্যাচার, পিপিট, খঞ্জনা, কাদাখোচা ইত্যাদি। এরা কেউ আকারে বড়, কেউ বা আকারে ছােট। অতিথি পাখিগুলাে শীতকাল শেষ হলেই আবার। নিজের আদি বাসস্থানে ফিরে যায়। অতিথি পাখিরাও আমাদের দেশের শােভা বর্ধন করে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অতিথি পাখির আগমন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লােকজনের আগমন দেখা যায়। আমাদের উচিত অতিথি পাখিরা যেন অতিথির মতাে সুন্দর, স্বাভাবিকভাবে অবস্থান করতে পারে। অনেক সময় দুষ্ট লােকেরা খেয়ালের ছলে অতিথি পাখি শিকার। করে। আইনপ্রণয়ন করে অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে। দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অতিথি পাখির ভূমিকা অপরিসীম।

 অভিধান

ইংরেজি Dictionary শব্দের বাংলা প্রতিরূপ ‘অভিধান’ অভিধান' শব্দের আক্ষরিক অর্থ শব্দার্থ’ । তবে অভিধানে শুধু শব্দার্থই। অন্তর্ভুক্ত হয় না, সেখানে থাকে শব্দের নানামুখী বিশ্লেষণ । তাই বলা যায়, যে গ্রন্থে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে কোনাে ভাষায় শব্দের অর্থ, বিশুদ্ধ বানান, নির্ভুল উচ্চারণ, ব্যুৎপত্তি, ব্যাকরণগত পরিচয় সুশৃঙ্খলভাবে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে অভিধান বলে। অভিধান একটি আবশ্যক গ্রন্থ। শিক্ষিত মানুষের ঘরে অন্য কোনাে বই না থাকলেও এক-দুটি অভিধান খুঁজে পাওয়া যাবে । অভিধানে কোনাে ভাষার প্রচলিত ও অপ্রচলিত সমস্ত শব্দ খুঁজে পাওয়া অসমভব নয়। অভিধান প্রধানত দু' প্রকার। এক শ্রেণির অভিধান আনুশাসনিক, আরেক শ্রেণির অভিধান বর্ণনামূলক। ভাষায় ব্যবহৃত শব্দসমূহের বিশুদ্ধ বানান, উচ্চারণ ও অর্থনির্দেশ আনশাসনিক অভিধানের বিষয়বস্তু। পৃথিবীর বেশির ভাগ অভিধানই এই শ্রেণির । সাধারণ মানুষের কাছে এ শ্রেণির অভিধানই সমাদৃত। এ ধরনের অভিধান যারা ব্যবহার করে তাদের ধারণা, এসব গ্রন্থে মুদ্রিত শব্দে অর্থ, বানান ও উচ্চারণ সম্পর্কিত বক্তব্যই শেষ কথা। বর্ণনামূলক অভিধান তার বিপরীত। বাংলা ভাষার কোনাে বর্ণনামূলক অভিধান রচিত হয়নি। বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান রচনা করেন পর্তুগিজ পাদ্রি ম্যানুয়েল দা আসসুম্পসাও। তারপর অনেক অভিধান, সংকলিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ‘সংসদ বাংলা অভিধান' ও 'চলন্তিকা অভিধান যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলা একাডেমি বেশ কয়েকটি ইংরেজি ও বাংলা অভিধান প্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত অভিধানগুলাে প্রমিত বাংলা বানানের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযােগ্য। সর্বশেষ বানান সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্যে সবারই অভিধান ব্যবহার করা উচিত।

পদ্মাসেতু

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দীর্ঘতম সেতু পদ্মা সেতু। এ সেতু পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পদ্মা সেতুর প্রস্তাবিত দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলােমিটার। এ সেতু নির্মাণ হলে ঢাকার সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলার যােগাযােগ নিশ্চিত হবে। যােগাযােগব্যবস্থা সহজতর হবে। কেননা বর্তমানে পূর্বাঞলে ও দক্ষিণাঞলের মানুষ নদীপথে ঢাকার সঙ্গে যােগাযােগ স্থাপন করছে। ফলে তাদের অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। এ কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে সময়ের সাথে অর্থও ব্যয় হচ্ছে। মানুষজন চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ। প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু নির্মাণে জানুয়ারি, ২০১৬ নাগাদ ব্যয় হয় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু নির্মিত হবে কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে। উপর দিয়ে যানবাহন আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। এ সেতুর প্রতিটি পাইলের দৈর্ঘ্য হবে ১৫০ মিটার। ৩০ জুন, ২০১৯ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৮১ শতাংশ। নদী শাসনের কাজ হয়েছে প্রায় শেষ। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময়সীমা ডিসেম্বর, ২০১৮ ধরা হলেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে সম্ভব হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে ১.২৩। শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। প্রকল্প সমন্বয়কারীর ভাষ্যমতে, ২০২০ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে এবং চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশে এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।

অধ্যবসায়

জীবনে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে আরােহণের সােপান হলাে অধ্যবসায়। অধ্যবসায়’ শব্দের আভিধানিক অর্থ বারবার চেষ্টা বা। অবিরাম সাধনা। কোনাে কাজের সফলতার জন্যে মানুষ বারবার যে চেষ্টা করে তাকে বলে অধ্যবসায়। কোনাে কাজ প্রথমবারের চেষ্টায় সফল হবে, এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় না। একবারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে কাজ থেকে বিরত থাকলে জীবনে সফলতা আসে না। কবি কালীপ্রসন্ন ঘােষের ভাষায় : ‘পারিব না এ কথাটি বলিও না আর/ একবার না পারিলে দেখ শতবার’ এই হচ্ছে অধ্যবসায়ের মূলকথা। অধ্যবসায়ের প্রয়ােজন মানবজীবনে অনেক বেশি। ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব অত্যধিক।। অনেকের ধারণা, প্রতিভার জোরেই শিক্ষার্থীরা ভালাে ফল করে। কথাটা আংশিক সত্য হতে পারে, কিন্তু সর্বাংশে সত্য নয়। প্রতিভার সঙ্গে অধ্যবসায় না থাকলে কোনাে মতেই ভালাে ফল করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া অনেক সময় দেখা গেছে, অধ্যবসায়ের গুণে অল্প মেধাবী শিক্ষার্থীরাও উত্তম ফল লাভে সমর্থ হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে কর্মজীবনেও। অধ্যবসায়হীন জীবনে নেমে আসে ব্যর্থতার গ্লানি। তাই জীবনকে সফল ও সার্থক করে তুলতে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই।

কর্তব্যনিষ্ঠা

মানবজীবনে সাফল্য লাভে কর্তব্যনিষ্ঠা অন্যতম একটি গুণ । জীবন ও সমাজের অগ্রগতির জন্য কর্তব্যনিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। কর্মজীবনে মানুষকে নানারকম কর্তব্য পালন করতে হয়। পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা মানুষের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। কর্তব্যে শৈথিল্য দেখালে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালিত হয় না। কাজের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকে না। এতে সমাজের অমঙ্গল হয়। ভালােভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়ােজন উপযুক্ত পরিবেশ। অনেক কর্তব্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের শ্রম, অধ্যবসায় ও সহিষ্ণুতার দরকার। প্রয়ােজন হয় নিবিড় একাগ্রতার। বস্তুতপক্ষে, নিষ্ঠা ছাড়া জীবনে সাফল্য আসে না। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনই কর্তব্যনিষ্ঠার বড় পুরস্কার। বিশ্বায়নের এ যুগে সাফল্য ও অগ্রগতির বহুলাংশ কর্তব্যনিষ্ঠার ওপর নির্ভরশীল। মানুষকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতি নজর দেয়া হয়। কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষ আদর্শ স্বরূপ। যে মানুষের। মাঝে কর্তব্যনিষ্ঠা রয়েছে তার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে লােকে ভরসা পায়। মানুষ যদি কর্তব্যনিষ্ঠ হয়, তবে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব বা কর্তব্য সুচারুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। তাই এ দেশের প্রতিটি মানুষকে জীবনে সার্থকতা অর্জন ও সাফল্য লাভে কর্তব্যনিষ্ঠ হতে হবে ।

























No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.