ads

বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

প্রাচীনকাল থেকে নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন করে আসছে। অথচ সেসময় থেকেই নারীরা সমাজে নির্যাতিত, অবহেলিত, মূল্যহীন ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। 

নারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নানা রকম বৈষম্যের শিকার। নারীদেরও সমাজে বেঁচে থাকার, পুরুষের মতো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। সভ্যতার বিনির্মাণে পুরুষের পরিশ্রম, সংগ্রামের প্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছে নারী। নারীরা তাদের সেবা, মায়া-মমতা ও কর্তব্যনিষ্ঠ দায়িত্ব পালন করে পুরুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। পৃথিবীতে যত বড় মহান ব্যক্তি এসেছেন, তাদের পেছনে কোনো না কোনো নারীর

অনুপ্রেরণা রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন- “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।” নেপোলিয়ন বলেছেনÑ “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” অর্থাৎ নারী ব্যতিত সভ্যতার উন্নতি সম্ভব নয় একথা মনীষীরাও স্বীকার করে গেছেন। তাই নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতা দূর করে, তদের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করে সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।

আধুনিক কল্যাণকামী সভ্যতা সৃষ্টিতে নারী ও পুরুষ উভয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তাই নারীদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে তাদের সাথে নিয়ে জগতের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে। 

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.