প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন:
কোনাে একটি নির্দিষ্ট বিষয় অবলম্বন করে সেই বিষয়ের সমস্ত প্রকার তথ্যানুসন্ধানের পর যথাযথ গঠনকাঠামাে অনুসরণ করে ধারাবাহিক বিবরণী উপস্থাপন করাকে প্রতিবেদন বলে।
প্রতিবেদন পাঠের উদ্দেশ্য :
শিক্ষার্থী যেন তার চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, বিষয় বা প্রসঙ্গ সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধান করে নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে নিজের ভাষায় স্বকীয়মণ্ডিত করে বস্তুনিষ্ঠ বিবৃতি / বর্ণনা লেখার দক্ষতা অর্জন করতে পারে এ উদ্দেশ্যেই প্রতিবেদন পাঠ করা হয়।
প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি:
ক. নির্মিতি অংশের একটি বিশেষ ধরনের বিষয় হলো প্রতিবেদন লিখন। কারণ এর গঠনকাঠামাে ও বর্ণনা কৌশলে রয়েছে বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্য
খ. প্রতিবেদন লিখন সাধারণ মানুষের কাজ নয়। সমাজের যে কেউ চাইলেই একটি প্রতিবেদন লিখতে পারেন না বা লেখার অধিকার রাখেন না।।
গ. প্রতিবেদন লেখেন কেবল বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ। অর্থাৎ কোনাে কর্তৃপক্ষ, দায়িত্বশীল, বিশ্বস্ত ও অধীনস্থ কোনাে ব্যক্তিবর্গকেই কেবল কোনাে নির্ধারিত ঘটনা বা বিষয় অবলম্বনে যথাযথ তথ্যাদির আলোকে প্রতিবেদন লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
ঘ. দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সামগ্রিক তথ্যানুসন্ধানের পর নির্দিষ্ট গঠন কাঠামাে অবলম্বন করে নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য। পরিবেশন করে প্রতিবেদন লিখে তার ঊধ্বর্তন। কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেন।
ঙ. এরপর কর্তৃপক্ষ উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন:
১. সর্বপ্রথম নির্ধারিত ঘটনা বা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে, যাচাই-বাছাই শেষে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি আগে, এবং কম গুরুত্বপূর্ণগুলাে পরে এভাবে সাজাতে হবে।
২. এরপর বিষয়ভিত্তিক সুন্দর শিরােনাম নির্ধারণ একান্তভাবে কাম্য।
৩. প্রতিবেদন লিখনে কোনােভাবেই আবেগের প্রাধান্য দেওয়া যাবে না এবং কোনাে পক্ষপাতিত্বও করা যাবে।
৪. প্রতিবেদনের ভাষা হবে সহজ-সরল-প্রাঞ্জল। কারণ, সমাজের সর্বস্তরের মানুষই প্রতিবেদনের পাঠক হয়ে থাকে
৫. বিষয়বৈচিত্র্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদনের গঠনকৌশল আবার ভিন্ন ভিন্ন। যে ধরনের প্রতিবেদনের গঠনশৈলী যে রকম, সে-রকম গঠনকাঠামাে দিয়েই সে প্রতিবেদন লিখতে হবে।
সাধারণ প্রতিবেদন / প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম-কানুন:
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন কী:
সাধারণত আমরা যে প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকি সেই প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা, বিষয় বা প্রসঙ্গ সম্পর্কে যে প্রতিবেদন লিখতে হয় সেটিই প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন বা সাধারণ প্রতিবেদন।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ:
১. সর্বপ্রথম কর্তৃপক্ষকে সাধারণ আবেদনপত্রে সূত্রসহ প্রতিবেদন লেখার কারণ উপস্থাপন করতে হবে।
২. আবেদনপত্রের উপরে বামদিকে তারিখ, প্রাপকের বা কর্তৃপক্ষের পদবি-ঠিকানা, বিষয় ও সূত্র/স্মারক নম্বর লিখতে হয়। (মনে রাখতে হবে; কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত চিঠির নম্বরই সূত্র / স্মারক নম্বর)।
৩. এরপর শিরােনামসহ মূল প্রতিবেদন লিখতে হয়।
৪. মূল প্রতিবেদনের প্রথম অনুচ্ছেদটি
5w+1H Formula ব্যবহার করে লিখতে হয়।
অর্থাৎ W= What, W=Where, W= When, W= Who, W= Why এবং H= How এ প্রশ্নগুলাের উত্তর একত্রিত করে শিক্ষার্থী প্রথম অনুচ্ছেদটি লিখবে। (সব কটি বিষয় নাও আসতে পারে তবে বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর আসবে)
৫. প্রথম অনুচ্ছেদের পর একাধিক অনুচ্ছেদে। ধারাবাহিকভাবে পুরাে বিষয়টি বর্ণনা করতে হবে।
৬. মূল প্রতিবেদন লেখা শেষে ‘বিনীত নিবেদক, 'ইতি','প্রতিবেদক' এই কথাগুলাে লেখা যাবে না।
৭. প্রতিবেদনে কোনাে খাম দিতে হয় না। তবে প্রতিবেদন লেখা শেষে প্রতিবেদক ও প্রতিবেদন সম্পর্কিত একটি তথ্য-ছক দিতে হবে।
একটি প্রাতিষ্ঠানি প্রতিবেদনের নমুনা :
তোমার বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করো।
৩ মার্চ, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ
অধ্যক্ষ
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০।
বিষয়: বিজ্ঞান মেলার বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদন।
সূত্র / স্মারক: এসজিএইচএসসি/২০/ক/২০২২
মহোদয়,
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বিজ্ঞান মেলা-২০২২’ বিষয়ে প্রতিবেদন পেশে আদিষ্ট হয়ে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক নিচের প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করলাম।
ঐহিহ্যবাহী সেন্ট গ্রেগরীতে খুদে বিজ্ঞানীদের চমক : বিজ্ঞান মেলা-২০২২
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বনামধন্য সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৫ দিনব্যাপি এক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন শেরে বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়।
পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক এস.আর. আক্তার মুকুলের নেতৃত্বে বিজ্ঞান মেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে স্কুলের ৪০ সদস্যের বিজ্ঞান ক্লাবের একটি প্রশিক্ষিত দল। তাদের সহায্য করে সেচ্ছাসেবক দল। বিজ্ঞান মেলার কর্মসূচি চুড়ান্ত করা হয় ২০ জানুয়ারি, ২০২২। কর্মসূচি অনুযায়ী ঘোষণার পর প্রতিটি শ্রেণির দুটি করে দল তাদের স্টলে নিজস্ব প্রকল্প প্রদর্শন করে। মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ছিল ২১৫টি।
আগত অতিথিরা এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে মেলা প্রদর্শন করেন । অতিথিরা মেলায় অংশগ্রহণকারি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন। তবে মেলা দেখতে আসা শিশুদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
৭ম শ্রেণির দুটি দল দেখায় কীভাবে পরিত্যাক্ত কলম ও ইলেকট্রিক বাল্বের মাধ্যমে পেপারওয়েট বানানো যায়। ৮ম শ্রেণির দুটি উপস্থাপন করে ‘ওয়াটার ট্যাংক অ্যালার্মিং সিস্টেম’। জলের ট্যাংক জলে ভরে গেলে এই যন্ত্র অ্যালার্ম দেবে যে ট্যাংক ভর্তি হয়ে গেছে। ৫ম শ্রেণির দুটি দল প্রদর্শন করে একটি আদর্শ গ্রামের নকশা। দশম শ্রেণির দুটি দল দেখায় এক ধরনের বিশেষ চেয়ার, যাতে বসে থাকা অসুস্থ মানুষ শুধু তার হাতের মাধ্যমে সুইচ টিপে অন্যদের জানাবে তার কী দরকার? প্রতিদিন বিকাল ৬:৩০ টায় মেলার প্রদর্শনী সমাপ্ত হয়।
সমাপনী দিনে বিকাল ৪:০০টায় শুরু হয় পুরুস্কার বিতরণী। প্রতিটি শ্রেণির বিজয়ী দলকে পুরস্কার দেওয়া হয়। সবচেয়ে সুন্দর প্রকল্প চিহ্নিত হয় দশম শ্রেনির ‘খ’ গ্রুপের প্রকল্পটি। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য ছিল সান্ত্বনা পুরস্কার। বিজয়ীদের কাছে পুরুস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি মাননীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এমপি মহোদয়। তিনি বলেন, এই “এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই আগামী দিনের আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। পুরস্কার বিতরণী সমাপ্ত হলে সভাপতি মহোদয় আগামী বছর এর চেয়ে ভালো মেলা উপহার দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে বিজ্ঞান মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞান মেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো । অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা প্রবল আগ্রহ নিয়ে এ মেলায় অংশ গ্রহণ করে। এতে তাদের নিজস্ব সৃজনশীল চেতনার বিকাশ যেমন ঘটেছে তেমন তাদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। তারা দলগত কাজের মাধ্যমে নিজেদের অভ্যস্ত করেছে যা তাদের আগামীতে পথ দেখাবে। ভবিষ্যতে এমন বিজ্ঞান মেলা ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানমনস্ক এবং উদ্ভাবনী শক্তি সম্পন্ন করে তুলবে বলে আমরা দৃঢ়বাবে বিশ্বাস করি।
প্রতিবেদকের নাম : ক
প্রেসিডেন্ট, সাইন্স ক্লাব,
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ট কলেজ, ঢাকা
Thank you sir. I am Shams Mahmood Sifat A901
ReplyDeleteWho asked
DeleteSir I'm ;
ReplyDeleteName : Muhammad Arshad Khan,
Roll no : B-A920
Name:Samin Rahman
ReplyDeleteRoll:BA939
Shuvodip Tirtho
ReplyDeleteEB006
Thank you
ReplyDeleteMD RAKIB HASAN
EB010
Name:B.M.Khaledur Rahman Rosa
ReplyDeleteRoll:BA930
Name:Fahim Mahmud
ReplyDeleteRoll:BA931
Name:Asim Hossain.Roll:BA918
ReplyDeleteThank you sir
ReplyDeleteArindom Sarker EB001
Name: Samiul Islam
ReplyDeleteRoll: BA962
Name: Md. Sabitul Islam
ReplyDeleteRoll: BA917
Md Radin Hasan
ReplyDeleteBA916
Thanks a lot sir for your outstanding presentation.
ReplyDeleteName :- Jahin Hasan.
Roll :- BA951.
Thank you,sir
ReplyDeleteMd. Shahata Jarab Ishan
EB004
Thank You Sir
ReplyDeleteYasin Hossain Tamim
B9A24
Thank you sir.. I am Md. Tauhid khan
ReplyDeleteBA944
MD Sahadat Hossain BA903
ReplyDeleteMashrur Mobarrat Khan
ReplyDeleteBA927
Atif Abrar Khan
ReplyDeleteBA922
Thank you sir. I'm C M Imran Pratik BA910
ReplyDelete(BA902) Nahiyan Ahmed
ReplyDeleteEqramul Karim Minhaj
ReplyDeleteBA907
Mahathir Mohammad. BA911
ReplyDeleteThank you Sir
ReplyDeleteMd Nayam Ahammad
BA906
Thank you sir.
ReplyDeleteMd.Tosin Ahmad
B9A13
Thank you sir.
ReplyDeleteMashrafi Rahman
B9A29
Md.Moynul Islam Chowdhury.
ReplyDeleteB9A59
Arafat Al Ratul
ReplyDeleteB9A55
Saifan Maheer Fahmee
ReplyDeleteRoll-BA950
Shrayas Hossain Sheik
ReplyDeleteRoll-BA960
Thank you sir
ReplyDeleteMd. Hassan Mridha
BA949
Thank you , sir.
ReplyDeleteB.M.Mohitul Rhaman ( Mohit )
Roll :- EB008
Thank you
ReplyDeleteSir,
Mahfuz Ahmed Ifty
BA915
Thank you sir
ReplyDeleteEB026
Motasim Ahamed Shoron. BA923
ReplyDeleteThank you so much sir 💖.
ReplyDeleteThankyou sir
ReplyDeleteUmrul Arifen Afan EB015