ads

‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান‘ (২০১৬) PDF ডাউনলোড করে সংগ্রহে রেখে ব্যবহার করুন অত্র-তত্র।

বাংলা একাডেমি সূচনালগ্ন (১৯৫৫) থেকেই অভিধান রচনায় মনোনিবেশ করে এবং এই কাজে ব্রতী হয়েছিলেন স্বয়ং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌। তাঁর সম্পাদনায় ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হয় পূর্ব পাকিস্তানী আঞ্চলিক ভাষার অভিধান (পরবর্তীকালে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, ১৯৬৫)। দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ (১৯৭৪) প্রণয়নের সূত্রপাত করেন আরেকজন বিখ্যাত পণ্ডিত ড. মুহম্মদ এনামুল হক। এ অভিধানটি প্রকাশিত হয় অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ীর সম্পাদনায় (১৯৮৪)। অভিধান প্রণয়নের এই সুপরিকল্পিত উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় কিছুকালের মধ্যেই বাংলা একাডেমি একগুচ্ছ অভিধান প্রণয়ন ও প্রকাশনার কাজ সম্পনন করে। এর মধ্যে রয়েছে Bangla Academy English-Bangla Dictionary (1993), Bangla Academy Bangla-English Dictionary (1994), বাংলা একাডেমি বাংলা বানান অভিধান (১৯৯৪), বাংলা একাডেমী বাংলা উচ্চারণ অভিধান (১৯৯০), যথাশব্দ (১৯৭৪) ও বাংলা একাডেমী ছোটদের অভিধান (১৯৮৩) প্রভৃতি।
বর্তমান শতকের প্রথম দশকের শেষদিকে বাংলা একাডেমি অভিধানধর্মী আরো সুবৃহৎ এবং পরিশ্রমসাধ্য কাজে আত্মনিয়োগ করে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপক পবিত্র সরকার-এর সহায়তায় রবীন্দ্রনাথ-পরিকল্পিত (১৯০১) বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়। 
এই প্রকাশনার পরপরই ভাষার প্রতিনিয়ত বিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রেখে বাংলা একাডেমি তিন খণ্ডে প্রকাশ করেছে ‘বাংলা একাডেমী বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ (২০১৪)। এই অভিধানটি সম্পাদনা করেন অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ এবং সহযোগী সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার। উল্লেখ্য যে, ‘বাংলা একাডেমী প্রমিত ভাষার বাংলা ব্যাকরণ’ (দুই খণ্ডে) এবং বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান প্রণয়নের কাজে একাডেমির কয়েকজন কর্মকর্তাও অংশগ্রহণ করেন।
আমাদের অভিধান-অন্বেষার এক অনন্য নজির ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান‘ (২০১৬) এ অভিধানটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষায় বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক নতুন এবং কৃতঋণ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবের পরে যে-সব শব্দ আমাদের দৈনন্দিন ভাষায় যুক্ত হচ্ছে তার পরিমাণ যেমন সামান্য নয়, তেমন তার গুরুত্বও অস্বীকার করার উপায় নেই। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বর্তমান অভিধানটি প্রণীত হয়েছে। এই অভিধানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো বাংলা ভাষার অন্যান্য অভিধানের মতো এটি পুরোপুরি প্রতিশব্দ-নির্ভর নয়। এই অভিধানে উন্নত ভাষার অভিধানসমূহের মতো প্রায় ক্ষেত্রেই শব্দ বা শবদগুচ্ছের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বাংলা অভিধানে অনেক সময় একটি শব্দ বা শব্দার্থ প্রতীকের মাধ্যমে আমাদের মনে বিশিষ্ট অবয়ব লাভ করে। এই ধরনটি অনেকটাই কল্পনা-সম্পৃক্ত। এতে বিষয়টির বাস্তব রূপ বহুক্ষেত্রেই পরিস্ফুটিত হয় না। সেই দিকে লক্ষ রেখেই এ অভিধানে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই অভিধান প্রণয়নের কাজে প্রধান সম্পাদক হিসেবে অভিধান, বানান ও উচ্চারণ-বিশেষজ্ঞ জামিল চৌধুরী যে প্ররিশ্রম করেছেন তা প্রায় তুলনারহিত। আমি তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে বাংলা একাডেমির যে-সকল কর্মকর্তা অভিধান সংকলনের কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকেই অভিনন্দন জানাই। আশা করা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও জ্ঞানান্বেষীদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে।



2 comments:

  1. অভিধানটি আপলোড করার জন্য ধন্যবাদ৤ কিন্তু এতই কপি করেছেন যে, নিজে সামান্য কষ্ট করারও চেষ্টা করেন নাই৤ পিওর বাঙালী মার্কা চুরি৤ পেজ নাম্বারগুলা দেনে সাজানো আছে কি না? বিরক্তিকর৤

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ

    ReplyDelete

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.