ads

আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

(কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি / চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যা ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

২১ জানুয়ারি ২০২২ খ্রিব্দাব্দে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব জনাব মােঃ সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা থেকে করােনাভাইরাসজনিত রােগ কোভিড-১৯-এর বিস্তাররােধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি / চলাচলে বিধি-নিষেধ আরােপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এখানে বলা হয়েছে-

ক. ২১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে;

খ. বিশ্ববিদ্যালয়গুলাে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে;

গ. সামাজিক-রাজনৈতিক/ধর্মীয় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যােগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ / ২৪ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

ঘ. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা / কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন;

ঙ. বাজার /শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরণের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে; এবং 

চ. বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।


অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি। 
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক অংশ নিতে পারবে না। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অর্ধেক জনবল নিয়ে চলবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত  হয়েছে। শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। 
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম। সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রেখেছিলাম। কিন্তু ইদানীং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জনাব জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংক্রমণ কমানো। যাতে শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত না হয়। আগামী দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 


তিনি বলেন, সংক্রমণ কমানোর জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশে পরিবহন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক লোক চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। এবং যারা আসবে, তাদের টিকার সদন এবং করোনা পরীক্ষা করা থাকতে হবে। যানবাহনে ওঠার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, ১১ দফা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। সেটা এখনও সেভাবে কার্যকর হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে। জেলাপ্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি, সরকারের বিধিনিষেধগুলো যেন বাস্তবায়ন হয়।








No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.