স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো।। নির্মলেন্দু গুণ
১. বঙ্গবন্ধুকে কবির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর বাঙালি হৃদয়ের আবেগপ্রবণ প্রকাশ কবিসুলভ ছিল বলে তাঁকে কবির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবি নির্মলেন্দু গুণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কল্পনা করেছেন কবিরূপে। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন ও অনুভূতির রূপকার। প্রতীকীভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের মতো দীপ্ত পায়ে হেঁটে এসে বিদগ্ধ এক কবির মতো করেই ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ছিলেন যথার্থ রাজনীতির কবি। তিনি বক্তৃতায় জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সম্মোহিত করতে পারতেন বলে তাঁকে কবি বলা হয়েছে।
২. ‘একটি কবিতা লেখা হবে’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘একটি কবিতা লেখা হবে’—বলতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার ঘটনাটিকে বোঝানো হয়েছে।
৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। আবেগে, বক্তব্যে, দিকনির্দেশনায় ভাষণটির তাৎপর্য ছিল অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর সেই মুক্তির ডাককে একটি কবিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
৩. সেদিন লক্ষ লক্ষ শ্রোতা ভোর থেকে ব্যাকুল হয়ে বসেছিল কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য লক্ষ লক্ষ শ্রোতা সেদিন ভোর থেকে ব্যাকুল হয়ে বসেছিল।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে বাঙালিরা প্রতি পদে পদে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, অবিচারের শিকার হয়। বাঙালির সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাঙালিও শুরু থেকেই সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছিল প্রতিবাদমুখর। তার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৭১ সালে। ৭ই মার্চ এক ঐতিহাসিক জনসভায় সংগ্রামের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করার কথা ছিল বাঙালির প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি কী বলেন তা শোনার জন্য অত্যন্ত অধীর হয়ে ভোর থেকেই অপেক্ষা করেছিল লক্ষ জনতা।
৪. ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ লক্ষ শ্রোতাকে ‘বিদ্রোহী শ্রোতা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ জনতা ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তানি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল বলে তাদের বিদ্রোহী শ্রোতা বলা হয়েছে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি বিজয় লাভ করলেও তাদের ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশের মানুষ। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ জনতার সবাই ছিল যেন এক একজন বিদ্রোহী। সেই বিদ্রোহ ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসক এবং সামরিকতন্ত্রের অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।
‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতায় কবি নির্মলেন্দু গুণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কল্পনা করেছেন কবিরূপে। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্ন ও অনুভূতির রূপকার। প্রতীকীভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের মতো দীপ্ত পায়ে হেঁটে এসে বিদগ্ধ এক কবির মতো করেই ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ছিলেন যথার্থ রাজনীতির কবি। তিনি বক্তৃতায় জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো সম্মোহিত করতে পারতেন বলে তাঁকে কবি বলা হয়েছে।
২. ‘একটি কবিতা লেখা হবে’—বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘একটি কবিতা লেখা হবে’—বলতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার ঘটনাটিকে বোঝানো হয়েছে।
৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। আবেগে, বক্তব্যে, দিকনির্দেশনায় ভাষণটির তাৎপর্য ছিল অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর সেই মুক্তির ডাককে একটি কবিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
৩. সেদিন লক্ষ লক্ষ শ্রোতা ভোর থেকে ব্যাকুল হয়ে বসেছিল কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য লক্ষ লক্ষ শ্রোতা সেদিন ভোর থেকে ব্যাকুল হয়ে বসেছিল।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে বাঙালিরা প্রতি পদে পদে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, অবিচারের শিকার হয়। বাঙালির সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। বাঙালিও শুরু থেকেই সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছিল প্রতিবাদমুখর। তার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৭১ সালে। ৭ই মার্চ এক ঐতিহাসিক জনসভায় সংগ্রামের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করার কথা ছিল বাঙালির প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি কী বলেন তা শোনার জন্য অত্যন্ত অধীর হয়ে ভোর থেকেই অপেক্ষা করেছিল লক্ষ জনতা।
৪. ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ লক্ষ শ্রোতাকে ‘বিদ্রোহী শ্রোতা’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ জনতা ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তানি সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল বলে তাদের বিদ্রোহী শ্রোতা বলা হয়েছে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি বিজয় লাভ করলেও তাদের ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশের মানুষ। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে আসা লক্ষ জনতার সবাই ছিল যেন এক একজন বিদ্রোহী। সেই বিদ্রোহ ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসক এবং সামরিকতন্ত্রের অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে।
No comments
Thank you, best of luck