শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা,
শুভ বড়দিনে আসুন প্রেমে-ভালোবাসায়, ক্ষমা আর মানব কল্যাণে ব্রতী হই। আজ ২৫ ডিসেম্বর। শুভ বড়দিন (ক্রিসমাস)। আজ বিশেষ আনন্দ-উৎসবের দিন। এ শুভ দিনে প্রার্থনা, আমাদের জীবনে যেন সকল পঙ্কিলতা দূর হয়ে শান্তির ছোঁয়া নেমে আসে। এ দিনের শুভবার্তার মহিমায় আমরা যেন কল্যাণীকামী-মানবপ্রেমী-বিশ্বপ্রেমী হতে পারি এ বিশেষ প্রার্থনা সর্বশক্তির আধার সৃষ্টিকর্তার নিকট।
পৃথিবীতে যুগে যুগে মানুষকে পথ দেখাতে ত্রাণ কর্তা হয়ে এসেছেন অনেক মহামনীষী। সে সকল মহামনীষীকে অনেক ক্ষেত্রেই ভোগ করতে হয়েছে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা আর কষ্ট। তার পরও এ সব মহাপুরুষদের মানুষের প্রতি ভালোবাসার ফল্গুধারা কখনো কমেনি এতটুকু। এমনি এক পূণ্যময় মনীষী হলেন প্রভু মহামতি যিশু খ্রিষ্ট। খ্রিষ্টধর্ম তথা প্রভু যিশুর অনন্য সৌন্দর্য হলো- ‘ভালোবাসা’ ও ক্ষমা। ‘ঈশ্বর’ ও ‘ভালোবাসা’ মহান যিশুর জীবনাচরণে পরিপূরক। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি ক্রুশবিদ্ধ হন। কিন্তু ক্রুশে বিদ্ধ অবস্থাতেও তিনি ছিলেন ক্ষমাশীলতায় উদ্ভাসিত। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে, যে সাতটি বাণী ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় মহতী যিশু উচ্চারণ করেছেন, তার প্রথমটিই হলো—ক্ষমা। বলার অপেক্ষা রাখে না ক্ষমা আজ আমাদের ব্যক্তি, সমাজ, শিক্ষাক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয় জীবনে কত প্রয়োজন। ক্ষমাই আমদেরকে আলোকিত, সুন্দর-সমৃদ্ধময় জীবন দান করতে সক্ষম। সংঘাত বা আঘাত নয় ভালোবাসা আর ক্ষমাই হোক শিক্ষাদান আর দেশ গড়ার হাতিহার।
বড়দিনের মাহাত্ম্যে নিহিত রয়েছে বিশ্বের শান্তি ও মঙ্গল বার্তা। কবি বড়ু চণ্ডীদাস বলেছেন- “সবার উপরে মানুষ সত্য”—কিন্তু আধুনিক বিশ্ব যেন তা ভুলতে বসেছে। হানাহানি আর স্বার্থপরতায় সারা বিশ্ব আজ জর্জরিত। মহান খ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবপ্রেমের দৃষ্টান্ত বিশ্বের নিকট তুলে ধরার শ্রেষ্ঠ সময় এখন।
শুভ বড় দিনে আসুন প্রেমে-ভালোবাসায়, ক্ষমা আর মানব কল্যাণে ব্রতী হই। ধরিত্রীমাতা আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার শপথ নেই। সকলের জীবন সুন্দর হোক, সার্থক আর পরিপূর্ণ আনন্দময় হোক।
সবাইকে শুভ বড়দিনের প্রীতি-শুভেচ্ছা ও ভক্তিপূর্ণ নমস্কার।
পতিতপাবন মণ্ডল (পাবন)
শিক্ষক, বাংলা বিভাগ
No comments
Thank you, best of luck