ads

প্রশ্ন : বিশেষণ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র :
বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি ।
দ্বাদশ শ্রেণি
পতিতপাবন মণ্ডল (পাবন), 
বাংলা বিভাগীয় প্রধান, 
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ,  ঢাকা।

উত্তর : যে শব্দশ্রেণি দ্বারা বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়ার অর্থ বিশদ বা সীমিত করে তার দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন—নীল আকাশ, চটপটে ছেলে। 
বিশেষণকে প্রধানত তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে শ্রেণীকরণ করা হয়।
যথা—
১. অর্থগতভাবে
২.ব্যুৎত্তিগতভাবে
৩. অন্বয়গতভাবে
১. অর্থগতভাবে বিশেষণ প্রধানত দুই প্রকার। 
যথা—
ক. নামবিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, তাকে নামবিশেষণ বলে। যেমন—সবাই পাকা ফল খেতে পছন্দ করে। সবার বড় সে, কিন্তু কাজে খুব অলস।
খ. ভাববিশেষণ: যে বিশেষণ অপর কোনো বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে ভাববিশেষণ বলে। যেমন—তিনি খুব ভালো মানুষ।
২. ব্যুৎত্তিগতভাবে বিশেষণ প্রধানত দুই প্রকার। 
যথা—
ক. সিদ্ধ বিশেষণ: যে বিশেষণকে ব্যাকরণগতভাবে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে রূপান্তর বা বিভক্ত করা যায় না, তাকে সিদ্ধ বিশেষণ বলে। 
যেমন—ভালো, মন্দ, সোজা, বাঁকা, উঁচু, নিচু, লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি, টক, ঝাল ইত্যাদি।
খ. সাধিত বিশেষণ: যে বিশেষণকে ব্যাকরণগতভাবে আরো এক বা একাধিক ক্ষুদ্রতর অংশে রূপান্তর বা বিভক্ত করা যায়, তাকে সাধিত বিশেষণ বলে। 
যেমন—চলন্ত বাস, ডুবন্ত নৌকা, উড়ন্ত পাখি, মেঘলা সকাল, ফুটন্ত পানি ইত্যাদি।
৩. অন্বয়গতভাবে বিশেষণ প্রধানত দুই প্রকার।
যথা— 
ক. সাক্ষাৎ বিশেষণ: যে বিশেষণ সরাসরি বাক্যের বিশেষিত শব্দের আগে বসে, তাকে সাক্ষাৎ বিশেষণ বলে। 
যেমন— গভীর জল, নীল শাড়ি, লাল জামা, সবুজ মাঠ, ছোট বাবু ইত্যাদি।
খ. বিধেয় বিশেষণ: যে বিশেষণ বাক্যের বিধেয় অংশে বসে, তাকে বিধেয় বিশেষণ বলে। এ ধরনের বিশেষণের পর বাক্যে সাধারণত আর কোনো বিশেষ্য থাকে না। যেমন—ছেলেটি খুব দুষ্ট। বাবা এখন অসুস্থ। আমটি খুব মিষ্টি।
৪. সংখ্যাবাচক বিশেষণ: যে বিশেষণ দ্বারা গণনা ও পরিমাপ সংক্রান্ত ধারণা প্রকাশ করা হয়, তাকে সংখ্যাবাচক বিশেষণ বলে। 
যেমন— সাত সমুদ্র, দশম শ্রেণি, পহেলা বৈশাখ, এক পোয়া।






No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.