১. ক্রিয়াপদ বলতে কী বোঝায়? ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো । দ্বাদশ শ্রেণি, ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি
বাংলা দ্বিতীয় পত্র :
১. ক্রিয়াপদ বলতে কী বোঝায়? ক্রিয়া পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো ।
উত্তর:
ধাতুর সাথে কাল ও পুরুষ অনুযায়ী বিভক্তিযুক্ত করে ক্রিয়া পদ গঠিত হয়। যে পদে কোনো কার্য সম্পাদন বুঝায়, অর্থাৎ যে পদে বাক্যের মধ্যে কোনো কালের বা কোন রকম কাজের অবস্থা, করা, হওয়া, যাওয়া, খাওয়া, চলা ইত্যাদি বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
যেমন-
আমি বই পড়ি,
করিম বই পড়ে
তুমি বই পড়ো
আমি বই পড়বো।
বিভিন্ন অর্থে ক্রিয়াপদকে বিভক্ত করা যায়।
যথা-
বাক্যের ভাব প্রকাশের রীতি বা অর্থের সম্পন্নতা অনুসারে ক্রিয়াপদ দুই প্রকার।
যথা-
১. সমাপিকা ক্রিয়া
২. অসমাপিকা ক্রিয়া
১. সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে।
যেমন-
আমি মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করি।
২. অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় না, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। এক্ষেত্রে মনোভাব পুরোপুরিভাবে প্রকাশ করতে অন্য ক্রিয়ার সহায়তার প্রয়োজন হয়।
আমি স্কুলে গিয়ে তোমার সাথে দেখা করব।
আবার কর্ম অনুসারে ক্রিয়াপদ ৩ প্রকার ।
যথা -
১. সকর্মক ক্রিয়া
২. অকর্মক ক্রিয়া
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া
১. সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদে কমপক্ষে একটি কর্ম পদ থাকে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।
যেমন-
রিনা ফুল তোলে।
বাবা আমাকে একটি বই ও দুটি কলম কিনে দিয়েছেন।
২. অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের কোনো কর্মপদ থাকে না, তাকে অকর্মক ক্রিয়া পদ বলে।
আমি পড়ি। রহমান লেখে ইত্যাদি।
৩. দ্বিকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদের দুটি কর্ম থাকে যার একটি প্রাণিবাচক অপরটি অপ্রাণিবাচক তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে।
বাবা আমাকে একটি জামা কিনে দিয়েছেন।
গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ ৫ প্রকার:
যথা-
১. মৌলিক ক্রিয়া
২. যৌগিক ক্রিয়া
৩. প্রযোজক ক্রিয়া
৪. ধ্বন্যাত্মক ক্রিয়া
৫. সংযোগমূলক বা মিশ্র ক্রিয়া
১.মৌলিক ক্রিয়া: মৌলিক ধাতু দ্বারা গঠিত ক্রিয়াপদকে মৌলিক ক্রিয়া বলে। হাসে, দেখে, পড়া ইত্যাদি।
২. যৌগিক ক্রিয়া : একটি অসমাপিকা ও সমাপিকা ক্রিয়া যোগে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।
সে শুয়ে পড়লো।
সে পাস করে গেলো।
শিক্ষায় মন সংস্কারমুক্ত হয়ে থাকে।
৩.প্রযোজক ক্রিয়া: যে প্রিয়ার কার্য একজনের প্রেরণা, প্ররোচনা বা পরিচালনায় অন্যজন কর্তৃক সম্পন্ন হয়, সেই ক্রিয়াকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।
মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
৪. ধ্বন্যাত্মক ক্রিয়া: যেসব ক্রিয়া সরাসরি ধন্যাত্মক ধাতু হতে নিষ্পন্ন বা ধন্যাত্মক শব্দের সাথে অন্য ধাতু যোগে গঠিত হয়, তাকে ধনাত্মক ক্রিয়া বলে।
সে হন হন করে চলে গেল।
মেয়েটি বক্ বক্ করছে।
৫. সংযোগমূলক / মিশ্র ক্রিয়া:
বিশেষ্য / বিশেষণ / ধ্বন্যাত্মক অব্যয় + মৌলিক ধাতু = মিশ্র ক্রিয়া
বিশেষ্য, বিশেষণ, ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে বিভিন্ন মৌলিক ধাতু যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাকে মিশ্র ক্রিয়া বা সংযোগমূলক ক্রিয়া বলে।
যেমন -
তাজমহল দর্শন করলাম,
তোমাকে দেখে প্রীত হলাম
মাথা ঝিমঝিম করছে
No comments
Thank you, best of luck