ads

বিশেষ্য কাকে বলে? সংজ্ঞা ও উদাহরণসহ বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।

বাংলা দ্বিতীয় পত্র :
বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি ।
দ্বাদশ শ্রেণি
পতিতপাবন মণ্ডল (পাবন), বাংলা বিভাগীয় প্রধান, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকা।।

উত্তর :
বিশেষ্য: যে শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গোষ্ঠী, সমষ্টি, গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন—থালা, বাটি, টাকা, ঢাকা, ছাগল, বাঁশ, মাছ, দয়া, মায়া, সততা।
কী ধরনের নাম বোঝাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে বিশেষ্যকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথা—
১. সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছুর নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন—নজরুল, যমুনা, দোয়েল, আষাঢ়, বঙ্গভাষা ইত্যাদি।
২. সাধারণ বিশেষ্য : যে বিশেষ্য দ্বারা সামগ্রিকভাবে একটি শ্রেণিকে বোঝায়, তাকে সাধারণ বিশেষ্য বলে। যেমন—মানুষ, কবি, নদী, পাখি, মাস, ভাষা ইত্যাদি।
বিভিন্ন মানদণ্ডে সাধারণ বিশেষ্যের শ্রেণিকরণ করা হয়ে থাকে।
যেমন—ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা অনুসারে—
ক. মূর্ত বিশেষ্য: ইন্দ্রিয় দ্বারা যে বস্তুর ঘ্রাণ নেওয়া যায় কিংবা যাকে দেখা, পরিমাপ করা বা স্পর্শ করা যায়, তাকে মূর্ত বিশেষ্য বলে। যেমন—রুটি, বাটি, বেগুন, ফুল ইত্যাদি।
খ. ভাব বিশেষ্য: ইন্দ্রিয় দ্বারা যার ঘ্রাণ নেওয়া, দেখা, পরিমাণ করা, স্পর্শ করা যায় না অর্থাৎ নিবস্তুক অবস্থা ও মনোগত ভাব বোঝায়, তাকে ভাব বিশেষ্য বলে। যেমন—রাগ, ক্ষমা, আনন্দ, বেদনা ইত্যাদি।
গণনযোগ্যতা অনুসারে—
ক. গণন বিশেষ্য: যে বিশেষ্যকে সংখ্যা দিয়ে গণনা করা যায় এবং যার বহু বচন করা চলে, তাকে গণন বিশেষ্য বলে। যেমন—ফল, গরু, হাঁস, মুরগি, মাছ, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি।
খ. পরিমাপ বিশেষ্য: যে বিশেষ্যকে সংখ্যা দ্বারা গণনা করা যায় না, কিন্তু পরিমাপ করা চলে, তাকে পরিমাপ বিশেষ্য বলে। যেমন—লবণ, তেল, চিনি, আটা, ডাল, চাল ইত্যাদি।
গ. সমষ্টি বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো দল বা গোষ্ঠীর একক বা সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টি বিশেষ্য বলে। যেমন—ছাত্র, জনতা, পুলিশ, মালিক, শ্রমিক, সভা, সমিতি, সংসদ, শ্রেণি, ঝাঁক, দল ইত্যাদি।
সজীবতা অনুসারে—
ক. সজীব বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো জীবন্ত ও সক্রিয় সত্তার সাধারণ শ্রেণিকে বোঝায়, তাকে সজীব বিশেষ্য বলে। যেমন—ইঁদুর, বিড়াল, বানর, সিংহ, বাঘ ইত্যাদি।
খ. অজীব বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো ধারণাযোগ্য ও ইন্দ্রিগ্রাহ্য কিংবা নির্জীব বস্তু বোঝায়, তাকে অজীব বিশেষ্য বলে। যেমন—বাড়ি, গাড়ি, শাড়ি, বই, খাতা, কালি, কলম, আকাশ ইত্যাদি।


No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.