ads

ব্যঞ্জনধ্বনি পরিচিতি: পতিতপাবন মণ্ডল (পাবন), শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকা।।


ব্যঞ্জনধ্বনি: যে সব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বাগযন্ত্রের কোথাও না কোথাও বাধা প্রাপ্ত হয়, আটকে যায় বা শ্রুতিগ্রাহ্য চাপ সৃষ্টি হয়, তাদের ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।  যেমন: ক, খ. গ, ঘ, ম  ইত্যাদি। ব্যঞ্জনধ্বনিকে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাগ করা হয়। যা এখানে বর্ণিত হলো- 

১. স্পর্শ ধ্বনি: ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫ টি ধ্বনিকে স্পর্শ ধ্বনি বলে।
২. অঘোষধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্র অনুরণিত হয় না, তাদের অঘোষধ্বনি  বলে। প্রতিটি বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনি / বর্ণ অঘোষ ধ্বনি।

৩. ঘোষধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্র অনুরণিত হয় তাদের ঘোষধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ঘোষধ্বনি। 

৪. অল্পপ্রাণ ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপ কম থাকে, তাদের অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি অল্পপ্রাণ ধ্বনি।

৫. মহাপ্রাণ ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপ বেশি থাকে, তাদের মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি মহাপ্রাণ ধ্বনি। 

৬. নাসিক্য ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস নাক দিয়ে বেরিয়ে যায় তাদের নাসিক্য ধ্বনি বলে। প্রতিটি বর্গের পঞ্চম ধ্বনি নাসিক্য ধ্বনি।

৭. কণ্ঠ্যধ্বনি: যেসব ধ্বনি কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয় তাদের কণ্ঠধ্বনি বলে। ক বর্গের প্রতিটি ধ্বনি কণ্ঠ্যধ্বনি।

৮. তালব্য ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার ডগা তালু স্পর্শ করে, তাদের তালব্য ধ্বনি বলে চ বর্গের প্রতিটি ধ্বনি তালব্য ধ্বনি।

৯. মূর্ধন্য ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার সামনের অগ্রভাগ মূর্ধা বা পশ্চাৎ দন্তমূল স্পর্শ করে তাদের মূর্ধন্য ধ্বনি বলে। ট বর্গের প্রতিটি ধ্বনি মূর্ধন্য ধ্বনি।

১০. দন্ত্য ধ্বনি: যেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহবার অগ্রভাগ দন্ত স্পর্শ করে, তাদের দন্ত্য ধ্বনি বলে। ত বর্গের প্রতিটি ধ্বনি দন্ত্য ধ্বনি।

১১. ওষ্ঠ্য ধ্বনি: যেসব ধ্বনি দুই ঠোঁটের বাঁ ওষ্ঠের সাহায্যে উচ্চারিত হয় তাদের ওষ্ঠ্য ধ্বনি বলে প বর্গের প্রতিটি ধ্বনি ওষ্ঠ ধ্বনি।




No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.