ads

১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে রুটিন তৈরিতে ১১ নির্দেশনা




১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সময় যে রুটিন অনুসরণ করতে হবে সে সংক্রান্ত নির্দেশনা  প্রদান করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বেসরকারি কলেজ শাখা, ঢাকা। www.dshe.gov.bd কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে সন্তোষজনক পর্যায়ে উপনীত হওয়ায় সরকার পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতােমধ্যে পত্র মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক গাইড লাইন প্রকাশ করেছে সরকার। করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর, রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হচ্ছে স্কুল-কলেজের ক্লাস। সারাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক-সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তকে সকল স্তরের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবে কোনদিন কাদের ক্লাস নেওয়া হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদার করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর। এটি অনুসরণ করে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিপাঠ পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে শ্রেণি পাঠদান নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা অনুযায়ী রুটিন তৈরি করবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গতকাল রুটিন তৈরির একটি নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুটিন তৈরি করবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে সপ্তাহে একদিন।

 শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রুটিন সংক্রান্ত নির্দেশনা

এ উপলক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর রুটিন প্রণয়নে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (বেসরকারি কলেজ শাখা)। বুধবার এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

এক নজরে নির্দেশনাবলি:

১. ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবে।
২. প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠানে আসবে।
৩. সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে দুটি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রুটিন প্রণয়ন করবে।


৪. রুটিনের সাথে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫. যেসকল প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত সে সকল প্রতিষ্ঠান ওই সকল স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসসমূহ সমন্বয় করে রুটিন প্রণয়ণ করবে।
৬. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ চলমান ডিগ্রি, সমমান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সাথে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৭. রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ / প্রস্থান / অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনও বিষয় না ঘটে।
৮. রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়।
৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
১০. প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য প্রেরণ করতে হবে।
১১. পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে।








1 comment:

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.