বাঁচতে দাও, শামসুর রাহমান; পতিতপাবন মণ্ডল (পাবন), শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকা।।
কবি পরিচিতি:
শামসুর রাহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি। নাগরিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, গণ-আন্দোলন তাঁর কবিতায় নানা অনুভূতিতে রূপায়িত হয়েছে। তাঁর কবিতা তাই দেশপ্রেম ও সমাজ সচেতনতায় সতেজ ও দীপ্ত। শামসুর রাহমান পেশায় সাংবাদিক। বিভিন্ন সময়ে তিনি ‘মর্নিং নিউজ’, ‘রেডিও বাংলাদেশ’, ‘দৈনিক গণশক্তি’, ইত্যাদিতে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রায় এক দশক (১৯৭৭-১৯৮৭) ধরে তিনি ছিলেন ‘দৈনিক বাংলা’র সম্পাদক। কবিতা অনুবাদেও তিনি সিদ্ধহস্ত। এছাড়া তিনি উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথাও লিখেছেন। শিশুদের জন্যও শামসুর রাহমান চমৎকার কবিতা লিখেছেন। ‘এলাটিং বেলাটিং’, ‘ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো’, ‘গোলাপ ফোটে খুকীর হাতে’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য ছড়া ও কবিতার বই। সাহিত্য-সাধনার স্বীকৃতি হিসেবে কবি শামসুর রাহমান অনেক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। এসব পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক। জন্ম ও জন্মস্থান: শামসুর রাহমান ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে জন্মগ্রহণ করেন। শামসুর রাহমানের ডাকনাম বাচ্চু। পৈতৃক বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাড়াতলী গ্রামে। কবি শামসুর রাহমান ১৩ জন ভাই-বোনের মধ্যে ছিলেন ৪র্থ। মৃত্যু : কবি শামসুর রাহমান ২০০৬ সালের ১৭ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৫ মিনিটে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে, তাকে কবর দেওয়া হয়।
কবিতা:
এই তো দ্যাখো ফুলবাগানে গোলাপ ফোটে,
ফুটতে দাও।
রঙিন কাটা ঘুড়ির পিছে বালক ছোটে,
ছুটতে দাও।
নীল আকাশের সোনালি চিল মেলছে পাখা,
মেলতে দাও।
জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে রোজই,
খেলতে দাও।
মধ্যদিনে নরম ছায়ায় ডাকছে ঘুঘু,
ডাকতে দাও।
বালির ওপর কত্ত কিছু আঁকছে শিশু,
আঁকতে দাও।
কাজল বিলে পানকৌড়ি নাইছে সুখে, নাইতে দাও।
গহিন গাঙে সুজন মাঝি বাইছে নাও, বাইতে দাও।
নরম রোদে শ্যামাপাখি নাচ জুড়েছে,
নাচতে দাও।
শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি---সবাইকে আজ বাঁচতে দাও।
কবিতা বিশ্লেষণের জন্য
ভিডিয়োটি মনোযোগ সহকারে দেখো।
এখানে, অনুধাবন প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নগুলো খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পাঠের উদ্দেশ্য
পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা।
পাঠ-পরিচিতি
প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান আশ্রয়। মানুষ ও প্রকৃতি পরিবেশের অংশ। কিন্তু মানুষের হাতেই দিন দিন এগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপন্ন হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীদের জীবন। আমাদের চারপাশ যদি সজীব ও সুন্দর না হয় তাহলে বেঁচে থাকার আনন্দই বৃথা হয়ে যাবে। কবি শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন। একটি শিশুর বিকাশের সাথে তার চারপাশের সুস্থ পরিবেশের সম্পর্ক রয়েছে। যদি পৃথিবীতে ফুল না থাকে, পাখি না থাকে, সবুজ ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। কবিতায় এইসব প্রতিকূলতাকে জয় করার কথাই সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে।
A642 QUZI HASAN NABIL
ReplyDeleteA613 Afnan Abu Hossain Vubon
ReplyDeleteA629 Imtiyaj Ahmmed
ReplyDeleteNawfiz Uddin Labib A602
ReplyDeleteAhonaf Arbi Alnoor A6 04
ReplyDeleteA612 Golam Mohammed Khairul Abed
ReplyDeleteApurbo sheikh A662
ReplyDeleteShamin Al Araf Supriyo BA607
ReplyDeleteA639 Ayman Nur Rahman
ReplyDeleteName: Rijoan Ahmed Adiyan.
ReplyDeleteRoll: A603
A644 SHAHJAMAN SHAFI
ReplyDeleteA627 Ishrak Uddin
ReplyDeleteA628 Rezione Eusuf
ReplyDeleteA625 Pritom Prem Costa
ReplyDeleteSwapnil Christhopher Rozario A632
ReplyDeleteA660 Ismail Hossain Arafat
ReplyDeleteA618 Saria Hossain Jisan
ReplyDeleteMD.ABDUR RAHAMAN IRFAN A652
ReplyDeleteSinan Mohammad Abdullah A606
ReplyDeleteSRESTHO CORRAYA {A638}
ReplyDeleteA643 Abdullah
ReplyDeleteKaseer Ahmed Badhon A610
ReplyDeleteMD. Shamir Hossain
ReplyDeleteBA617
A657 Abdullah All Ayat
ReplyDeleteA621 Sefatul Islam Fahim
ReplyDeleteRejowan Arefin BA605
ReplyDeleteFateh Alam Chowdhury A663
ReplyDeleteA626 KAZI BORHAN UDDIN SAYAN
ReplyDeleteA649 Muhtadi Ahmed Chowdhury
ReplyDeleteMd Mahadi Rahman A609
ReplyDeleteA624 B. M jayedur rahman rose
ReplyDelete