ads

প্রবন্ধ রচনা কী? রচনা বা প্রবন্ধের কয়টি অংশে কী কী? প্রবন্ধ লেখার প্রয়োজনীয়তা



প্রবন্ধ রচনা কী?
‘রচনা’ শব্দের অর্থ কোনো কিছু নির্মাণ বা সৃষ্টি করা। অর্থাৎ কোনো বিষয়কে ভাষার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার নামই রচনা রচনাকে সাধারণত সৃষ্টিশীল কর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয় । ‘প্রবন্ধ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে বন্ধন। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’ বলতে বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে বোঝায়। নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ রচনা বলে।

রচনা বা প্রবন্ধের প্রধানত তিনটি অংশে থাকে। 
যথা:
১. ভূমিকা
২. বিষয়বস্তু
৩. উপসংহার

ভূমিকা: ভূমিকাকে প্রবেশপথ বলা যায়, যে বিষয়ে রচনা লেখা হবে, তার সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া হয় এ অংশে। ভূমিকা বেশি বড় না হওয়াই ভালো। 

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য: বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্য হলো রচনার প্রধান অংশ। এ অংশে রচনার মূল বিষয়বস্তু সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরতে হয়। বিষয় বা ভাবকে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করতে বিষয়কে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ বা পয়েন্ট করে লেখাই ভালো। তবে খেয়াল করতে হবে যেন অনুচ্ছেদগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। বক্তব্যকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে এবং সে প্রয়োজন অনুযায়ী উপমা, উদাহরণ, দৃষ্টান্ত, উদ্ধৃতি ব্যবহার করতে হয়।

উপসংহার: বিষয়বস্তু আলোচনার পর একটা সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন হয়, আর রচনার যে অংশে সিদ্ধান্তে আসা হয় সে অংশকে উপসংহার বলে। এ অংশে বর্ণিত বিষয়ে লেখকের নিজস্ব মতামত বা অভিজ্ঞতার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়

প্রবন্ধ লেখার প্রয়োজনীয়তা:
১. রচনা বা প্রবন্ধ লেখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ব্যক্ত করতে পারে।
২. এতে তার বক্তব্যকে গুছিয়ে বলার দক্ষতা জন্মে।
৩.বক্তব্যকে সুস্পষ্ট করার জন্য যথার্থ শব্দ প্রয়োগ, বাক্য বিন্যাস এবং উপমা, উদাহরণ, অলংকার ইত্যাদি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করে।
৪. ভাষা প্রকাশের জড়তা কাটিয়ে ওঠাতে পারে।
৫. শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায় যা ভাষায় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে।
৬. ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা সহজে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়।
৭. তথ্য জেনে নিজের মতো প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে।
৮. ভাষা হয় সাবলীল
৯. চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি
১০. নতুন নতুন বিষয় জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়

No comments

Thank you, best of luck

Theme images by sbayram. Powered by Blogger.